অ্যাংলো-স্যাক্সন পৌত্তলিকতাবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
নতুন পৃষ্ঠা: {{কাজ চলছে}} File:Franks Casket vorne links.jpg|right|thumb|225px|খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর এই [... |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
২৩:৩৪, ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৪ বছর আগে Jonoikobangali (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
অ্যাংলো-স্যাক্সন পৌত্তলিকতাবাদ (ইংরেজি: Anglo-Saxon paganism বা Anglo-Saxon heathenism) বলতে খ্রিস্টীয় পঞ্চম থেকে অষ্টম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়কালে (আদি মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডের প্রারম্ভিক পর্যায়) অ্যাংলো-স্যাক্সনদের ধর্মবিশ্বাস ও প্রথা-রীতিগুলিকে বোঝায়। এই ধর্মবিশ্বাসটি অ্যাংলো-স্যাক্সন প্রাক্-খ্রিস্টীয় ধর্ম (ইংরেজি: Anglo-Saxon pre-Christian religion) বা অ্যাংলো-স্যাক্সন ঐতিহ্যবাহী ধর্ম (ইংরেজি: Anglo-Saxon traditional religion) নামেও পরিচিত। জার্মানীয় ধর্মের একটি ভিন্ন রূপ উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ অঞ্চলে প্রচলিত ছিল। বহুবিধ আঞ্চলিক রূপভেদ সহ বিভিন্ন ধরনের মতবিশ্বাস ও কাল্ট-প্রথা নিয়ে এই ধর্মমতটি গড়ে উঠেছিল।
মহাদেশীয় উত্তর ইউরোপের আদি লৌহযুগীয় ধর্ম থেকে বিকাশ লাভ করে অ্যাংলো-স্যাক্সন পৌত্তলিকতাবাদ খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর মধ্যভাগে অ্যাংলো-স্যাক্সন অভিপ্রয়াণের পর ব্রিটেনে প্রবেশ করে এবং খ্রিস্টীয় সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে সেই দেশের রাজ্যগুলির খ্রিস্টীয়করণ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের প্রধান ধর্মমত হিসাবে প্রচলিত থাকে। এই ধর্মের কিছু কিছু বিষয় ক্রমে লোকাচারবিদ্যার মধ্যে মিশে যায়। খ্রিস্টান অ্যাংলো-স্যাক্সনরাই প্রথম এই ধর্মটিকে নিন্দাসূচক প্যাগানিজম ও হিদনিজম (ইংরেজি: paganism ও heathenism; দু’টি শব্দেরই অর্থ পৌত্তলিকতাবাদ) শব্দ দু’টি দ্বারা অভিহিত করে। অনুমিত হয় যে, এই পৌত্তলিকতাবাদীরা তাদের ধর্মকে কোনও নির্দিষ্ট নাম প্রদান করেছিল। সেই জন্য এই ধর্মকে এখনও উক্ত খ্রিস্টীয় পরিভাষায় চিহ্নিত করার যথার্থতা নিয়ে সমসাময়িক গবেষকদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। অ্যাংলো-স্যাক্সন পৌত্তলিকতাবাদ সম্পর্কে বর্তমানে যা কিছু জানা যায়, তার সূত্র-উপাদান প্রধানত তিনটি: বিড ও অল্ডহেম প্রমুখ খ্রিস্টান অ্যাংলো-স্যাক্সন কর্তৃক রচিত সাহিত্য, স্থাননামের প্রমাণ এবং কাল্ট-প্রথাসমূহের প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ। এছাড়াও নর্স প্রভৃতি প্রতিবেশী জাতিগুলির অধিকতর সুপ্রত্যয়িত প্রাক্-খ্রিস্টীয় ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে তুলনার মাধ্যমে অ্যাংলো-স্যাক্সন পৌত্তলিকতাবাদের প্রকৃতি সম্পর্কে আরও কিছু ধারণা পাওয়া যায়।
অ্যাংলো-স্যাক্সন পৌত্তলিকতাবাদ ছিল একটি বহুদেববাদী ধর্মবিশ্বাস। এই ধর্মবিশ্বাসের কেন্দ্রে ছিল ése (একবচনে ós) নামে পরিচিত দেবদেবীতে বিশ্বাস। এই দেবদেবীদের মধ্যে সর্বপ্রধান ছিলেন সম্ভবত ওয়াডেন। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেবতাদের অন্যতম ছিলেন থুনোর ও টিউ। সেই সঙ্গে অ্যাংলো-স্যাক্সনেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে বসবাসকারী অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের অলৌকিক সত্ত্বাতেও বিশ্বাস করত। এগুলির মধ্যে ছিল এলফ, নেক ও ড্রাগন। কাল্ট-প্রথাগুলি প্রধানত বিভিন্ন ভক্তিমূলক কার্যকলাপকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হত। এই ধরনের ক্রিয়াকাণ্ডের মধ্যে ছিল এই সকল দেবতাদের উদ্দেশ্যে জড় বস্তু ও পশু বলিদান। বছরে নির্দিষ্ট ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে বলিদানের আয়োজন করা হত। কাঠের তৈরি মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যদিও অন্যান্য কাল্ট-অনুষ্ঠান সম্ভবত খোলা আকাশের নিচেই আয়োজিত হত এবং এই সকল অনুষ্ঠানের অঙ্গ ছিল কাল্ট-সংক্রান্ত বৃক্ষ ও প্রকাণ্ড প্রস্তরখণ্ডসমূহ। পৌত্তলিকতাবাদীদের পরকাল-সংক্রান্ত ধ্যানধারণার কথা বিশেষ জানা যায় না। তবে এই ধরনের বিশ্বাসগুলি সম্ভবত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রথাটিকে প্রভাবিত করেছিল। অ্যাংলো-স্যাক্সন সমাজে মৃতকে হয় সমাধিস্থ করা হত, নয়তো দাহ করা হত। সাধারণত নির্বাচিত কিছু সমাধি সামগ্রী সহযোগে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হত। সম্ভবত জাদু ও ডাকিনীবিদ্যা-সংক্রান্ত ধারণা এবং শামানবাদের শ্রেণিভুক্ত করা যায় এমন কিছু উপাদানও এই ধর্মবিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই ধর্মের দেবদেবীদের নামগুলি ইংরেজি ভাষায় সপ্তাহের বারের নামগুলির উৎস। এই ধর্ম এবং এটির সঙ্গে সম্পৃক্ত পুরাণকথা সম্পর্কে যা জানা যায়, তা সাহিত্য ও আধুনিক পৌত্তলিকতাবাদ উভয়কেই প্রভাবিত করেছে।