পুলিনবিহারী সরকার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{একই নামের|পুলিনবিহারী সরকার ( জৈব রসায়ন বিজ্ঞানী)}}
 
' ' '''পুলিনবিহারী সরকার''' ' ' ( ২২ নভেম্বর ১৮৯৪ - ১৪ জুলাই ১৯৭১) ভারতে বিশ্লেষক অজৈব রসায়নের ( Analytical Inorganic Chemistry) গোড়াপত্তনকারী বিজ্ঞানী ।
 
{{ তথ্যছক ব্যক্তি
|name = পুলিনবিহারী সরকার
}}
' ' '''পুলিনবিহারী সরকার''' ' ' ( ২২ নভেম্বর ১৮৯৪ - ১৪ জুলাই ১৯৭১) ছিলেন ভারতের ভারতেএকজন বিশ্লেষক অজৈব রসায়নের ( Analytical Inorganic Chemistry) গোড়াপত্তনকারী বিজ্ঞানী ।বিজ্ঞানী।
 
==জন্ম ও শিক্ষা জীবন==
 
পুলিনবিহারী সরকার ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২২ শে নভেম্বর কলকাতার ঝামাপুকুরে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন ।করেন। পিতা ছিলেন বিখ্যাত আইনজীবী বসন্তকুমার সরকার। তৎকালীন যাদবপুর ও সোনারপুর অঞ্চলের বিশাল জমিদার যাদবনারায়ন সরকার ছিলেন তাঁর প্রপিতামহ।প্রপিতামহ ( এঁরই নামে কলকাতায় নামাঙ্কিত বর্তমানের যাদবপুর ) জমিদারির আবহ থেকে দূরে রাখতে চাইতেন তাঁর মাতা সরোজিনী দেবী। পিতার কর্মক্ষেত্র ছিল মেদিনীপুরের তমলুকে। তাই তাঁর মা স্বামীসহ তমলুকেই স্থায়ীভাবে বাস শুরু করেন। সুতরাং পুলিনবিহারীর বাল্য ও কৈশোর কাটে তমলুকে ।তমলুকে। সেখানকার হ্যামিলটন স্কুল থেকে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বৃত্তি-সহ এন্ট্রান্স পাশ করে কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজে আই. এসসি ক্লাসে ভর্তি হন। এখানে তাঁর সহপাঠী ছিলেন [[জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র ঘোষ]], জ্ঞানেন্দ্রচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, মানিকলাল দে, [[সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রমুখ]] ।১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে বি.এসসি ও ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে রসায়নে এম.এসসি পাশ করেন।
 
==কর্মজীবন==
 
১৯১৬ খ্রিস্টাব্দেই পুলিনবিহারী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে লেকচারার নিযুক্ত হন। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে 'ঘোষ ট্রাভেলিং ফেলোশিপ' নিয়ে প্যারিসে অধ্যাপক উরবাঁর ল্যাবরেটরিতে গবেষণা করতে যান। সেখানে স্ক্যাডিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম এবং ইউরেনিয়াম নিয়ে অভূতপূর্ব কাজের উপর তাঁর ফরাসি ভাষায় লেখা গবেষণাকর্মের জন্য সেখানকার জ্ঞান-বিজ্ঞান জগতের বিশেষ সম্মান " স্টেট ডক্টরেট অব ফ্রান্স" লাভ করেন। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফিরে পুরানো পদে যোগ দেন এবং কলেজে এক ল্যাবরেটরি তৈরি করে গবেষক ছাত্রদের নিয়ে বর্ণালি বিশ্লেষণভিত্তিক রসায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ শুরু করেন। এই বিষয়ে অসামান্য অবদানের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় স্বর্ণ পদক পান। তিনিই প্রথম ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে বিহারের গয়া থেকে 'কলামবাইট' ( Columnbite) নামের এক আকরিক পদার্থ আবিষ্কার করেন এবং এই আকরিক থেকেই তিনি ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে রেনিয়াম (Rhenium) নিষ্কাশন করেছিলেন। ভারতে খনিজ দ্রব্য থেকে তাঁর রেনিয়াম নিষ্কাশন এই প্রথম। তাছাড়া পান্নাজাতীয় ভারতীয় পাথরগুলি তিনি পর্যালোচনা করে তাদের বিচিত্র রঙের ব্যাখ্যা করেছেন। খনিজ পদার্থে দ্রুত ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের পরিমান নির্ণয়ের সহজ পন্থা আবিষ্কার করেন। এমনকি সাধারণ জিনিস যেমন চাল মুসুর ডাল, উচ্ছে, করলা পান ইত্যাদির মধ্যে কী কী ধাতু কত পরিমানে আছে তাও দেখেছেন। চোখের জল মাতৃদুগ্ধ নিয়েও তিনি বিশ্লেষণ করেছেন। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের রসায়ন শাখার সভাপতি, ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব কাল্টিভেশন অব সায়েন্সের আজীবন সদস্য ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের ফেলো ছিলেন ।ছিলেন। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে বিশুদ্ধ রসায়ন বিভাগের 'স্যার রাসবিহারী ঘোষ অধ্যাপক' ও ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে রসায়ন বিভাগের প্রধান হন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অবসর নিলেও সি.এস.আই.আর. এর আর্থিক সহায়তায় ছাত্রদের নিয়ে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত গবেষণায় লিপ্ত থেকেছেন।
 
==মৃত্যু==
 
বিজ্ঞানী পুলিনবিহারী সরকার ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ই জুলাই প্রয়াতমৃত্যুবরণ হন ।করেন।
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
 
* সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত 'সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান' (প্রথম খণ্ড) সাহিত্য সংসদ কলকাতা হতে প্রকাশিত ।প্রকাশিত। ISBN : 978-81-7955-135-6(Vol.I)
 
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৯৪-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৭১-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি রসায়নবিদ]]