বিষয়শ্রেণী:রাজনীতিবিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultan মাওলানা মাহমুদ আলি রহঃ পাতাটিকে বিষয়শ্রেণী:রাজনীতিবিদ শিরোনামে কোনো পুনর্নির্দেশনা ছাড়াই স্থানান্তর করেছেন
+
ট্যাগ: প্রতিস্থাপিত
১ নং লাইন:
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী|Politicians}}
মাওলানা মাহমুদ আলি রহঃ
ইলমে হাদিসের খিদমত করে যেসব মনিষীরা এ ধরাতে নিজেদের নাম স্বর্নাক্ষরে লিখিয়েছেন তাদের একজন হলেন মাওলানা মাহমুদ আলি রহঃ। ইলমে হাদিসের খেদমতের পাশাপাশি ইসলামি রাজনীতি, সামাজিক কার্যক্রম, ও বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে যার অবদান ছিলো প্রশংসনীয়। শায়খে বাঘা বশির আহমদ রহঃ এর কারণে বাঘা মাদ্রাসা বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের দুর্গ হিসাবে পাকভারতের সর্বত্র খ্যাত ছিলো। সেই সুবাদে মাওলানা মাহমুদ আলি রহঃ ছাত্রাবস্থায় তার অন্যান্য সাথীদের মতো ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তখনকার বাঘা মাদ্রাসার ছাত্ররা অনেকবার ইংরেজদের জেলে বন্দী হয়।তাদের মধ্যে মাওলানা মাহমুদ আলি রহঃ ও তার ছোট ভাই মাওলানা আব্দুল জলিল রহঃ, মাওলানা নুরুদ্দীন আহমদ গরপুরী রহঃ সহ আরো অনেকে ছিলেন। তিনি আজীবন আকাবির ও আসলাফের রেখে যাওয়া আমানত জমিয়তের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও ইসলাম বিরোধী সকল কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সারাজীবন একজন লড়াকু সৈনিকের ভুমিকা পালন করেন।
জন্ম ও বংশ পরিচয় ঃ মাওলানা মাহমুদ আলি রহঃ ১৯২১ সালে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা আনছার মহল্লা'র একটি ধার্মিক ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জনাব ওয়াজিদ আলী রহঃ ছিলেন এলাকার সর্বজন মান্যবর ও শ্রদ্ধার পাত্র। আর মাতা লতিফা বানু ও একজন পর্দানশিন মহিলা হিসেবে এলাকার সর্বত্র খ্যাত ছিলেন।
শিক্ষা জীবন ঃ তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পিতা মাতার কাছ থেকেই গ্রহণ করেন। অতপর তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম হযরত মাওলানা বশির আহমদ শায়খে বাঘা (রহঃ)র তত্বাবধানে তারই প্রতিষ্ঠিত “বাঘা গোলাপ নগর আরাবিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় “ ভর্তি হয়ে শরহে জামি ( একাদশ ) শ্রেণী পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে লেখাপড়া করেন।সেখানে তার উস্তাদদের মধ্যে মাওলানা বশির আহমদ শায়খে বাঘা রহঃ, মাওলানা জমির উদ্দীন গোলাপনগরী রহঃ মাওলানা আব্দুল আজীজ রহঃ, মাওলানা মাহমুদ আলি রহঃ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
উচ্চ শিক্ষার জন্য দেওবন্দ গমন ঃ বাঘা মাদ্রাসায় লেখাপড়া শেষ করে উচ্চশিক্ষা অর্জন ও আধ্যাত্মিক ইলিম হাসিল করার জন্য বৃটিশ শাসনামলের অনেক বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে শায়খে বাঘা বশির আহমদ রহঃ তাকে স্বীয় মুর্শিদ কুতবে আলম হুসাইন আহমদ মাদানি রহঃ এর কাছে পাঠিয়ে দেন। সেই সুবাদে ১৯৪৬ সালে তিনি উম্মুল মাদারিস দারুল উলূম দেওবন্দ চলে যান।সেখানে তিনি ১৯৫০ সনে দাওরা হাদিস পাস করেন এবং কুতবে আলম হুসাইন আহমদ মাদানি রহঃ এর কাছ থেকে তাসাউফ ও আত্নশুদ্বির জ্ঞান লাভ করে স্বদেশে পত্যাবর্তন করেন। দেওবন্দে তার উস্তাদদের মধ্যে, মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি রহঃ,মাওলানা ইব্রাহীম বলইয়াভী রহঃ,মাওলানা নাসির আহমদ খান রহঃ,ও কারী তায়্যিব সাহেব রহঃ প্রমুখ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
কর্মজীবন ঃ দেওবন্দ থেকে দেশে ফিরে তিনি প্রথমে স্বীয় উস্তাদ শায়খে বাঘা (রহঃ)র নির্দেশে বাঘা মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবনে পদার্পণ করেন।এবং সেখানে প্রায় ১৭ বছর শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব সহ অন্যান্য দায়িত্ব যথারীতি আদায় করেন। অতপর বালিঙ্গা মাদ্রাসা, হাসনাবাদ,হামিদ নগর, বরুনা মাদ্রাসা ও আজিমগঞ্জ মাদ্রাসায় মুহাদ্দিস পদে হাদিসের গুরুত্বপূর্ণ কিতাবাদী পড়ান।
তার ছাত্রদের মধ্যে মাওলানা নুরুল হক ধর্মন্ডলী রহ, শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুস সোবহান পাইগাও রহঃ,শায়খুল হাদিস মাওলানা আব্দুল হান্নান হাসনাবাদ রহঃ,ও শায়খ আব্দুল্লাহ হরিপুরী রহঃ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
 
[[বিষয়শ্রেণী:রাজনীতি]]
পারিবারিক জীবন ঃ তিনি জনাব ওয়াজিদ আলী রহঃ এর ৫ ছেলে, ১ঃজনাব আরব আলি রহঃ ২ঃ মাওলানা মাহমুদ আলি রহঃ। ৩ঃ মাওলানা আব্দুল জলিল রহঃ, ৪ঃজনাব তাফাজ্জুল আলি রহঃ ৫ঃ জনাব জমশেদ আলি রহঃ ও ২ মেয়ে ১ঃ আফতাবুন নিসা রহঃ ২ঃ লতিফা বানু রহঃ, এদের মধ্যে ৩য় নাম্বার।তার ছোট ভাই মাওলানা আব্দুল জলিল কাসিমি রহঃ ও ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ ও প্রসিদ্ধ শায়খুল হাদীস। তার কৃতি ছাত্রদের মধ্যে মাওলানা মুফতি নুরুল হক জকিগঞ্জি,মাওলানা নুরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জি, মাওলানা শফিকুল হক আমকুনি রহঃ,মাওলানা আব্দুল আযীয দয়ামিরি রহঃ,মাওলানা মুস্তাকিম আলি রহঃ, মুফতি আব্দুল হান্নান দিনারপুরি রহঃ প্রমুখ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
[[বিষয়শ্রেণী:জীবনী]]
মাওলানা মাহমুদ আলি প্রথম স্ত্রী মাহমুদা বেগম মারা যাওয়ায় সোফিয়া বেগম কে বিয়ে করেন।তিনি ৫ ছেলে ও ৪ মেয়ে ১ঃ রাজিয়া বেগম ২ঃ সালমা বেগম ৩ঃ নাজমা বেগম ৪ঃ হুমায়রা বেগম, কে রেখে যান।প্রথম ছেলে হাফিজ মাওলানা সাইফুল আলম একজন ভালো হাফিজ ও আলেম হিসাবে সমাজে সুপরিচিত।বর্তমানে তিনি যোক্তরাজ্যে সপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এবং দ্বীনের খিদমতে নিয়োজিত আছেন।
দ্বিতীয় ছেলে জনাব কাওসার আলম। ত্বিতিয় ছেলে ফেরদৌস আলম,তিনি রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উচ্চপদে অধিষ্ঠিত আছেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক তাকে বাংলাদেশের স্রেষ্ঠ যুবসংগঠক সম্মাননায় সম্মানিত করে।তিনিও যুক্তরাজ্যে সপরিবারে বসবাস করছেন, বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও যুক্তরাজ্যের বড় বড় সামাজিক সংগঠনের উচ্চপদে অধিষ্ঠিত আছেন।
চতুর্থ ছেলে রুহুল আলম ও পঞ্চম ছেলে খায়রুল আলম, সবাই বিবাহিত ও নিজ নিজ কর্ম সংস্থান নিয়ে দেশে কর্মরত। আল্লাহ তা'লা তাদের সবাইকে হায়াতে তায়্যিবা দান করুন। আমিন।
ইন্তেকাল ও সমাধি ঃ ইলমে হাদিসের এই একনিষ্ঠ খাদিম ২৪ অক্টোবর ২০০১ সালে এ ধরা ত্যাগ করে মহান প্রভুর সান্নিধ্য লাভের আশায় পরলোক গমন করেন।তার জানাজার ইমামতি করেন খলিফায়ে শায়খে কৌড়িয়া হযরত মাওলানা আব্দুল ওয়াহিদ শায়খে তুড়ুগাও রহঃ। এই মহান তার পারিবারিক কবরিস্থানে সমাধিত করা হয়। আল্লাহ তা'লা তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন।আমিন