টেলিফোন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:১৯শ শতাব্দীর উদ্ভাবন যোগ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৬ নং লাইন:
টেলিফোন ডাকপ্রেরণকারী এরপর নম্বর প্রবিষ্টকারক যন্ত্রাংশটির মাধ্যমে ডাকগ্রাহকের নম্বরটি যন্ত্রে প্রবেশ করান। নম্বর প্রবিষ্টকারকের দ্বারা সৃষ্ট সংকেত স্থানীয় টেলিফোন কার্যালয়ের টেলিফোন সুইচগুলিকে সক্রিয় করে এবং ডাকগ্রহণকারী পক্ষের সাথে একটি সম্প্রচারপথ প্রতিষ্ঠিত হয়। টেলিফোন যন্ত্রের নম্বর প্রবিষ্টকারক অংশটি দুই ধরনের হতে পারে। একটিতে বৃত্তাকার চাকতি বা ডায়াল ঘুরিয়ে, অপরটিতে নম্বর দেওয়া চাবি টিপে টিপে নম্বর প্রবেশ করানো হয়।
 
ঘন্টাবাদকঘণ্টাবাদক যন্ত্রাংশটি ব্যবহারকারীকে জানান দেয় যে টেলিফোনের ডাক এসেছে। এজন্য ঘণ্টাবাদকটি একটি ঘণ্টাসদৃশ ধ্বনি বাজায়। ধ্বনিটি যান্ত্রিক বা ইলেকট্রনিক উপায়ে বাজানো হতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই টেলিফোন কার্যালয় থেকে পাঠানো ২০ হার্জ কম্পাঙ্কের ও ৭৫ ভোল্টের পরিবর্তী বৈদ্যুতিক প্রবাহের মাধ্যমে ঘণ্টাবাদকটিকে সক্রিয় করা হয়। সাধারণত ঘন্টাধ্বনিরঘণ্টাধ্বনির প্রতিটি স্পন্দন দুই সেকেন্ড দীর্ঘ হয় এবং দুইটি স্পন্দনের মাঝে ৪ সেকেন্ডের বিরতি থাকে।
 
প্রেরক যন্ত্রাংশটি মূলত একটি অতিক্ষুদ্র মাইক্রোফোন, যা মানুষের কণ্ঠস্বরের শব্দতরঙ্গকে বিদ্যুৎপ্রবাহের স্পন্দনে রূপান্তরিত করে। তারপরে বিদ্যুৎপ্রবাহটিকে তারের মাধ্যমে (বা তারহীনভাবে) প্রেরণ বা সম্প্রচার করা হয় এবং সবশেষে অপরপ্রান্তের টেলিফোনের গ্রাহক অংশটি বিদ্যুৎপ্রবাহের স্পন্দনগুলিকে পুনরায় শব্দতরঙ্গে রূপান্তরিত করে। গ্রাহকটিতে একটি বৈদ্যুতিক চুম্বক থাকে যা একটি পর্দাকে স্পন্দনের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন শক্তিতে আকর্ষণ করে, যার ফলে পর্দাটিতে কম্পনের সৃষ্টি হয়। এই কম্পনগুলি বাতাসে শব্দতরঙ্গের সৃষ্টি করে শ্রবণযোগ্য ধ্বনির জন্ম দেয়। গ্রাহক ও প্রেরক অংশগুলি একটি হাতলেরর মধ্যে বসানো থাকে যার গ্রাহক প্রান্তটি কানের কাছে ও প্রেরক প্রান্তটি মুখের কাছে ধরতে হয়। হাতলটি তারের মাধ্যমে মূল টেলিফোন যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত থাকে।