অলৌকিক ইস্টিমার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নবীন কুমার (আলোচনা | অবদান)
→‎পটভূমি: ভুল বাক্য লিখার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী; তথ্যসূত্র পুনরায় পড়ে দেখলাম
নবীন কুমার-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে আফতাবুজ্জামান-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
২৩ নং লাইন:
 
==পটভূমি==
অলৌকিক ইস্টিমার ছিলো হুমায়ুন আজাদের লেখা প্রথম বই, হুমায়ুন আজাদ এই কবিতাটির বইটিতে লেখা অনেকঅধিকাংশ কবিতাকবিতাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় লিখেছিলেন এবং কিছু কিছু কবিতা লিখেছিলেন ছাত্রাবস্থা শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করার পর। ইস্টিমারের অলৌকিকতা বলতে তিনি নিজের বাল্যজীবনের স্মৃতিচারণকে বুঝিয়েছিলেন, তার গ্রাম ছিলো [[বিক্রমপুর]]ে (এখন [[মুন্সীগঞ্জ জেলা]]তে) এবং ওখানে পদ্মানদীতে স্টিমার আসতো, রাতের বেলাতেও হুমায়ুন আজাদ স্টিমারের আওয়াজে ঘুম ভেঙে উঠে পড়তেন, নিজের বাল্যজীবন এবং ষাটের দশকের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতির প্রতি নিবেদিতই ছিলো তার প্রথম কবিতার এই বইটি। তিনি তার পরবর্তী কবিতার বইগুলোতে এই প্রথম কবিতার বইয়ের মত করে আবেগীয় কবিতা লেখেননি এবং প্রথম জীবনে তিনি যৌনতার বিরোধিতা করে শুধু প্রেমকেই দিতেন প্রাধান্য সেটাও এই কবিতার বইতে লক্ষ্য করা যায়।{{refn|group=বিদ্র|অলৌকিক ইস্টিমার গ্রন্থের অনেক কবিতা লিখেছিলাম ছাত্রাবস্থায় এবং কিছু কিছু লিখেছিলাম ছাত্রাবস্থা শেষ করার পর। এ-কবিতাগুলোর মধ্যে উপলব্ধির চেয়ে আমার আবেগ, দৈনন্দিন জীবনযাপনের আনন্দ, দুঃখ, যন্ত্রণা এবং পরিবেশ বেশি স্থান পেয়েছে। সেজন্য তখন কথ্যভাষার যেসমস্ত শব্দ আমি ব্যবহার করতাম, সেগুলোকে আমি কবিতায় ব্যবহার করেছি। 'ইস্টিমার' শব্দটির একটি ব্যক্তিগত কারণ রয়েছে। আমাদের বাড়ির কিছু দূরেই পদ্মানদী। আমি ছেলেবেলা থেকেই মধ্যরাতে পদ্মায় ইস্টিমারের শব্দ শুনে এসেছি। আজো ইস্টিমারের বাঁশির শব্দ শুনতে পাই। জাহাজই বলতে পারতাম। কিন্তু ইস্টিমার শব্দটি বাল্যকাল থেকে শুনেছি, বলেছি; 'ইস্টিমার' শব্দটি আমার মনে এক বিশেষ আবেগ সৃষ্টি করে।: (প্রাথমিক উৎস){{sfn|আততায়ীদের সঙ্গে কথোপকথন (হুমায়ুন আজাদের সাক্ষাৎকারগ্রন্থ)|১৯৯৫|p=৪০}}}}
 
১৯৭০ সালে হুমায়ুন আজাদ 'যদি তুমি আসো' নামের এক আবেগ-কাতরতাসম্পন্নআবেগীয় [[একতরফা প্রেম]]েরপ্রেমের কবিতা লিখেছিলেন যেটার সঙ্গে [[শামসুর রহমান]]ের 'যদি তুমি না আসো' কবিতার অনেক মিল পাওয়া যায়।{{refn|group=বিদ্র|আমি কবিতাটি লিখেছিলাম ১৯৭০-এ। শামসুর রহমান তার কবিতাটি লিখেছিলেন এক দশক পরে। এই বিষয়টিকে আমি বিস্ময়কর মনে করি। আমি মনে করিনা শামসুর রহমান আমার কবিতা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে কবিতাটি লিখেছেন। একই আবেগ বিভিন্ন ভাবে বিভিন্নজনের কাছে আসতে পারে। শুধু আমি বলতে পারি আমি যে আবেগ বোধ করেছি সত্তরে, শামসুর রহমান তা বোধ করেছেন এক দশক পরে।: (প্রাথমিক উৎস){{sfn|আততায়ীদের সঙ্গে কথোপকথন (হুমায়ুন আজাদের সাক্ষাৎকারগ্রন্থ)|১৯৯৫|p=৪৪}}}}
 
হুমায়ুন আজাদ তার এই কবিতার বইয়ের অনেক কবিতাই [[বুদ্ধদেব বসু]] এবং [[সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]]ের কবিতা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রচনা করেছিলেন।{{refn|group=বিদ্র|কবিতায় আমি ঠিক একক কোনো কবি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছি বলে মনে হয়না, যদিও সুধীন্দ্রনাথ বা জীবনানন্দ এবং পশ্চিমের কোনো কোনো কবি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। আমি সচেতনভাবেই তিরিশ বছর বয়স পর্যন্ত মেনেছি বুদ্ধবেদ বসু এবং সুধীন্দ্রনাথের প্রভাব। তারপর আমার কবিতায় সুধীন্দ্রনাথও নেই, বুদ্ধদেবও নেই।: (প্রাথমিক উৎস){{sfn|আততায়ীদের সঙ্গে কথোপকথন (হুমায়ুন আজাদের সাক্ষাৎকারগ্রন্থ)|১৯৯৫|p=৬৪}}}}