আবদুল মতিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৩ নং লাইন:
 
== শৈশব ও শিক্ষা জীবন ==
আব্দুল মতিন ১৯২৬ সালের [[৩ ডিসেম্বর]] [[সিরাজগঞ্জ জেলা|সিরাজগঞ্জের]] [[চৌহালি উপজেলা|চৌহালি উপজেলার]] ধুবালীয়া গ্রামে এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আব্দুল জলিল এবং মায়ের নাম আমেনা খাতুন। তিনি ছিলেন তাদের প্রথম সন্তান। জন্মের পর তার ডাক নাম ছিল '''গেদু'''। ১৯৩০ সালে গ্রামের বাড়ি যমুনা ভাঙনে ভেঙ্গে গেলে আবদুল জলিল জীবিকার সন্ধানে [[ভারত|ভারতের]] দার্জিলিং এ চলে যান। সেখানে জালাপাহারের ক্যান্টনমেন্টে সুপারভাইস স্টাফ হিসেবে একটি চাকরি পেয়ে যান। ১৯৩২ সালে আব্দুল মতিন শিশু শ্রেণীতে দার্জিলিং-এর বাংলা মিডিয়াম স্কুল মহারাণী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন এবং তখন সেখানেই তার শিক্ষা জীবনের শুরু। ১৯৩৩ সালে আব্দুল মতিনের মাত্র ৮ বছর বয়সে তার মা অ্যাকলেমশিয়া রোগে মারা যান। মহারানী গার্লস স্কুলে ৪র্থ শ্রেণী পাশ করলে এখানে প্রাইমারি স্তরের পড়াশোনার শেষ হয়। এরপর ১৯৩৬ সালে দার্জিলিং গভর্মেন্ট হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হন। তিনি ১৯৪৩ সালে এনট্রেন্স (মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা) পরীক্ষায় ৩য় বিভাগ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। আব্দুল মতিন ১৯৪৩ সালে রাজশাহী গভর্মেন্ট কলেজে ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষে ভর্তি হলেন। ২ বছর পর ১৯৪৫ সালে তিনি এইচ এস সি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] শেষের দিকে আব্দুল মতিন ব্রিটিশ আর্মির কমিশন র‌্যাঙ্কে ভর্তি পরীক্ষা দেন। দৈহিক আকৃতি, উচ্চতা, আত্মবিশ্বাস আর সাহসিকতার বলে তিনি [[ফোর্ট উইলিয়াম, কলকাতা|ফোর্ট উইলিয়াম]] থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কমিশন পান। এরপর তিনি কলকাতা থেকে ব্যাঙ্গালোর গিয়ে পৌঁছান। কিন্তু ততদিনে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। ফলে তিনি একটি সার্টিফিকেট নিয়ে আবার দেশে ফিরে আসেন। দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি ১৯৪৫ সালে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] ব্যাচেলর অব আর্টসে (পাস কোর্স) ভর্তি হলেন। ফজলুল হক হলে তার সিট হয়। ১৯৪৭ সালে গ্র্যাজুয়েশন কোর্স শেষ করেন এবং পরে মাস্টার্স করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে।<ref name="ভাষা মতিন"/>
 
== কর্মজীবন ও রাজনৈতিক জীবন ==
৭২ নং লাইন:
 
==মৃত্যু==
আব্দুল মতিন ২০১৪ সালের [[৮ অক্টোবর]] সকাল ৯টায় [[ঢাকা|ঢাকার]] [[বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)]] চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে দীর্ঘদিন তিনি একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=দৈনিক সমকাল |ইউআরএল=http://www.samakal.net/2014/10/08/90736 |সংগ্রহের-তারিখ=৮ অক্টোবর ২০১৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160305110917/http://www.samakal.net/2014/10/08/90736 |আর্কাইভের-তারিখ=৫ মার্চ ২০১৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> তিনি মরণোত্তর চক্ষু ও দেহদান করেন।<ref name="মতিন মৃত্যু">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ভাষাসৈনিক মতিন আর নেই: Reports|ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/338458/|সংগ্রহের-তারিখ=৮ অক্টোবর ২০১৪|কর্ম= prothom-alo.com|তারিখ=৮ অক্টোবর ২০১৪}}</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==
৮৪ নং লাইন:
{{বাংলা ভাষা আন্দোলন}}
{{একুশে পদক বিজয়ী ২০০১}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:ভাষা আন্দোলনে একুশে পদক বিজয়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯২৬-এ জন্ম]]