পুরাজ্যোতির্বিদ্যা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Summer Solstice Sunrise over Stonehenge 2005.jpg|right|thumb|250px|[[২০০৫]] সালের গ্রীষ্মে তোলা একটি চিত্রে [[স্টোনহেঞ্জ|স্টোনহেঞ্জের]] উপরে সূর্য উদিত হতে দেখা যাচ্ছে।]]
'''পুরাজ্যোতির্বিদ্যা''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Archaeoastronomy) বলতে প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে যেভাবে প্রথাগত জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষ শাস্ত্র নিয়ে চর্চা করা হয়েছে সেগুলোকে তাদের দৃষ্টিকোণ ও উপায়-উপকরণের সাপেক্ষে অধ্যয়ন করাকে বুঝায়। মূলত [[প্রত্নতত্ত্ব|প্রত্নতাত্ত্বিক]] এবং [[নৃতত্ত্ব|নৃতাত্ত্বিক]] প্রমাণাদির মাধ্যমে এই গবেষণা করা হয়। সমকালীন বিভিন্ন সমাজে আকাশ পর্যবেক্ষণ কিভাবে করা হয় তার অধ্যয়নকে অনেক সময় ''নৃজ্যোতির্বিদ্যা'' (ethnoastronomy) নামে আখ্যায়িত করা হয়। অবশ্য নৃজ্যোতির্বিদ্যা পুরাজ্যোতির্বিদ্যারই একটি অংশ না সম্পূর্ণ পৃথক সে নিয়ে কোন স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। পুরাজ্যোতির্বিদ্যার সাথে [[ঐতিহাসিক জ্যোতির্বিজ্ঞান|ঐতিহাসিক জ্যোতির্বিজ্ঞানেরও]] নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, এছাড়া এর সাথে সম্পর্ক রয়েছে [[জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস|জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসের]]। ঐতিহাসিক জ্যোতির্বিজ্ঞান হচ্ছে জ্যোতিষ্কসমূহের ঐতিহাসিক উপাত্ত পর্যালোচনার মাধ্যমে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছার বিদ্যা, আর জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস হচ্ছে লিখিত দলিলসমূহ পর্যালোচনার মাধ্যমে অতীতের জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক গবেষনাসমূহেরগবেষণাসমূহের মূল্যায়ন করার বিজ্ঞান।
 
প্রাচীন কালের মানুষদের জ্যোতির্বিদ্যা অনুশীলনের চিহ্ন আবিষ্কারের জন্য বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা, যেমন প্রত্নতত্ত্ব, নৃবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, ইতিহাস ইত্যাদির কৌশল প্রয়োগ করা হয়। এত শত কৌশলের সার্থক সমন্বয় করতে গিয়ে অনেক বিতর্কের জন্ম হয় যা এখনও পুরাজ্যোতির্বিদদের জন্য একটি বড় সমস্যা। ক্লাইভ রাগলসের মতে পুরাজ্যোতির্বিদ্যাকে ঠিক প্রাচীন মানুষদের জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা বিষয়ক গবেষণা বলা যাবে না, কারণ বর্তমানে [[জ্যোতির্বিজ্ঞান]] বিজ্ঞানের একটি শাখা, কিন্তু প্রাচীনকালে জ্যোতির্বিদ্যার সাথে জ্যোতিষ শাস্ত্রের তেমন কোন পার্থক্য ছিল না এবং আকাশ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তখন মূলত মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করা হতো। আকাশ পর্যবেক্ষণ, তার সাথে জীবনের মিল খোঁজার চেষ্টা এবং বিভিন্ন সংকেতসমৃদ্ধ সংস্কৃতি- সবকিছুই পুরাজ্যোতির্বিদ্যা খতিয়ে দেখে।