চাকমা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বানান সংশোধন ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
৫ নং লাইন:
|poptime = ~৯ লক্ষ(প্রায়)
|popplace = বেশিরভাগ [[বাংলাদেশ]], [[ভারত]] এবং [[মিয়ানমার|মিয়ানমারে]] বসবাস করে
|langs =
|rels = [[Theravada Buddhism|থেরাবাদ বৌদ্ধ]]
}}
'''চাকমা''' তথা '''
। বাংলাদেশ সংবিধানের ২৩(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বলা হয় যে,বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই; বরং মূল বাঙালি জনগোষ্ঠীর বিপরীতে এই অ-বাঙালি জনসমষ্টিকে - উপজাতি; ক্ষুদ্র জাতিসত্তা; নৃগোষ্ঠী নামে অভিহিত করা হয়েছে। তবে, এই অবাঙালি জনগোষ্ঠী জাতিসংঘ আদিবাসী অধিকার ঘোষণা ২০০৭ এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ১০৭ ও ১৬৯ নং কনভেনশনের ঘোষণা অনুযায়ী নিজেদের আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি আদায়ের কর্মসূচী পালন করে আসছে। চাকমারা [[মঙ্গোলীয় জাতি|মঙ্গোলীয় জাতির]] একটি শাখা। বর্তমান মিয়ানমারের আরাকানে বসবাসকারী ডাইংনেট জাতিগোষ্ঠীকে চাকমাদের একটি শাখা হিসেবে গণ্য করা হয়। এবং এরা প্রধানত থেরাবাদ [[বৌদ্ধ ধর্ম|বৌদ্ধ ধর্মের]] অনুসারী। [[বুদ্ধপুর্ণিমা]] ছাড়া তাদের অন্যতম প্রধান আনন্দ উৎসব হচ্ছে [[বিজু]]।
বাংলাদেশের [[রাঙামাটি জেলা|রাঙামাটি]] ও [[খাগড়াছড়ি জেলা|খাগড়াছড়ি]]তে এদের সংখ্যা বেশি। তবে [[বান্দরবান জেলা|বান্দরবানে]]ও সংখ্যায় চাকমাদের উপস্থিতি রয়েছে। চাকমা জনগোষ্ঠীর কিছু অংশ বর্তমান ভারতের উত্তর-পূর্বাংশে তথা ত্রিপুরা ও অরুণাচল রাজ্যে বসবাস করছে। এছাড়া চাকমাদের বড় একটি অংশ অভিবাসন নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। এদের প্রধান জীবিকা কৃষি কাজ। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমতল অংশে স্বাভাবিক সেচ পদ্ধতিতে মৌসুমী কৃষি কাজ, এবং পাহাড়ি অঞ্চলে জুম চাষের মাধ্যমে চাকমা জনগোষ্ঠী বিভিন্ন খাদ্যশস্য ও রবিশস্য উৎপাদন করে থাকে।
চাকমাদের ভাষার নামও চাকমা (
চাকমা শব্দটি সংস্কৃত শব্দ শক্তিমান থেকে আগত <ref>Gutman, Pamela-Ancient Arakan, 1976, Australian National University Press. P. 14</ref>. বর্মী রাজত্বের শুরুর দিককার সময়ে বর্মী রাজারা এই চাকমা নামকরনের প্রচলন করেন। তখনকার সময়ে বর্মী রাজারা, চাকমাদের রাজার পরামর্শক, মন্ত্রী এবং পালি ভাষার বৌদ্ধধর্মের পাঠ অনুবাদকের কাজে নিয়োগ প্রধান করতেন। রাজা কর্তৃক সরাসরি নিয়োগকৃত হওয়াতে বর্মী রাজ দরবারে চাকমারা বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। বার্মায় প্রচলিত চাকমাদের নাম সংক্ষেপ "সাক" শব্দটি সংস্কৃত শব্দ শক্তিমানের বিকৃত রুপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এরই এক পর্যায়ে, জনগোষ্ঠীটির নাম "সাকমা" এবং পরবর্তীতে বর্তমান "চাকমা" নামটি গ্রহণযোগ্যতা পায়। <ref name="Buchanan">{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Buchanan |প্রথমাংশ=Francis |শিরোনাম=Francis Buchanan in Southeast Bengal |বছর=1992 |প্রকাশক=Dhaka University Press |অবস্থান= |আইএসবিএন=984-05-1192-0 |পাতাসমূহ=104}}</ref>
|