সমতল পৃথিবী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ... |
|||
৩ নং লাইন:
চারপাশে তাকালে পৃথিবীকে সমতল মনে হয়। কারণ পৃথিবী এতো বড় গোলক যে, কোন নির্দিষ্ট স্থান থেকে চারপাশটা সমতল মনে হয়। বিজ্ঞানের যে পরীক্ষাগুলোতে পৃথিবীর উপরিতলের ছোট কোন অংশ নিয়ে কাজ করা হয় সেখানে সমতলই ধরা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ফলাফলের খুব একটা হেরফের হবে না। কিন্তু বৃহৎ দূরত্বের ক্ষেত্রে অবশ্যই গোলাকার ধরতে হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর তলকে সমতল ধরা হবে না গোলাকার ধরা হবে তা, কোন ধরনের কাজ করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে। এ কারণেই প্রাচীন যুগে কেবল নাবিক বা জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছাড়া কারও পৃথিবী গোলাকার এটা চিন্তা করার প্রয়োজন পড়তো না। অবশ্য দার্শনিক ও ধর্মতত্ত্ববিদরাও এ নিয়ে চিন্তা করেছেন।
খ্রিস্টান ধর্মে এক সময় বিশ্বাস করা হতো, পৃথিবী সমতল। বর্তমানে এই বিশ্বাসকে "সমতল পৃথিবীর পুরাণ" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
এ যুগে মনে করা হয়, মধ্য যুগের মানুষ বিশ্বাস করতো পৃথিবী সমতল। অর্থাৎ গ্রিক যুগের পর কোন কারণে সমতল পৃথিবীর ধারণা ফিরে আসে। জেফ্রি রাসেল বলেন, মধ্য যুগে যে সমতল পৃথিবীর ধারণা ছিল তা ঊনবিংশ শতকে মানুষের কল্পনায় এসেছে। ১৮২৮ সালে প্রকাশিত [[ওয়াশিংটন আরভিং]]-এর ''The Life and Voyages of Christopher Columbus'' রূপকথাটি এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। এরা সবাই অবশ্য সমতল পৃথিবীর ধারণাকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে [[ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটি]] নামে একটি সংগঠন আছে যার সদস্যরা সমতল পৃথিবীতে বিশ্বাস করে এবং এ বিশ্বাস প্রসারের জন্য কাজ করে।
|