শিশুপাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
|||
৮ নং লাইন:
}}
[[File:Krishna kills Shishupala.jpg|thumb|শ্রীকৃষ্ণের শিশুপাল বধ]]
'''শিশুপাল''' ({{lang-sa|शिशुपाल}}) ছিলেন [[চেদী রাজ্য|চেদী রাজ্যের]] রাজা দমঘোষ এবং [[বসুদেব]] ও [[কুন্তী]]র ভগিনী শ্রুতস্রবার পুত্র৷ রাজসভায় [[যুধিষ্ঠির|যুধিষ্ঠিরের]] রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানের সময়ে [[বিষ্ণু]]র অষ্টম অবতার কৃষ্ণের প্রতি শিশুপাল অষ্টোত্তর শততম কটুক্তির দ্বারা অপমানের সময়ে [[কৃষ্ণ]] চক্র দ্বারা তাঁকে হত্যা করেন৷ চেদী রাজ্যের রাজবংশের সন্তান হওয়ার দরুন শিশুপাল চৈদ্য নামেও পরিচিত ছিলেন৷<ref>{{
শিশুপাল এবং তার মাসতুতো ভ্রাতা [[দন্তবক্র]] উভয়কে গোলোকধামে শ্রীবিষ্ণুর দুই দ্বাররক্ষী [[জয় ও বিজয়|জয় ও বিজয়ের]] মর্তলোকে তৃতীয় ও শেষ জন্ম বলে মনে করা হয়৷ কৃৃষ্ণের হাতে উভয়ে মৃৃত্যুবরণ করে ও পাপস্খলন করে তাঁরা আবার বিষ্ণুনিবাস [[বৈকুণ্ঠ|বৈকুণ্ঠে]] প্রবেশ করার অনুমতি পান৷
১৬ নং লাইন:
[[মহাভারত|মহাভারতে]] বর্ণিত রয়েছে যে শিশুপালের জন্মে সময় অস্বাভাবিকভাবে তার তিনটি চক্ষু ও চার হাত ছিলো৷ তাঁর পিতা ও মাতা এরূপ অস্বাভাবিক পুত্রপ্রাপ্তিতে চিন্তিত হয়ে তাকে একপ্রকার মেরে ফেলতে চাইলে দৈব আকাশবাণী হয় ও তাদের এই পাপ করা থেকে বিরত রেখে সাবধান করা হয় যে সদ্যজাত শিশুটির মৃত্যুর সময় তখনও হয়নি৷ একই সাথে ভবিষ্যতবাণী করা হয় যে সদ্যজাত শিশুপালের অস্বাভাবিক দেহাংশগুলি এক বিশেষ বালকের সংস্পর্শে লুপ্ত হবে ঐ একই জনের হাতে শিশুপাল ভবিষ্যতে নিহত হবে৷ সদ্যজাত শিশুপালকে দেখতে তাঁর মাতুল্যভ্রাতা কৃষ্ণ চেদীরাজ্যে পদার্পণ করেন ও নিজের হাঁটুতে সদ্যজাতকে রাখেন৷ এমতাবস্থায় শিশুপালের তৃৃতীয় নয়ন ও অতিরিক্ত দুটি হাত অবলুপ্ত হলে উপস্থিত সকলে শিশুপালের ভবিষ্যত পরিণতি বূঝতে পারেন এবং নিশ্চিত হন যে শিশুপালের মৃৃৃত্যু কৃষ্ণের হাতেই হবে৷ সমস্ত ঘটনা আন্দাজ করতে পেরে শিশুপালের মাতা শ্রুতস্রবা তার ভ্রাতুষ্পুত্র কৃৃষ্ণকে প্ররোচিত করেন যেন কৃষ্ণ তার এই ভ্রাতাটির ভবিষ্যত এক শত আটটি পর্যন্ত পাপ ক্ষমা করে দেন৷
বিদর্ভের রাজপুত্র [[রুক্মী]] শিশুপালের সাথে যথেষ্ট ঘনিষ্ট ছিলেন৷ তিনি তার ভগিনী রুক্মিণীর বিবাহ চেদীরাজ শিশুপালের সাথে দিতে চাইলে কৃষ্ণ বিবাহ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পূর্বেই তাঁকে অপহরণ করে বিবাহ করেন৷ শিশুপালের কৃৃষ্ণকে ঘৃনা করাও এটিও অন্যতম কারন৷
[[যুধিষ্ঠির|যুধিষ্ঠিরে]]র রাজসূয় যজ্ঞের সময়ে তিঁনি ভীমকে চেদীদেশে নররাজা শিশুপালের কাছে যুধিষ্ঠিরের আনুগত্য স্বীকার করার কথা বললে শিশুপাল নির্বিরোধে তা স্বীকার করেন ও [[ইন্দ্রপ্রস্থ]] থেকে আসা আমন্ত্রন গ্রহণ করেন৷
পাণ্ডবদের সিদ্ধান্তে সেই যজ্ঞে প্রধান অতিথিরূপে আমন্ত্রিত থাকেন বাসুদেব কৃৃষ্ণ৷ এই ঘটনা শিশুপালের মনে রাগের উদ্রেক ঘটায় এবং সভায় উপস্থিত সকলের সামনে তিঁনি কৃষ্ণকে অপমান করতে থাকেন৷ তিঁনি কৃষ্ণকে ভীরুচিত্ত ও রাজা হওয়ার অযোগ্য বলে অবমাননা করেন৷ <ref>{{
সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দীতে [[মাঘ (কবি)|কবি মাঘের]] লেখা [[শিশুপালবধ]] কাব্যটি একটি অনবদ্য শাস্ত্রীয় [[সংস্কৃত সাহিত্য]]৷ এটি একটি মহাকাব্যিক কবিতাশৈলী যাতে ১৮০০ টি উচ্চ অলঙ্কৃত পংক্তি ও ২০ টি সর্গ ব্যবহার করা হয়,
==তথ্যসূত্র==
|