চন্দ্রশেখর সীমা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ragib (আলোচনা | অবদান)
iw
Tanvir (আলোচনা | অবদান)
১ম অনুচ্ছেদে শ্বেত বামন যোগ করা হলো+২য় অনুচ্ছেদ যোগ করা হলো
১ নং লাইন:
একটি স্থিতিশীল শীতল [[শ্বেত বামন]] তারকার সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ভর। ভর এর চাইতে বেশী হলে তারকাটি চুপসে কৃষ্ণগহবরে[[কৃষ্ণবিবর|কৃষ্ণবিবরে]] পরিণত হবে।
 
[[১৯৩১]] সালে ভারতীয় জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী [[সুব্রাহ্মন্যন চন্দ্রশেখর]] দেখান যে, একটি শ্বেত বামন তারকার জন্য এই ভরের মান ১.৪১ [[সৌরভর]] এর সমান। এবং এই পর্যায়ে তারাটি ঘূর্ণায়মান হবে। তাঁর নামানুসারে এই সীমার নামকরণ করা হয়েছে। তবে দ্রুত এবং বিভিন্ন অংশে ভিন্ন ভিন্ন ঘূর্ণন হার বিশিষ্ট তারার জন্য [[ডুরিসেন]](১৯৭৫) দেখান যে, এই ভরের মান ৩ সৌরভরের সমান হতে পারে। শ্বেত বামন তারার ভর বেশী হলে মহাকর্ষ একে সংকুচিত করে ফেলতে চায়। ফলে এর অন্তর্গত ইলেকট্রনগুলি উচ্চতর শক্তিদশায় পৌছে এবং এদের গতিবেগ বাড়ার সাথে সাথে চাপও বাড়তে থাকে। পদার্থের এধরনের পরিস্থিতিকে বলে অপজাত অবস্থা(degenerate matter)। মহাকর্ষের ক্রমবর্ধমান চাপে একই কোয়ান্টাম দশায় একাধিক ইলেকট্রন থাকার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু ইলেকট্রন হলো [[ফার্মিয়ন]]। এরা [[ফার্মি-ডিরাক পরিসংখ্যান]] মেনে চলে। এরা [[পলির বর্জন নীতি]] অনুমোদন করে। পলির বর্জন নীতি অনুযায়ী একই কোয়ান্টাম দশায় একাধিক ইলেকট্রন থাকতে পারে না। তাই একাধিক ইলেকট্রনকে একই কোয়ান্টাম দশায় আসতে বাধ্য করা হলে এরা একরকমের চাপ দেয় যা [[ফার্মি-চাপ]] বা [[অপজাত চাপ]] নামে পরিচিত। এই চাপের উপস্থিতিতে তারাটি অন্তর্মুখী মহাকর্ষ বলকে কোনক্রমে ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয় এবং শ্বেত বামনে পরিনত হয়। চন্দ্রশেখর গাণিতিকভাবে দেখান যে, সর্বোচ্চ যে ভর থাকলে তারাটি এই অবস্থায় পৌছতে পারে তা ১.৪১ সৌরভরের সমান। এরচেয়ে বেশী ভরবিশিষ্ট তারার পরিনতি কৃষ্ণবিবর।