নারী (বই): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
নাফিস রাফিদ- (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩৫ নং লাইন:
''নারী'' বইটিতে সর্বমোট ৪০৮ টি পৃষ্ঠা রয়েছে এবং অধ্যায় আছে ২১ টি (নারীবাদ ও নারীবাদের কালপঞ্জি, রচনাপঞ্জি এবং নির্ঘন্ট সহ ২৪টি)।
== পটভূমি ==
নারীবাদের প্রতি হুমায়ুন আজাদের আগ্রহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন, তবে তিনি মূলত 'পূর্বাভাস' পত্রিকার সম্পাদকের অনুরোধে এই বইটি লিখতে উদ্যত হন।{{refn|group=বিদ্র|নারীবাদের প্রতি আমার আগ্রহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থা থেকেই। ১৯৬৬ থেকেই নারীবাদী নানা বইপত্র কিনেছি, কোনো কোনো বই শুধু কিনেছি, পড়িনি; বিদেশে থাকার সময়ও বেশ কিছু বইপত্র কিনেছি, কিছু পড়েছি কিছু পড়িনি।[..................] পূর্বাভাসে বাবু অনুরোধ জানায় নারী সম্পর্কে কিছু লেখার।: (প্রাথমিক উৎস){{sfn|আততায়ীদের সঙ্গে কথোপকথন (হুমায়ুন আজাদের সাক্ষাৎকারগ্রন্থ)|১৯৯৫|p=৭০}}}}
== মূল বিষয় ==
এ বইটি মূলত বিভিন্ন বিদেশী বই এর ওপর ভিত্তি করে লেখা যা বইটির অবতরণিকাতেই উল্লেখিত। বইটিতে পুরুষতন্ত্রবাদ এবং হিন্দু, ইহুদী, খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মের বিধি-বিধান দ্বারা নারী কিভাবে শোষিত হয় তার কথা বলা হয়েছে। বইটির প্রথম অধ্যায় শুরু হয় ফরাসী লেখিকা [[সিমোন দ্য বোভোয়ার|সিমোন দ্য বোভোয়ারের]] বিখ্যাত উক্তি 'কেউ নারী হয়ে জন্ম নেয় না, ক্রমশ নারী হয়ে ওঠে' দিয়ে। বিভিন্ন অধ্যায়ে অনেক খ্যাতিমান মানুষ যেমন মনোবিজ্ঞানী [[সিগমুন্ড ফ্রয়েড]], কবিগুরু [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]], কবি [[সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]], বিশিষ্ট সাহিত্যিক [[বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]], ফরাসী দার্শনিক [[জ্যা জ্যাক রুশো]] সহ অনেক ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সমালোচনা করা হয়েছে, এছাড়াও 'প্রেম ও কাম' অধ্যায়ে প্রেমের বিরোধিতা করে 'কাম' বা 'যৌনতা'র পক্ষে কথা বলা হয়েছে এবং 'বিয়ে ও সংসার' অধ্যায়ে বিয়ের বিরোধিতা করা হয়েছে।