শিশুপাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৫ নং লাইন:
 
[[মহাভারত|মহাভারতে]] বর্ণিত রয়েছে যে শিশুপালের জন্মে সময় অস্বাভাবিকভাবে তার তিনটি চক্ষু ও চার হাত ছিলো৷ তাঁর পিতা ও মাতা এরূপ অস্বাভাবিক পুত্রপ্রাপ্তিতে চিন্তিত হয়ে তাকে একপ্রকার মেরে ফেলতে চাইলে দৈব আকাশবাণী হয় ও তাদের এই পাপ করা থেকে বিরত রেখে সাবধান করা হয় যে সদ্যজাত শিশুটির মৃত্যুর সময় তখনও হয়নি৷ একই সাথে ভবিষ্যতবাণী করা হয় যে সদ্যজাত শিশুপালের অস্বাভাবিক দেহাংশগুলি এক বিশেষ বালকের সংস্পর্শে লুপ্ত হবে ঐ একই জনের হাতে শিশুপাল ভবিষ্যতে নিহত হবে৷ সদ্যজাত শিশুপালকে দেখতে তাঁর মাতুল্যভ্রাতা কৃষ্ণ চেদীরাজ্যে পদার্পণ করেন ও নিজের হাঁটুতে সদ্যজাতকে রাখেন৷ এমতাবস্থায় শিশুপালের তৃৃতীয় নয়ন ও অতিরিক্ত দুটি হাত অবলুপ্ত হলে উপস্থিত সকলে শিশুপালের ভবিষ্যত পরিণতি বূঝতে পারেন এবং নিশ্চিত হন যে শিশুপালের মৃৃৃত্যু কৃষ্ণের হাতেই হবে৷ সমস্ত ঘটনা আন্দাজ করতে পেরে শিশুপালের মাতা শ্রুতস্রবা তার ভ্রাতুষ্পুত্র কৃৃষ্ণকে প্ররোচিত করেন যেন কৃষ্ণ তার এই ভ্রাতাটির ভবিষ্যত এক শত আটটি পর্যন্ত পাপ ক্ষমা করে দেন৷
 
বিদর্ভের রাজপুত্র [[রুক্মী]] শিশুপালের সাথে যথেষ্ট ঘনিষ্ট ছিলেন৷ তিনি তার ভগিনী রুক্মিণীর বিবাহ চেদীরাজ শিশুপালের সাথে দিতে চাইলে কৃষ্ণ বিবাহ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পূর্বেই তাঁকে অপহরণ করে বিবাহ করেন৷ শিশুপালের কৃৃষ্ণকে ঘৃনা করাও এটিও অন্যতম কারন৷
 
[[যুধিষ্ঠির|যুধিষ্ঠিরে]]র রাজসূয় যজ্ঞের সময়ে তিঁনি ভীমকে চেদীদেশে নররাজা শিশুপালের কাছে যুধিষ্ঠিরের আনুগত্য স্বীকার করার কথা বললে শিশুপাল নির্বিরোধে তা স্বীকার করেন ও [[ইন্দ্রপ্রস্থ]] থেকে আসা আমন্ত্রন গ্রহণ করেন৷
 
পাণ্ডবদের সিদ্ধান্তে সেই যজ্ঞে প্রধান অতিথিরূপে আমন্ত্রিত থাকেন বাসুদেব কৃৃষ্ণ৷ এই ঘটনা শিশুপালের মনে রাগের উদ্রেক ঘটায় এবং সভায় উপস্থিত সকলের সামনে তিঁনি কৃষ্ণকে অপমান করতে থাকেন৷ তিঁনি কৃষ্ণকে ভীরুচিত্ত ও রাজা হওয়ার অযোগ্য বলে অবমাননা করেন৷ <ref>{{Cite web|url=https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/mahabharata/d/doc118386.html|title=Shishupala's Liberation [Chapter 6]|last=www.wisdomlib.org|date=2015-01-09|website=www.wisdomlib.org|access-date=2019-06-01}}</ref> তাঁর দেওয়া পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কৃৃৃষ্ণ শিশুপালের একশত আটটি পাপকে ক্ষমা করেন৷ মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে একটিও অধিক পাপবাক্য শিশুপাল বললে ঐ সভাস্থলেই [[সুদর্শন চক্র]] দিয়ে শিশুপালের শিরোচ্ছেদ করেন৷ শিশুপালের আত্মা দেহ থেকে বেরিয়ে শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে বিলীন হয় এবং শিশুপাল ইহজগৎ থেকে নিস্তার পান৷
 
সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দীতে [[মাঘ (কবি)|কবি মাঘের]] লেখা [[শিশুপালবধ]] কাব্যটি একটি অনবদ্য শাস্ত্রীয় [[সংস্কৃত সাহিত্য]]৷ এটি একটি মহাকাব্যিক কবিতাশৈলী যাতে ১৮০০ টি উচ্চ অলঙ্কৃত পংক্তি ও ২০ টি সর্গ ব্যবহার করা হয়, <ref name=indica>{{citation | title = Encyclopaedia Indica: India, Pakistan, Bangladesh | author1=S. S. Shashi | publisher=Anmol Publications PVT. LTD. | year = 1996 | isbn=978-81-7041-859-7 | page=160 | url=https://books.google.com/books?id=GOexbgmDNNoC&pg=PA160&dq=sisupala}}</ref> যা এটিকে ছয়টি অতুল্য সংস্কৃত মহাকাব্যে একটি বলে মান্যতা দেয়৷ কবির নামে এটি ''মাঘকাব্য'' নামেও পরিচিত৷
 
==তথ্যসূত্র==