বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Abidurrahman1994 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Abidurrahman1994 (আলোচনা | অবদান)
→‎শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারী ও বেসরকারি কার্যক্রম: বানান ঠিক করা হয়েছে, ব্যাকরণ ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
৯২ নং লাইন:
 
== শিক্ষার মানউন্নয়নে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালুর প্রপাগাণ্ডা =
১৯৬২ সালের দিকে স্কুল ফাইনাল পরীক্ষাকে SSC-এর পরিবর্তে ম্যাট্রিকুলেশান বা প্রবেশিকা পরীক্ষা বলা হতো। বাংলা, ইংরেজী, ইতিহাস, ভূূগোল, অংক এবং ক্লাসিক্যাল ল্যাংগুয়েজ (উর্দু, আরবী অথবা সংস্কৃতি) ছাড়াও ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে সাধারণ বিজ্ঞান, ইলিমেন্টরি ম্যাথ অথবা হোম-ইকনমিকস-এর যে কোন একটি নিয়ে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করতে হতো। প্রবেশিকা পাশের পর কলেজে ইন্টার ক্লাসে তারা যে কোন বিষয়ে (বাণিজ্য, কলা, বিজ্ঞান) ভর্তি হতে পারতো। এমনকি ম্যাট্রিক পাস করে সরাসরি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রথা চালু ছিল। এই পদ্ধতিকেই বলা হয় একমুখী শিক্ষা ব্যাবস্থা।শিক্ষাব্যবস্থা।
 
মুলতঃ একমুখী শিক্ষা হলো মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে একই সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত শিক্ষা পদ্ধতি। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘একমুখী শিক্ষা’ কথাটি বেশ গুরুত্বের দাবি রাখে। কেননা এখানে প্রচলিত রয়েছে সাধারণ শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং ইংরেজি শিক্ষা। যার দ্বারা তৈরি হচ্ছে ভিন্নমত সম্বলিত মানুষ। যার জন্য একক ভাবে দায়ী আমাদের বহুমুখী শিক্ষাব্যবস্থা। এই অবস্থার উন্নতি কল্পে আমাদের দরকার একমুখী শিক্ষাব্যাবস্থা।শিক্ষাব্যবস্থা। সাধারণভাবে একমুখী শিক্ষা বলতে উল্লিখিত সকল শিক্ষাব্যবস্থায় একই পাঠ্যক্রম অনুসরণ করাকে বুঝায়।
 
একমুখি শিক্ষা ব্যাবস্থা বাতিল হয় কবে থেকেঃ
১০০ নং লাইন:
 
একমুখী শিক্ষা আবার চালুর প্রকৃয়াঃ
১৯৮০ এর দশকে প্রথম মাধ্যমিক স্তরে একমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় কিন্তু মাত্র ৬ মাস চালু থাকার পর শিক্ষা কারিকুলাম প্রচলিত ব্যবস্থায় ফিরে পায়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মত একমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও তা বেশী দূর এগোয়নি। একমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য গবেষণা, সিলেবাস প্রণয়ন ও প্রস্তুুতি বাবদ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের বরাদ্দ ৪৯০ কোটি টাকার পুরোটাই বিদেশ ভ্রমণ, পরামর্শক ফি ইত্যাদি খাতে খরচ দেখিয়ে সিংহভাগই ব্যয় করা হয়েছে। ২০০৫ সালের ১২ জুলাইয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সরকার ২০০৬ সালের শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম-দশম শ্রেণীতে একমুখী শিক্ষা প্রবর্তণের ঘোষণা দেয়। ২০০৬ সালের নতুন শিক্ষা বর্ষ শুরুর মাত্র ২৫ দিন আগে ১ ডিসেম্বর ২০০৫ মন্ত্রী পরিষদের এই সিদ্ধান্তের ফলে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা স্থগিত করা হলো।
এগোয়নি। একমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য গবেষণা, সিলেবাস প্রণয়ন ও প্রস্তুুতি বাবদ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের বরাদ্দ ৪৯০ কোটি টাকার পুরোটাই বিদেশ ভ্রমণ, পরামর্শক ফি ইত্যাদি খাতে খরচ দেখিয়ে সিংহভাগই ব্যয় করা হয়েছে। ২০০৫ সালের ১২ জুলাইয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সরকার ২০০৬ সালের শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম-দশম শ্রেণীতে একমুখী শিক্ষা প্রবর্তণের ঘোষণা দেয়। ২০০৬ সালের নতুন শিক্ষা বর্ষ শুরুর মাত্র ২৫ দিন আগে ১ ডিসেম্বর ২০০৫ মন্ত্রী পরিষদের এই সিদ্ধান্তের ফলে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা স্থগিত করা হলো।
তবে বর্তমানে আবার চেষ্টা করা হচ্ছে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তে একমুখি শিক্ষা ব্যাবস্থা প্রচলণ করার।
 
একমুখী শিক্ষাব্যাবস্থাশিক্ষাব্যবস্থা চালুর পেছনে অন্তরায় সমুহঃ
বিভিন্ন রকমের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার দ্বারা গঠণ হওয়া ভিন্ন মতের মানসিকতাই এই পদ্ধতি চালুর পথে অন্তরায়। দেখা যাচ্ছে জেনারেল শিক্ষিত মানুষেরা মাদ্রাসা শিক্ষার সাবজেক্ট গুলোকে ভালো দৃষ্টিকোণে দেখেনা, আবার একই সাথে মাদ্রাসার শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গও স্কুল বা কলেজের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ভালো দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেননা। যদি তারা উভয় পক্ষ কম্প্রোমাইজ করে দুই শিক্ষা ব্যাবস্থার মাঝে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করতে পারেন তবে অবশ্যই একমুখী শিক্ষা ব্যাবস্থা গঠনের পক্ষের সহমত তৈরি হবে এবং এই পথের অন্তরায় দূর হবে। (মোঃ আবিদুর রহমান- IBA-DU)