গুনেশিন কিজলারি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১৬ নং লাইন:
 
== গল্প ==
গুনেশ ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলা যিনি তিন মেয়ে নিয়ে ইজমিরে থাকেন। তার যমজ মেয়ে সেলিন ও নাজলি ।যাদের বয়স ১৭ বছর । তার আরেক মেয়ে পেরি।যার বয়স ১৫ বছর । তিনি একজন সাহিত্যের শিক্ষক। তাকে তার স্বামী ছেড়ে চলে গেছে।ধনী ব্যক্তি হালুক মের্তোসালুর সাথে তার দেখা হয় এবং তার প্রেমে পড়ে যান। তারপরে তিনি নিজের মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।নাজলি এই বিয়ের পরিপন্থী ছিল। সেলিন এই পদক্ষেপে খুব খুশি হয় এবং পরে বড়লোকের বাচ্চাদের সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করেছিল।ছোট মেয়ে পেরি বলে যে তার মাকে খুশি করতে সে এতে রাজি। নাজলির অমত সত্ত্বেও হালুক গুনেশের থেকে বিদায় নেয় না। তিনি তার মেয়েদের সাথে ইস্তাম্বুলে যান এবং হালুকের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন ।নাজলি যেতে রাজি হয় না।কিন্তু স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ে সে ইস্তাম্বুলে যায়।পথে তার সাভাসের সাথে দেখা হয়।প্রথম দেখায় সাভাসকে নাজলির ভাল লাগে।এরপর রানা (হালুকের বড় বোন)র জন্মদিনের পার্টিতে সাভাস নাজলির জীবন বাচায়।তাদের মধ্যে এক অদ্ভু্ত‌ সম্পর্কের শুরু হয়।
 
হালুকের পরিবারে রানা (হালুকের বড় বোন), আহমেট ও ইনসি (আহমেটের স্ত্রী), আলী (প্রাক্তন স্ত্রীর পুত্র, সেভিলয়) এবং সাভাস (রানার দত্তক পুত্র) রয়েছে। সেভিলে বা সেভিলায়(হালুকের প্রাক্তন স্ত্রী) আলাদা থাকেন।
 
গুনেশ ও তার মেয়েদের আগমনের ফলে আলি ও সাভাসের জীবনে বড় সড় পরিবর্তন ঘতে।তাদের আগমনের ফলে হালুক ও তার পরিবারের গোপন কথা একের পর এক প্রকাশ পেতে থাকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.turkishdrama.com/daughters-of-sun-gunesin-kizlari.html|শিরোনাম=Sunshine Girls - Daughters of Sun (Gunesin Kizlari) Tv Series|তারিখ=2015-08-11|ওয়েবসাইট=Turkish Drama|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-02-23}}</ref>আলি (হালুকের ছেলে) অতিথিদের আসাতে সন্তুষ্ট নয় । সে সেলিনকে তার নতুন প্রতিপক্ষ হিসাবে টার্গেট করে। আলীর শৈশব সুখের ছিল না। সে কখনও তার বাবা বা মার ভালবাসা পায় নি। সেলিন আলীর পাশে দাঁড়ায় এবং তার সমস্যাগুলি শুনে। আলির মনে সেলিনের জন্য জায়গা তৈরি হয়। তবে আলী কীভাবে সেলিনের প্রতি তার অনুভূতি প্রকাশ করবে তা জানত না ।এর ফলে তাদের মধ্যে অনেক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তারা একে অপরের সাথে নিজেদের গোপন কথা ভাগ করে নেয় । আলী সেলিনকে তার পিতা (জাফর) এর থেকে রক্ষা করে। এর ফলে তাদের মধ্যে তীব্র প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । পরে জানা যায় যে আলী হালুকের নিজের ছেলে নয় । হালুককে বিয়ে করার আগে তার মায়ের অন্য একটা সম্পর্ক ছিল। এরপর সেলিন হালুকের অতীতের অন্ধকার রহস্য উদঘাটন করে ।সে জানতে পারে যে তার মায়ের যখন বয়স কম ছিল তখন হালুকই তার মাকে ধর্ষণ করেছিল এবং তার সাথে খারাপ ব্যবহার হালুকই করত। যমজ বোনদের বাবা আসলে হালুক । হালুকের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও আলী এবং সেলিন পরে বিয়ে করে। হালুক তাদের আলাদা করার চেষ্টা করে।কিন্তু সফল হয় না। শেষ পর্যন্ত হালুক আত্মহত্যা করে । আলী ও সেলিন ইজমিরে চলে যায়।
গুনেশ ও তার মেয়েদের আগমনের ফলে আলি ও সাভাসের জীবনে বড় সড় পরিবর্তন ঘটে।তাদের আগমনের ফলে হালুক ও তার পরিবারের গোপন কথা একের পর এক প্রকাশ পেতে থাকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.turkishdrama.com/daughters-of-sun-gunesin-kizlari.html|শিরোনাম=Sunshine Girls - Daughters of Sun (Gunesin Kizlari) Tv Series|তারিখ=2015-08-11|ওয়েবসাইট=Turkish Drama|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-02-23}}</ref> সাভাস অন্যদের থেকে দূরে থাকে।হালুক নাজলির মাকে ধোঁকা দিচ্ছে এই সন্দেহে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে সাভাসের সাথে নাজলির ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়।সে জানতে পারে সাভাস তার প্রাক্তন প্রেমিকা মেলিসার অন্তর্ধানের জন্য পুলিশের চোখে অভিজুক্ত।সবাই তাকে দোষী মনে করে।তার ব্যাপারে কুকথা বলে। এমন কি সে নিজে ও নিজেকে দোষী মনে করে।নিজেকে সে তাই সবার থেকে দূরে সরে রাখে। সে অনেক বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল।মারত (মেলিসার ছোট ভাই) বোনের হত্যার প্রতিশোধ নিতে মারার চেষ্টা করে।তখন এ ব্যাপারে খোঁজ করে নাজলি ও সাভাস জানতে পারে মেলিসার অন্তর্ধানে সাভাসের দোষ নেই।মেলিসা জীবিত।মেলিসার অন্তর্ধানে মের্টোগলু পরিবারের হাত আছে।
 
আলি (হালুকের ছেলে) অতিথিদের আসাতে সন্তুষ্ট নয় । সে সেলিনকে তার নতুন প্রতিপক্ষ হিসাবে টার্গেট করে।তুগচে সেলিনকে অপদস্ত করতে অংশীদার হয়। সে একসময় ইমরের প্রেমিকা ছিলেন কিন্তু তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। সেলিন প্লেবয় এমেরের প্রেমিকা হয়। কিন্তু সেলেনকে আলি দ্বারা চুমু খেয়েছে বলে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। আলীর শৈশব সুখের ছিল না। সে কখনও তার বাবা বা মার ভালবাসা পায় নি। সেলিন আলীর পাশে দাঁড়ায় এবং তার সমস্যাগুলি শুনে। আলির মনে সেলিনের জন্য জায়গা তৈরি হয়। তবে আলী কীভাবে সেলিনের প্রতি তার অনুভূতি প্রকাশ করবে তা জানত না ।এর ফলে তাদের মধ্যে অনেক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তারা একে অপরের সাথে নিজেদের গোপন কথা ভাগ করে নেয় । আলী সেলিনকে তার পিতা (জাফর) এর থেকে রক্ষা করে। এর ফলে তাদের মধ্যে তীব্র প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ।
 
গুনেশ মনে করত জাফর, তার প্রাক্তন স্বামী এবং প্রাক্তন প্রেমিক তাকে ধর্ষণ করেছিল। যমজ মেয়েরা হল তার মেয়ে। জানা যায় জাফর নয় গ্রীষ্মে ইজমারের একটি কটেজে গুনেশের চোখ বেঁধে হালুক তাকে ধর্ষণ করেছিল।জাফর তার সত্যিকারের মেয়ে পেরিকে জার্মানিতে নিয়ে যেতে চায় যাতে তিনি জার্মানিতে তার অন্য মেয়েকে বাঁচাতে পারেন। তিনি হালুককে হুমকি দেন যে তিনি এই সত্য গুনেশকে বলবেন।তাই হালুক তাকে গাড়ীর সামনে ফেলে দেয় যা গুণেশ চালাচ্ছিল। সে দুর্ঘটনাক্রমে জাফরকে হত্যা করে । তারা দু'জনেই এটিকে গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় । গুনেশকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড থেকে বাঁচাতে জাফরের মরদেহকে বনে পুঁতে ফেলে হালুক। কারণ গুনেশ আগে একবার জাফরকে ছুরিকাঘাত করেছিল এবং এর কারণে জেলে গিয়েছিল।
 
পরে জানা যায় যে আলী হালুকের নিজের ছেলে নয় । হালুককে বিয়ে করার আগে তার মায়ের লিভেন্তের সাথে একটা সম্পর্ক ছিল। হালুককে বিয়ে করার সময় তিনি জানতেন না যে তিনি গর্ভবতী ছিলেন। হালুক এ সম্পর্কে প্রচুর নাটক করে ।কিন্তু আলী যখন জানতে পারে এবং নিজের ক্ষতি করে। হালুক বুঝতে পারে যে সে একজন বাজে বাবা এবং ক্ষমা চায়।
 
লিভেন্ত আলি সম্পর্কে জানতে বার নর্তকী / স্ট্রিপার এলিফকে নিয়োগ করে। সে আলির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে এবং তার বন্ধু হয়ে যায় ।যা স্পষ্টতই সেলিন পছন্দ করে না । সে তুগচির সাথে তার পরিচয় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিল। কারণ সে মনে করেছিল যে এলিফ কিছু লুকাচ্ছে।
 
প্রায় ২০ বছর আগে ১৯৯৭ সালে হালুকের সাথে সেভিলের বিয়ে হয়েছিল এবং আলির জন্ম হয়েছিল। হালুকের ছোট ভাই আহমেত যিনি একজন স্থপতি, তিনি ২০ বছর আগে গুনেশকে এঁকেছিলেন। তিনিও তখন তার প্রেমে পড়েছিলেন। গুনেশ তা জানে না।
 
পেরি এবং ক্যান (টুগির ছোট ভাই) পরে লাভার হয়ে যায়।
 
হালুকের বোন (রানা) সত্য জানতে পেরেছিল যে হালুক গুনেশকে ধর্ষণ করেছিল এবং তিনি হালুককে বলেন যে সে সত্য জানে এবং তাকে গুনেশকে তালাক দিতে বলে যাতে সে ভাল জীবনযাপন করতে পারে।
 
 
আলী সাভাসের কাছে সত্যও জানতে পারে এবং হালুককে বন্দুক দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। হালুক জানে যে সেলিন এবং আলি প্রেমিক তাই তিনি তাদের সম্পর্ক ভেঙে দিতে বলেন। এর পরে সেলিন একটি বিয়ের ব্যবস্থা করে যাতে আলী স্বাভাবিক হয়ে যায় ।তবে শেষ মুহূর্তে নিজে বেঁকে বসে।এতে আলী আরও ভেঙে পড়ে তাই সেলিন তাকে সত্যই বিয়ে করে।
 
 
রানা গুনেশকে তার ধর্ষণ সম্পর্কে সত্য বলে। সে অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়ে এবং মেয়েদের সাথে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
 
হালুকের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও আলী এবং সেলিন পরে বিয়ে করে। হালুক তাদের আলাদা করার চেষ্টা করে।কিন্তু সফল হয় না। এরপর সেলিন ও নাজলি হালুকের অতীতের অন্ধকার রহস্য উদঘাটন করে ।সে জানতে পারে যে তার মায়ের যখন বয়স কম ছিল তখন হালুকই তার মাকে ধর্ষণ করেছিল এবং তার সাথে খারাপ ব্যবহার হালুকই করত। যমজ বোনদের বাবা আসলে হালুক । শেষ পর্যন্ত হালুক আত্মহত্যা করে ।সবার মিল হয়।গুনেশ,পেরি, সাভাস ,নাজলি,আলী ও সেলিন ইজমিরে চলে যায়।
 
== চরিত্র ==