দারোজি এরাম্মা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

ভারতীয় কথাশিল্পী
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন পৃষ্ঠা: {{Infobox person | name = দারোজি এরাম্মা | image = | alt = <!-- descriptive text for use by speech synthesis...
(কোনও পার্থক্য নেই)

১১:১৭, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দারোজি এরাম্মা, সর্বাধিক পরিচিত বুড়াকথা এরাম্মা নামে, (জন্ম ১৯৩০, মৃত্যু ১২ই আগস্ট ২০১৪) হলেন একজন লোক গায়ক এবং বুড়াকথার অভিনয় শিল্পী। দক্ষিণ ভারতে, তানপুরা বাজিয়ে মহাকাব্যের গল্প গুলি শোনানোর, এটি একটি লোকশিল্প রূপ। ১৯৯৯ সালে তিনি রাজ্যোৎসব প্রশস্তি সহ বেশ কয়েকটি পুরস্কারে ভূষিত হন।

দারোজি এরাম্মা
জন্ম১৯৩০
মৃত্যু১২ আগস্ট ২০১৪(2014-08-12) (বয়স ৮৩–৮৪)
জাতীয়তাভারতীয়
অন্যান্য নামবুড়াকথা এরাম্মা
পেশালোক গায়ক এবং অভিনয়শিল্পী
পরিচিতির কারণবুড়া কথা (গল্প বলার এক শিল্প, যেখানে কথক তানপুরা বাজিয়ে গল্প বলেন)

জীবন

ইরাম্মার জন্ম ১৯৩০ সালে আধা-যাযাবর তফসিলি জাতি বুদুগা জনগমা সম্প্রদায়ের একটি উপজাতি পরিবারে। কৈশোরে তিনি তাঁর পিতা লালাপ্পার কাছ থেকে বুড়াকথা শোনানো শিখেছিলেন, এবং এই লোককলা শিল্পটি তাঁর পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সদস্যদের শিখিয়েছিলেন।[১]

নিরক্ষর হলেও, এরাম্মা স্মৃতি থেকে বারোটি লোককাব্য পরিবেশন করতে পারতেন, যার পরিমাণ ছিল প্রায় ২,০০,০০০টি বাক্য এবং ৭,০০০টি মুদ্রিত পৃষ্ঠা।[২] এই লোককাহিনীগুলির মধ্যে ছিল কুমাররাম , বাবুলি নাগিরেড্ডী , বালা নাগাম্মা , জয়সিংহরাজা কাব্য এবং বালি চক্রবর্তী কাব্য[২]

তার অভিনয় প্রায়শই একাদিক্রমে বেশ কয়েক দিন স্থায়ী হত, তাঁর সাথে থাকতেন তাঁর বোন শিবাম্মা এবং তাঁর ননদ পার্বতাম্মা। তাঁরা ঘাতবাদ্য বাজাতেন এবং এরাম্মা নিজে এক হাতে একটি তানপুরা এবং অন্য হাতে একটি ঘণ্টা বাজতেন। তিনি পোলিও টিকার সচেতনতামূলক প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন।[২]

২০১৪ সালের ১২ আগস্ট কর্ণাটকের বেল্লারীতে তিনি মারা যান। বেল্লারী জেলার সানদুর তালুকে তাঁর নিজ গ্রাম দারোজিতে তাঁর শেষকৃত্যটি করা হয়েছিল।[১]

স্বীকৃতি

দারোজি এরাম্মা ১৯৯৯ সালে রাজ্যোৎসব প্রশস্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। এর পাশাপাশি কর্ণাটক সরকার তাঁকে দেন ডাঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর পুরস্কার।[২] শিল্প ও লোককাহিনীতে তাঁর অবদানের জন্য ২০০৩ সালে তিনি সন্দেশ আর্টস পুরস্কারে ভূষিত হন।[৩]২০০৩ সালে হাম্পির কন্নড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপজাতি অধ্যয়ন বিভাগ তাঁকে নাদোজা পুরস্কারে ভূষিত করেছিল।[১] ২০১০ সালে প্রসার ভারতীর থেকে তিনি সেরা লোকশিল্পী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০১২ সালে তিনি ২০১০ সালের জনপদ শ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন।[২]


২০০৬ সালে হাম্পি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী এল. সারিকাদেবী, এরাম্মার উপর, তাঁর ডক্টরেটের গবেষণামূলক প্রবন্ধটি লিখেছিলেন। এর ফলে এরাম্মা এবং তার পরিবেশনা আরো জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।[৪] কন্নড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অদেখা ঐতিহ্য বিভাগের পণ্ডিত চালাভারাজু তাঁর কিছু পরিবেশনা ক্যামেরাবন্দী এবং রেকর্ড করে প্রকাশ করেছেন।[৫]

তথ্যসূত্র

  1. Ahiraj, M. (১৩ আগস্ট ২০১৪)। "Daroji Eramma is no more"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৮ 
  2. Ahiraj, M. (২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Janapada Shri Award for Daroji Eramma today"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৮ 
  3. "Sandesha Awards - Sandesha - A foundation for culture and education"www.sandesha.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৮ 
  4. Bharadwaj, K V Aditya। "Burrakatha Eramma selected for Janapada Shri Award - Times of India"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৮ 
  5. Ahiraj, M. (২৭ নভেম্বর ২০০৬)। "A great honour has been bestowed on me: Eeramma"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৮