বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎বাগ্দেবী: বানান সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫১৮ নং লাইন:
 
দূরে গ্রাম থেকে কুকুরের একটানা ভো ভো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। শুনেছি কোনো অশরীরী আত্মার সন্ধান পেলে কুকুরেরা এরকম আওয়াজ করে। যা হয় হবে। ভয়ে ভয়ে একপা, একপা করে তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ডান হাতের বড় চ্যালাটা বাঁ হাতে নিয়ে একটা ছোট সাইজের চ্যালা সেই জায়গায় সাদা কাপড় পড়া বুড়িটির উপর টিক্ করে ছুঁড়লাম। দীর্ঘদিন মার্বেল খেলার অভ্যাস ব্যর্থ হয়নি।  গায়ে লাগার সত্ত্বেও কোন কথা নেই !  শুনেছি ভূত-পেত্নীদের গায়ে কিছুই লাগেনা। আরেকটু এগিয়ে গিয়ে আবার একটা ঢিল মারতেই টিক্ করে একটা শব্দ পেলাম। এ শব্দ তো মাটিতে ঢিল পড়ার শব্দ। আরেকটু এগিয়ে গিয়ে আরও একটা ঢিল মারতেই  একটু জোরে আবার সেই আওয়াজ। সাহস গেল বেড়ে । আরও কাছে এগিয়ে এসে বাঁ হাতে রাখা বড় চ্যালাটা সেখানে ছুড়ে ফেলতেই টকাস্ করে পড়ে ভেঙে চারিদিকে ছড়িয়ে গেল। এ বাবা, সাদা কাপড় পরে এখানে কেউ তো আর বসে নেই ? যে পথে এগিয়েছে ছিলাম সেই পথেই আবার একটু পিছিয়ে পিছিয়ে গেলাম । কুড়ি-পঁচিশ ফুট পিছিয়ে এসেই দেখি আবার সেই সাদা কাপড় পরা বুড়ি আগের মতোনই বসে আছে। আবার এগিয়ে গিয়ে দেখি, নেই। সাহস করে এবার তার বসে থাকার জায়গাটা গিয়ে দেখি একটা বেড়াকলমির ছোট্ট ঝোপ , আর তার আগে বসার জায়গাটিতে  আলের উপর মাটি দেওয়া হয়েছিল। বৃষ্টিতে ধুয়ে সেই  মাটি শানের মত হয়ে গিয়ে সাদা  চকচক করছে।  সেই মাটির উপর জ্যোৎস্না পড়ায় মনে হচ্ছে যেন সাদা কাপড় পড়ে কেউ বসে আছে। আসলে সে পেত্নী নয় জোছনা। [[ব্যবহারকারী:ড. সেখ রমজান আলি|ড. সেখ রমজান আলি]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:ড. সেখ রমজান আলি|আলাপ]]) ১২:৫১, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (ইউটিসি)
 
== বিদ্যাসাগর : বাংলা নাটক ==
 
বিদ্যাসাগর ও বাংলা নাটক
--- ড. রমজান আলি
 
পৃথিবীর ইতিহাসে নাট্য বিকাশে দুটি বিশেষ ক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ । পাশ্চাত্যে গ্রিসদেশ আর প্রাচ্যে ভারত। গ্রিসে কোরাস থেকে নাটকের জন্ম হলেও পরবর্তীকালে সেদেশে নাট্য প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করেই মূলত নাটক রচনায় একটা ধারা তৈরি হয়। সেই ধারাতেই থেসপিস, ইস্কিলাস, ইউরিপিদিস,অ্যারিস্তোফেনিস প্রমুখ নাট্যকারদের প্রতিভার বিকাশ ঘটেছিল। তাঁদের রচিত ট্রাজেডির ভিত্তিতেই লেখা হয়েছে আরিস্ততলের 'পোয়েতিকস্'। আর এদিকে ভারতবর্ষে খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে ভরতাচার্য সংস্কৃত ভাষায় লিখেছিলেন নাট্যশাস্ত্র, যা 'পঞ্চম বেদ' নামে পরিচিত। তখন নাটককে দৃশ্যকাব্য বলা হত। গ্রিক দেশের মতো প্রাচীন ভারতেও পৌরাণিক কাহিনির ওপর ভিত্তি করেই মূলত নাটক লেখা হয়েছে। প্রথম বাংলা ভাষার নিদর্শন চর্যাগীতি বুদ্ধ নাটকের কথা আছে। সংস্কৃত ভাষায় লেখা জয়দেবের গীতগোবিন্দম্ কিম্বা বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য দুটিতে নাট্যরীতির একটা পরিচয় পাওয়া যায়। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে মঙ্গলকাব্যগুলিও প্রচুর নাটকীয় উপাদানে সমৃদ্ধ।  এইসব কাহিনি নিয়ে যুগের প্রেক্ষাপট নাটক লেখা চলছে। জীবন্ত মানুষ হিসেবে চৈতন্যদেবকে নিয়ে সংস্কৃত নাটক লেখেছিলেন কবি কর্ণপুর পরমানন্দ সেন।  আর লোকায়ত  সমাজে যাত্রার প্রচলন তো ছিলই। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে উপভোগ করে এসেছেন রামযাত্রা ,কেষ্টযাত্রা, কালিয়া দমন, বিদ্যাসুন্দর পালা ইত্যাদি।
     অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে ইংরেজদের প্রভাবে এদেশের সখের দল গড়ে ওঠে। তবে ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে ন্যাশনাল থিয়েটার গড়ে উঠলে, প্রথম পেশাদারী রঙ্গমঞ্চে অভিনয়ের জন্য নাটকের চাহিদা থাকায় বাংলা নাট্যচর্চা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। বাঙালিরা আত্মমুক্তির পথ খুঁজে পায়। প্রকৃতপক্ষে এই মুক্তির শুরু হয়েছিল ১৮৫২ সালে জি.সি. গুপ্তের কীর্তিবিলাস এবং তারাচরণ শিকদারের ভদ্রার্জুন নাটকের মধ্য দিয়ে। রামনারায়ণ তর্করত্ন  প্রথম সমাজ সমস্যার ডালি নিয়ে এলেন । সেই পথে অগ্রসর হলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি প্রথম বাংলা নাটকে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের মিলন ঘটালেন। তাঁর সাহিত্যের মূল প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিলেন বিদ্যাসাগর।
     বিদ্যাসাগরের প্রায় সমস্ত প্রকার সমাজ আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নারী। নানারকম স্বার্থের ভিত্তিতে আমাদের দেশের মেয়েরা আজও কুসংস্কারে বলি। উনিশ শতকের নবজাগরণের সময়ে এ বিষয়ে রামমোহন রায় প্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন ।  বিদ্যাসাগর সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সমাজকে আলোড়িত করলেন । বাংলা নাটক সেই আলোড়ন এর মধ্যে নিজের অস্তিত্বকে সবলে ঘোষণা করে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়ে প্রগতির পথ চওড়া করতে সচেষ্ট হয়েছিল।
        পুনরায় জেগে ওঠার লক্ষ্যে সেই সময় বিভিন্ন প্রকার সভা সমিতি গড়ে ওঠে। যাদের উদ্দেশ্য ছিল সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করা, সমাজকে কলুষমুক্ত করা । এই মানসিকতা থেকেই শুরু হয় বিধবা বিবাহ আন্দোলন, বাল্যবিবাহ বিরোধী আন্দোলন,বহু বিবাহ বিরোধী আন্দোলন, পণপ্রথা বিরোধী আন্দোলন, আন্দোলন । এদের সমর্থন নিয়ে সংবাদপত্রে আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে । পাশাপাশি বাঙালি নাট্যকারগণ সমাজ সংস্কারমূলক নাটক রচনায় মনোনিবেশ করেন । এই নাটকগুলো জনগণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলো। সমাজ বদলে নাটকের ভূমিকা কম নয়।
    কৌলিন্য প্রথার বিরুদ্ধে শিক্ষিত মানুষের ক্ষোভের প্রকাশ সেকালে অনেক সংবাদপত্র এবং অসংখ্য পুস্তিকায় প্রকাশ পেয়েছিল। ঈশ্বর গুপ্ত তাঁর  'সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকায় তীব্র ব্যঙ্গের ভাষায় প্রবন্ধ লিখেছিলেন। 'কৌলীন্য' নামে তার ছোট কবিতাও আছে। যেখানে বলছেন --"শতেক বিধবা হয় একের মরণে"। বেশি বিয়ে করার ব্যাপারে বর্ধমানের থেকে এগিয়ে ছিল হুগলি জেলা।  তারাশঙ্কর তর্করত্ন 'ভারতবর্ষীয় স্ত্রীগণের বিদ্যাশিক্ষা' প্রবন্ধের কৌলিন্য প্রথার কুফল তুলে ধরেন। বিদ্যাসাগর ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে 'বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব'লেখেন। পাশাপাশি  কৌলিন্য প্রথা নিয়ে নাটকও রচিত হয়।
    রামনারায়ণ তর্করত্ন লিখলেন 'কুলীনকুল সর্বস্ব নাটক (১৮৫৪)। একজন কুলীন পিতার আট থেকে তেত্রিশ বছর বয়সী চার কন্যাকে বাধ্য হয়ে এক বৃদ্ধ ও কুদর্শন পাত্রের হাতে তুলে দেওয়া ও পরিণতির করুন কাহিনি। বহু বিবাহ প্রথা নিয়ে তিনি লিখলেন 'নবনাটক', 'যেমন কর্ম তেমনি ফল ' ইত্যাদি । কুলীন ব্রাহ্মণদের  বহুবিবাহ ও জামাইদের আশ্রয় করে দীনবন্ধু মিত্রের 'জামাই বারিক' উল্লেখ করা যেতে পারে। তারকচন্দ্র চূড়ামণির 'সপত্নী' নাটক , হরিমোহন মুখোপাধ্যায় এর 'কাদম্বিনী' নাটক, হরিশচন্দ্র মিত্রের 'ম্যাও ধরবে কে?' একই শ্রেণির নাটক।
     বিধবাদের কে নিয়ে সামাজিক সমস্যার কথা ভেবেই একসময় চৈতন্যদেব বিধবাদের বৃন্দাবনে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করেছিলেন।  বৈষ্ণব আখড়াগুলোতে বিধবাদের স্থান দেওয়া হতো। কিন্তু অবক্ষয়ের যুগ বাল্যবিধবারা সবাই যৌনসংযম দেখাতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই বিধবাদের কেন্দ্র করে সমাজ অস্থির হয়ে ওঠে। তাদের কথা ভেবেই তো  বিদ্যাসাগর আন্দোলন করেছিলেন। বিধবা বিবাহের ব্যাপারে একসময় তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা পরে সংবাদ প্রভাকর বিদ্যাসাগরকে সমর্থন করে বসলো।  প্রতিবাদে অসংখ্য লেখা বেরিয়েছিল। দীনবন্ধু মিত্র ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২২ শে ফেব্রুয়ারি সংবাদ প্রভাকরের  পাতায় 'অহং শ্রী দী' এবং 'অহং দী' ছদ্মনামে এবং নামে একটি মেয়েলি ছড়া এবং একটি পত্র লেখেন , যার মধ্যে তৎকালীন মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে। সমালোচনার উত্তর দিতে গিয়ে এবং শাস্ত্রীয় প্রামাণ্য জোগাড় করতে বিদ্যাসাগরকে কম সময় ব্যয় করতে হয় নি।
    বিদ্যাসাগর মহাশয় বর্ধমানের না হলে হয়তো বিধবা বিবাহ আইন তাঁর পক্ষে পাশ করানো সম্ভব হতো না । বর্ধমানের মহারাজ মহতাবচাঁদ  বিদ্যাসাগরের কাজকর্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর  দরখাস্তে সই করেছিলেন। ঠাকুর পরিবারের মধ্যমণি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর , একের পর এক রাজা জমিদার আইনের পক্ষে সই করলে ১৮৫৬ সালের ১৬ জুলাই বিধবা বিবাহ আইন পাশ হয়ে গেল।   বর্ধমানের পলাশডাঙ্গার মেয়ে কালীমতী ও সংস্কৃত কলেজের শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন আইন পাশ পরবর্তী প্রথম বিধবা বিবাহ করলেন। তবে তার আগে যে বিধবা বিবাহ হয়নি তা নয়।  বর্ধমানের রাজা তেজচাঁদের  অকাল প্রয়াণে তার অষ্টমতম মহিষী বসন্তকুমারী মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিধবা হন। সম্পত্তির অধিকার মামলায় তাঁর অ্যাটর্নি ছিলেন 'কার  টেগোর এণ্ড  কোম্পানি'-র উকিল দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়। পরিচয় ঘনিষ্ঠ হলে সম্ভবত ১৮৪৯ সালের আগেই বসন্তকুমারী তাঁকে বিবাহ করেছিলেন।  বিবাহে পৌরহিত্য করেন গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য  যিনি গুরগুরে ভট্টাচার্য নামে পরিচিত ছিলেন। সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট মি. বার্থ সাহেব।
   এই সময় বিধবা বিবাহ নিয়ে যে নাটকটি বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, সেটি উমেশচন্দ্র মিত্রের। বিধবাদের বিবাহ দেওয়ার পিছনে যে সামাজিক মঙ্গল লুকিয়ে আছে তা তুলে ধরাই এই নাটক রচনায় অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।  হিন্দু নারীরা বহু বিবাহের ফলে যে বাল্যবিবাহ এবং অপেক্ষাকৃত কমবয়সী থেকেই তাদের চির বৈধব্য ভোগ করতে হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করেই দুই মেয়ের বিবাহ হওয়ার কাহিনি। কীর্তিরাম ঘোষের মেয়ে সুলোচনা এবং অদ্বৈত দত্তের কন্যা প্রসন্ন কম বয়সে বিধবা। যৌবনের স্বাভাবিক চাওয়া-পাওয়া বশত সুলোচনা রামকান্ত বসুর পুত্র মন্মথর প্রতি গোপন প্রণয়ে লিপ্ত হয়। ফলস্বরূপ সুলোচনা সন্তান সম্ভবা হয়ে সমাজের চোখে অবৈধ এই বিষয়টি যথাযথ নয় বলেই  লজ্জা এড়াতে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে লেখক বিধবাদের বিয়ে না দেওয়ার ফলের কথা বলেছেন। নাটকটি অভিনয়ের পর দর্শক সমাজে আলোড়ন তুলেছিল। সংবাদ প্রভাকর পত্রিকা এই নাটকের অভিনয় সম্পর্কে লিখেছিল -- "বোধহয় বাঙলা ভাষায় এরূপ সর্বাঙ্গসুন্দর অভিনয় আর ...  ক্ষুদ্রাপি হয় নাই।" বিধবা বিবাহ নিয়ে এরকম আরো নাটক -- উমাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের 'বিধবা বিষম বিপদ' , যদুগোপাল চট্টোপাধ্যায়ের 'চপলা চিত্ত চাপল্য',  বিহারীলাল নন্দীর 'বিধবা পরিণয়োৎসব' যদুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের 'বিধবা বিলাস' ইত্যাদি।  লক্ষ করলে দেখা যাবে বেশিভাগ নাটকই , আইন পাশ হওয়ার পরে লেখা।
      প্রশ্ন থেকে যায়, নাটকের মাধ্যমে বিধবা-বিবাহ প্রচার করা হলেও বৃহত্তর সামাজিক স্তরে তার তেমন কোনো প্রভাব সেযুগে ফেলতে পারেনি।  আজও আমরা আকস্মিক স্বামীহারাদের অন্য চোখে দেখি। চাকরি বা সম্পত্তি  না থাকা বিধবাদের  বেঁচে থাকার ব্যবস্থা তাদের নিজেদেরকেই করতে হয়।  আধুনিক যুগেও তাদের নিয়ে লেখা তেমন কোন নাটক  সেই দায়বদ্ধতা কতটা পালন করছে , সেটাও এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। [[ব্যবহারকারী:ড. সেখ রমজান আলি|ড. সেখ রমজান আলি]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:ড. সেখ রমজান আলি|আলাপ]]) ১১:১৪, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (ইউটিসি)