কোটালীপাড়া উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ Shuvro antu-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Bdbh-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত ট্যাগ: পুনর্বহাল |
সংশোধন, সম্প্রসারণ, তথ্যসূত্র |
||
৩৪ নং লাইন:
| পাদটীকা =
}}
'''কোটালীপাড়া''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[গোপালগঞ্জ জেলা|গোপালগঞ্জ জেলার]] অন্তর্গত একটি উপজেলা যা
কোটালীপাড়া উপজেলা মেঘনা খাড়ি পললভূমি দ্বারা গঠিত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://old.warpo.gov.bd/iczmp/fcd67b07432b581be46d128ae2a316ea.pdf|শিরোনাম=জেলা তথ্য ও গােপালগঞ্জ|শেষাংশ=উদ্দিন|প্রথমাংশ=আবু মােস্তফা কামাল|শেষাংশ২=রহমান|প্রথমাংশ২=এ.বি.এম. সিদ্দিকুর|বছর=জানুয়ারি ২০০৫|প্রকাশক=পিডিও-আইসিজেডএমপি|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০২}}</ref> উপজেলার বাঘিয়ার বিল এলাকায় প্রাকৃতিক সম্পদ পিট কয়লা রয়েছে।
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮১২ সালে কোটালীপাড়া থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস|বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের]] পর ১৯৮৩ সালে কোটালীপাড়া থানাকে [[বাংলাদেশের উপজেলা|উপজেলায়]] উন্নীত করা হয়। [[জাতীয় সংসদ নির্বাচন|বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে]] কোটালীপাড়া উপজেলার সংসদীয় আসন [[গোপালগঞ্জ-৩]]। কোটালীপাড়া উপজেলা ও [[টুঙ্গিপাড়া উপজেলা]] নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-৩ আসনটি [[জাতীয় সংসদ|জাতীয় সংসদে]] ২১৭ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত।
৪৩ নং লাইন:
{{আরও দেখুন|মাদারীপুর জেলা}}
৩১৫ সালে সিংহবর্মণের পূত্র চন্দ্রবর্মণ প্রাচীন চন্দ্রদ্বীপের সামুদ্রিক বন্দর ও শাসন কেন্দ্র নব্যাবকাশিকার এ অঞ্চল জয় করে ৩০ ফুট উঁচু একটি দুর্গ বা কোট নির্মাণ করেন। এ প্রাচীরের পূর্ব-পশ্চিমে দৈর্ঘ্য ছিল ৪.৪৫ কিলোমিটার এবং উত্তর-দক্ষিনে দৈর্ঘ্য ছিল ৩.০০ কিলোমিটার। এ মাটির দূর্গটিকে ‘চন্দ্রবর্মণ কোট’ বলা হতো। এ প্রাচীরের রক্ষক বা কর্মকর্তাকে বলা হতো ‘কোটপাল’। এ থেকে কোটালীপাড়া নামের উৎপত্তি।<ref name=":1">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা : গোপালগঞ্জ|শেষাংশ=খান|প্রথমাংশ=শামসুজ্জামান|বছর=জুন ২০১৩|প্রকাশক=[[বাংলা একাডেমি]]|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=২৫|আইএসবিএন=984-07-5316-9|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> ঐতিহাসিকদের মতে, প্রাচীনকাল থেকেই এ অঞ্চল কোটালীপাড়া নামে পরিচিত ছিল যা অতিপ্রাচীনকালে চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভূক্ত
সুলতান [[জালালউদ্দিন ফাতেহ শাহ]] (১৪৮১-১৪৮৫ খ্রিঃ) ফরিদপুর ও চন্দ্রদ্বীপের একাংশ দখল করে [[ফরিদপুর বিভাগ|ফতেহাবাদ পরগণা]] গঠন করেন। সুলতান [[আলাউদ্দিন হোসেন শাহ]] (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিঃ) ফতেহাবাদের জনপ্রিয় শাসক ছিলেন। ১৫৩৮ হতে ১৫৬৩ সাল পর্যন্ত [[শের শাহ সুরি|শেরশাহ]] ও তার বংশধরগণ শাসন করেন। ১৫৬৪ হতে ১৫৭৬ সালে পর্যন্ত [[কররানী রাজবংশ]] রাজত্ব করে, তারপর ১৫৭৬ হতে ১৬১১ সাল পর্যন্ত [[বারো ভুঁইয়া|বারো ভূঁইয়ার]] অন্যতম অন্যতম
[[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ শাসনামলে]] ১৮০৬ সালে এ অঞ্চল ঢাকা-জালালপুর জেলা হতে ১৭৯৭ সালে সৃষ্ট বাকেরগঞ্জ জেলার অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৮১২ সালে কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া ও কালকিনি নিয়ে কোটালীপাড়া থানা গঠিত হয়। ১৮৫৪ সালের ২রা নভেম্বর মাদারিপুর [[মহকুমা]] প্রতিষ্ঠিত হলে কোটালীপাড়া থানা মাদারিপুর মহকুমাধীন ছিল। ১৮৫৯ সালে ফরিদপুর জেলা সৃষ্টি হলে মাদারিপুর মহকুমাকে বাকেরগঞ্জ জেলা থকে আলাদা করে ১৮৭৫ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ১৯০৯ সালে মাদারিপুর মহকুমা থেকে আলাদা করে গোপালগঞ্জ মহকুমা গঠন করা হলে কোটালিপাড়া থানা গোপালগঞ্জ মহকুমার অন্তর্ভূক্ত হয় এবং কালকিনিকে কোটালীপাড়া থেকে পৃথক করে থানায় রুপান্তরিত করে মাদারিপুর মহকুমাধীন রাখা হয়।<ref name=":6" />
[[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ]] শুরু হওয়ার পর ১৯৭১ সালের
==ভূগোল==
কোটালীপাড়া উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২২°৫২´ থেকে ২৩°০৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৫´ থেকে ৮৯°০৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। এর মোট আয়তন ৩৬২.০৫ বর্গ কিলোমিটার। কোটালীপাড়া উপজেলার কেন্দ্র থেকে উত্তরে মাদারিপুর পশ্চিমে গোপালগঞ্জ জেলা সদর অবস্থিত। কোটালীপাড়া উপজেলার উত্তরে [[মাদারীপুর জেলা|মাদারিপুর জেলার]] [[রাজৈর উপজেলা|রাজৈর]] ও [[মাদারীপুর সদর উপজেলা|মাদারিপুর সদর উপজেলা]], দক্ষিণে [[পিরোজপুর জেলা|পিরোজপুর জেলার]] [[নাজিরপুর উপজেলা|নাজিরপুর]] ও [[বরিশাল জেলা|বরিশাল জেলার]] [[উজিরপুর উপজেলা]], পূর্বে [[বরিশাল জেলা|বরিশালের]] [[আগৈলঝাড়া উপজেলা|আগৈলঝাড়া]], [[গৌরনদী উপজেলা|গৌরনদী]] ও [[মাদারীপুর জেলা|মাদারিপুরের]] [[কালকিনি উপজেলা]], পশ্চিমে [[গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা|গোপালগঞ্জ সদর]] ও [[টুঙ্গিপাড়া উপজেলা]] অবস্থিত।
ভৌগলিক ভাবে কোটালীপাড়া পূর্বাঞ্চলীয় সক্রিয় গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপে অবস্থিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%AA|শিরোনাম=বঙ্গীয় বদ্বীপ|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-১০}}</ref> কোটালীপাড়া গাঙ্গেয় প্লাবনভূমি অর্থাৎ পদ্মা বিধৌত নিম্ম পলল ভূমি এলাকা। গাঙ্গেয় প্লাবনভূমির দক্ষিণ প্রান্তে গোপালগঞ্জ-খুলনা পীট অববাহিকা আবদ্ধ রয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BF|শিরোনাম=প্লাবনভূমি|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-১০}}</ref> গোপালগঞ্জ-খুলনা পিট অববাহিকা গাঙ্গেয় প্লাবনভূমি এবং গাঙ্গেয় জোয়ারভাটা প্লাবনভূমি এলাকার মধ্যে অবস্থিত একাধিক নিম্ন এলাকা নিয়ে ২,৭৬৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের একটি ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চল। এই এলাকার প্রধান দুটি বিলের অন্যতম হচ্ছে কোটালীপাড়ার বাঘিয়া বিল। বর্ষস্থায়ী আর্দ্র অববাহিকাসমূহ জুড়ে ভারি পীট মৃত্তিকা বিদ্যমান, তবে প্রান্তীয় এলাকায় এই মৃত্তিকা কর্দম দ্বারা আবৃত। এই এলাকা বাংলাদেশের বৃহত্তম পিট মজুদকারী অববাহিকা। বর্ষা মৌসুমে এই অববাহিকা অঞ্চল বৃষ্টির পানির দ্বারা গভীরভাবে প্লাবিত হয়ে থাকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B2|শিরোনাম=গোপালগঞ্জ-খুলনা বিল|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-১০}}</ref> বাংলাদেশের কৃষি-প্রতিবেশ অঞ্চল ১৪-তে অন্তর্ভুক্ত এলাকাটি শুষ্ক মৌসুমে ভিজা থাকে এবং বর্ষা মৌসুমে গভীরভাবে প্লাবিত হয় ও প্রায় প্রত্যেক বছরেই কম-বেশি বন্যা কবলিত হয়।<ref name=":2">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9F_%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE|শিরোনাম=পিট মৃত্তিকা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-১০}}</ref> চান্দা বিল ও বাঘিয়া বিলের ৫১৮ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে প্রাকৃতিক সম্পদ পিট কয়লা রয়েছে,<ref name=":4" /><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9F|শিরোনাম=পিট|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-১০}}</ref> এবং সরকারি হিসাবে এর পরিমান ১৫০ মিলিয়ন টন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://gsb.portal.gov.bd/sites/default/files/files/gsb.portal.gov.bd/page/110c1eaf_9754_4167_859c_3b9eb86e1289/Mineral%20Resouces%20discovered%20by%20GSB%20(Bangla).pdf|শিরোনাম=আবিষ্কৃত বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=২০১৮-০৯-১৯|ওয়েবসাইট=[[বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-১০}}</ref> নিম্নমানের ভিজা পিটের ভারবহন ক্ষমতা কম এবং এগুলো শুকানো হলে সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। মাক স্তরগুলো অপরিবর্তনীয়ভাবে শক্ত হয়ে কয়লা-সদৃশ পিন্ডে পরিণত হয় এবং এদেরকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এসব মৃত্তিকা চরম অম্লীয় এবং পটাশিয়াম, সালফার, জিঙ্ক ও কপারের অলভ্যতার কারণে কৃষিকাজে এসব মৃত্তিকা ব্যবহারের অনুপযোগী। পিট স্তরগুলোকে ভূ-জলে আর্সেনিক যুক্ত হওয়ার কারণ মনে করা হয়।<ref name=":2" /> এ অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের পরিমাণ ৭৯%।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95|শিরোনাম=আর্সেনিক|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-১০}}</ref>
কোটালীপাড়া উপজেলার উপর দিয়ে [[ঘাঘর নদী]], [[বিশারকন্দা-বাগদা নদী]] এবং [[শালদহ নদী]] প্রবাহিত হয়েছে।<ref name="নদীকোষ">ড. অশোক বিশ্বাস, ''বাংলাদেশের নদীকোষ'', গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৮, {{আইএসবিএন|978-984-8945-17-9}}।</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি|লেখক=মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৫|প্রকাশক=[[কথাপ্রকাশ]]|অবস্থান=ঢাকা|পাতা=৬০৬|আইএসবিএন=984-70120-0436-4|আইএসবিএন-ত্রুটি-উপেক্ষা-করুন=হ্যাঁ}}</ref> বিশারকন্দা-বাগদা নদীটি [[মাদারীপুর সদর উপজেলা|মাদারীপুর সদর উপজেলার]] [[মস্তফাপুর ইউনিয়ন|মোস্তফাপুর ইউনিয়ন]] এলাকায় প্রবহমান [[কুমার লোয়ার নদী]] হতে উৎপত্তি লাভ করে কোটালীপাড়ার মধ্য দিয়ে [[বরিশাল জেলা|বরিশালের]] [[উজিরপুর উপজেলা|উজিরপুর উপজেলার]] [[সাতলা ইউনিয়ন]] পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে [[বেলুয়া নদী|বেলুয়া নদীতে]] নিপতিত হয়েছে। ঘাঘর নদীটি বরিশালের [[আগৈলঝাড়া উপজেলা|আগৈলঝাড়া উপজেলার]] [[বাকাল ইউনিয়ন|বাকাল ইউনিয়নে]] প্রবহমান বিশারকন্দা-বাগদা নদী হতে উৎপত্তি লাভ করে কোটালীপাড়ার মধ্য দিয়ে [[বাগেরহাট জেলা|বাগেরহাটের]] [[চিতলমারী উপজেলা|চিতলমারী উপজেলার]] কলাতলা ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে [[শালদহ নদী|শালদহ নদীতে]] নিপতিত হয়েছে। এছাড়া জানিহানিয়া খাল ও গোপালগঞ্জ বিল উল্লেখযোগ্য।<ref name=":4" />▼
▲কোটালীপাড়া উপজেলার উপর দিয়ে [[ঘাঘর নদী]], [[বিশারকন্দা-বাগদা নদী]] এবং [[শালদহ নদী]] প্রবাহিত হয়েছে।<ref name="নদীকোষ">ড. অশোক বিশ্বাস, ''বাংলাদেশের নদীকোষ'', গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৮, {{আইএসবিএন|978-984-8945-17-9}}।</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি|লেখক=মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক|প্রথমাংশ=|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৫|বছর=|প্রকাশক=
==প্রশাসন==
১৮১২ সালে বাকেরগঞ্জ জেলার অধীনে কোটালীপাড়া থানা গঠন করা হয়, যা ১৮৫৪ সালে সৃষ্ট মাদারিপুর মহকুমার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯০৯ সালে গোপালগঞ্জ মহকুমা গঠন করা হলে কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জের অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৯৮৪ সালে গোপালগঞ্জ জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং তখন কোটালীপাড়া থানা উপজেলায় রুপান্তরিত হয়। কোটালীপাড়া উপজেলায় ১টি পৌরসভা, ৯টি ওয়ার্ড,
[[স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়]] ১৯৯৭ সালের ৩০শে মার্চ কোটালীপাড়া
[[জাতীয় সংসদ নির্বাচন|বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে]] কোটালীপাড়া উপজেলার সংসদীয় আসন [[গোপালগঞ্জ-৩]]। কোটালীপাড়া উপজেলা ও [[টুঙ্গিপাড়া উপজেলা]] নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-৩ আসনটি [[জাতীয় সংসদ|জাতীয় সংসদে]] ২১৭ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর অনুষ্ঠিত ১৯৭৩ সালের [[প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৭৩|প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই]] কোটালীপাড়ার সংসদীয় আসনটি তৈরি করা হয়। তৃতীয় নির্বাচনে [[তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৮৬|১৯৮৬ সালে]] এ আসন থেকে [[জাতীয় পার্টি (এরশাদ)|জাতীয় পার্টির]] প্রার্থী [[কাজী ফিরোজ রশিদ]], [[চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৮৮|১৯৮৮ সালে]] জাতীয় পার্টির [[কাজী ফিরোজ রশিদ]], [[পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৯১|১৯৯১ সালে]] বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের [[শেখ হাসিনা]], [[ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬|ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬]] তারিখে সতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান হাওলাদার<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.parliament.gov.bd/index.php/bn/mps-bangla/members-of-parliament-bangla/former-mp-s/2014-03-23-11-59-07?csrt=18114284425626908270|শিরোনাম=৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা (বাংলা)|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[জাতীয় সংসদ]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০৭}}</ref>, [[সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জুন ১৯৯৬|জুন ১৯৯৬ তারিখে]] আওয়ামী লীগের [[শেখ হাসিনা]] সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের সর্বশেষ [[একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮|একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে]] [[শেখ হাসিনা]] বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।<ref name=":3">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ecs.gov.bd/files/LkRjG4s3zWql7l1YaEOxIREqlIHHwRn3aUrm1Vr0.pdf|শিরোনাম=বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=১ জানুয়ারি ২০১৯|ওয়েবসাইট=[[বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন]]|প্রকাশক=|ভাষা=bn|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০}}</ref> তিনি [[অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০০১|২০০১]], [[নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০০৮|২০০৮]], [[দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৪|২০১৪]] সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হন।
==অর্থনীতি==
৭০ ⟶ ৭২ নং লাইন:
==সংস্কৃতি ও খেলাধুলা==
কোটালিপাড়ায় বসবাসকারী বিভিন্ন সম্প্রদায় তাদের নিজ নিজ রীতি-নীতি মনে চলে। বাংলাদেশের অন্য অনেক অঞ্চলের মত বিয়ের অনুষ্ঠানে ডুলি এবং [[পালকি|পালকির]] প্রচলন ছিল। শিবচরে মূলত গাজীর গান, [[কীর্তন]], [[পাঁচালি গান]], ধুয়াগান, [[বাউল গান]], [[প্রবাদ-প্রবচন]], [[ছড়া]], ছিলকা, হেয়ালি, ধাঁধা, [[জারিগান]] উল্লেখযোগ্যভাবে পরিচিত। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন: [[পালকি]], ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি।<ref name=":4">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=কোটালিপাড়া_উপজেলা|শিরোনাম=কোটালিপাড়া উপজেলা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০৬}}</ref>
উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নে বাঘিয়ার বিলে প্রায় ২০০ বছর আগে থেকেই [[নৌকা বাইচ]] অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। [[দুর্গাপূজা|দূর্গাপূজা]] পরবর্তী [[পূর্ণিমা|পূর্ণিমায়]] অনুষ্ঠিত নৌকা বাইচে [[পদ্মা বিভাগ|বৃহত্তর ফরিদপুর]] ও [[বরিশাল বিভাগ|বৃহত্তর বরিশালের]] অসংখ্য বাচারি নৌকা অংশ নেয়। নৌকা বাইচ ঘিরে নৌকায় ভাসমান মেলারও আয়োজন করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-03-28/news/52170|শিরোনাম=বিল বাঘিয়ার ঐতিহ্য ফিরে আসুক|শেষাংশ=বাগচী|প্রথমাংশ=তপন|তারিখ=২০১০-০৩-২৮|ওয়েবসাইট=[[প্রথম আলো]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-১০}}</ref>
কোটালিপাড়ায় ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা বেশি জনপ্রিয়। এছাড়াও ব্যাডমিন্টন, এ্যাথলেটিকস্, ভলিবল, সাঁতার, [[কাবাডি]] স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই এ অঞ্চলে প্রচলিত। আঞ্চলিকভাবে [[হা-ডু-ডু]], [[গোল্লাছুট]], বউ ছি, [[লুকোচুরি]] খেলা হয়।
৯৬ ⟶ ১০০ নং লাইন:
==উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব==
* [[সুধীরলাল চক্রবর্তী]] (১৯১৬-১৯৫২) - বাংলা ভাষার
* [[মোহিনী চৌধুরী]] (১৯২০-১৯৮৭) -
* [[সুকান্ত ভট্টাচার্য]] (১৯২৫-১৯৪৭) - সাম্যবাদী ও মানবতাবাদী কবি;
* [[নির্মল সেন]] (১৯৩০-২০১৩) -
*[[হেমায়েত উদ্দিন]] (১৯৪১-২০১৬) - [[বীর বিক্রম]] খেতাবপ্রাপ্ত [[মুক্তিযোদ্ধা]]; [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে]] [[হেমায়েত বাহিনী|হেমায়েত বাহিনীর]]
*
▲*[[হেমায়েত উদ্দিন]] (১৯৪১-২০১৬) - [[বীর বিক্রম]] খেতাবপ্রাপ্ত [[মুক্তিযোদ্ধা]]; [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে]] [[হেমায়েত বাহিনী|হেমায়েত বাহিনীর]] প্রধান।
==উল্লেখযোগ্য স্থান==
|