মাধ্যমিক পরীক্ষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সংশোধিত রূপ!
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে|ব্যাঘ্র প্রকল্প এডিটাথন ২০১৯}}
'''মাধ্যমিক পরীক্ষা''' অথবা সরল কথায় '''মাধ্যমিক''' হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম মানের শেষে [[পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ]] কর্তৃক কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত এক পরীক্ষা। একইভাবে ত্রিপুরা রাজ্যেও সরকারি এবং সরকার পোষিত দশম মান বিদ্যালয়গুলির ছাত্রছাত্রীদের জন্যে ত্রিপুরা মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অধীনে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। সংখ্যার দিক থেকে এটা ভারতের দশম মান পরীক্ষাগুলোর পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একটা বড়ো অংশ। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে ৬০০,০০০ সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছিল, এবং তার পর থেকে এই সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১০ লক্ষের এক রেকর্ড ছুঁয়ে গিয়েছে। এই পরীক্ষার অত্যাবশ্যক বিষয়গুলোর মধ্যে আছে: প্রথম ভাষা, দ্বিতীয় ভাষা, ভৌত বিজ্ঞান (পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন দ্বৈতভাবে), জীবন বিজ্ঞান, গণিত, ইতিহাস এবং ভূবিজ্ঞান।
 
== ইতিহাস ==
১৮৫৭ থেকে ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] কর্তৃক ''ম্যাট্রিকুলেশন এগজামিনেশন'' নাম দিয়ে এই মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালিত হোত।''ওয়েস্ট বেঙ্গল সেকেন্ডারি এডুকেশন অ্যাক্ট অফঅব ১৯৫০'', এই আইন মোতাবেক ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় বোর্ড অফঅব সেকেন্ডারি এডুকেশন বা মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। পরবর্তীকালে, ''ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফঅব সেকেন্ডারি এডুকেশন অ্যাক্ট ১৯৬৩'', এই আইনের অধীনে ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম হয় [[পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ]]। তখন থেকেই এই পরীক্ষার পরিবর্তিত নতুন নামকরণ হয় ''মাধ্যমিক পরীক্ষা'' (সেকেন্ডারি এগজামিনেশন, বাংলায় বললে মাধ্যমিক পরীক্ষা; মিডল লেভেল বা ''মধ্য স্তর'' থেকে বাংলা তর্জমা করে হয়েছে ''মাধ্যমিক)।''
 
== পরীক্ষা কাঠামো ==
১২ ⟶ ১১ নং লাইন:
পর্ষদের মনোনীত এক দীর্ঘ বিষয় তালিকার মধ্যে থেকে বিদ্যালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী একটা অতিরিক্ত বিষয় ছাত্রছাত্রীরা নিতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ পছন্দ হল কর্ম শিক্ষা এবং শারীর শিক্ষা। অন্যান্য পছন্দের মধ্যে আছে বলবিজ্ঞান ও গণিত (অতি উচ্চ-নম্বর পাওয়া প্রায় সব ছাত্রছাত্রীর সর্বজনীন পছন্দ)। যদি একজন শিক্ষার্থী একটা বিষয় অতিরিক্ত হিসেবে নেওয়ার ইচ্ছা করে, এটা হতে পারে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, কম্পিউটার সায়েন্স এবং অন্যান্য বিষয়। যদিও বিষয়টা ঐচ্ছিক, অতি অল্প ছাত্রছাত্রী এটা পছন্দ করে। যদি অতিরিক্ত বিষয়ের নম্বর ৩৪ থেকে বেশি হয়, তাহলে ৩৪ বাদ দিয়ে বাকি নম্বর সর্বমোট নম্বরের সঙ্গে যোগ হয়। ৩৪ নম্বরের সমান অথবা কম হলে সর্বমোট নম্বরে কোনো বাড়তি নম্বর যোগ হয়না। এই বিষয় থাকা সত্ত্বেও ৯০০ নম্বরে না-করে ৮০০ নম্বরের ওপর শতাংশের হিসেব কষা হয়; এভাবে ১০০ শতাংশের বেশি নম্বর তোলার সুযোগের প্রস্তাবনা থাকে। পরের দিকে এই পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ছাত্রছাত্রীরা একটা অতিরিক্ত বিষয় কেবলমাত্র জ্ঞান লাভের জন্যে নিয়ে থাকে। কোনো নম্বর এই বিষয় থেকে হিসেবের মধ্যে ধরা হয়না, একটা সিদ্ধান্ত বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীর এই বিষয় ছেড়ে দেওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন করার জন্যে অতিরিক্ত বিষয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়না।<ref name="name=WBBSE_History">name=WBBSE_History</ref>
 
[[কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশন্স]] এবং [[সেন্ট্রাল বোর্ড অফঅব সেকেন্ডারি এডুকেশন]]-এর মতো কেন্দ্রীয় পর্ষদগুলো জাতীয় পাঠ্যক্রমের প্রস্তাব দেয় যেখানে পাঠ্যসূচিকে খুব সহজ এবং উচ্চ-নম্বর পাওয়ার (কিন্তু দীর্ঘায়ত, গভীরতা কম, বিষয়বস্তু বেশি) ব্যবস্থাকে যাচাই করার প্রচেষ্টা চলেছিল। সেখানে পরামর্শ ছিল যে, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুধুমাত্র দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি অনুযায়ী নেওয়া হবে, যেমন উচ্চ মাধ্যমিকে অবতারণা করা হয়েছিল। চলতি বছরের (২০১১) ছাত্রছাত্রীরা আগের মতোই নবম এবং দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পরীক্ষা দেবে।{{হালনাগাদ}} যাইহোক, ২০১২ থেকে শুধুমাত্র দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপরই পরীক্ষা নেওয়া হবে।<ref name="name=WBBSE_History"/>
 
2007২০০৭ খ্রিস্টাব্দের মাধ্যমিকের জন্যে সকল [[কোর্স (শিক্ষা)|বিষয়]]ভিত্তিক পাঠ্যসূচিতে ছাত্রছাত্রীদের ওপর চাপ কমাবার জন্যে বদল করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সব বিষয়েই কিছু-না-কিছু সংযোজন এবং ছাঁটাই করা হয়েছে।<ref name="name=WBBSE_History"/>
 
যখন বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে সাধারণত [[উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা|উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়]] বসার জন্যে, যে পরীক্ষা পরিচালনা করে [[পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ]], এছাড়া ছাত্রছাত্রীরা [[সেন্ট্রাল বোর্ড অফঅব সেকেন্ডারি এডুকেশন|সিবিএসই]] পরিচালিত [[অল ইন্ডিয়া সিনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশন]] অথবা [[কাউন্সিল ফর দ্যদি ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশন্স|সিআইএসসিই]] পরিচালিত [[ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট|আইএসসি]] পরীক্ষায় বসারও সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে।
 
== বিষয়সমূহ ==
* [[বাংলা ভাষা|বাংলা]] (প্রথম অথবা দ্বিতীয় ভাষা)
* [[English language|Englishইংরেজি]] (firstপ্রথম orঅথবা secondদ্বিতীয় languageভাষা)
* [[হিন্দি ভাষা]] (প্রথম অথবা দ্বিতীয় ভাষা)
* [[নেপালি ভাষা|নেপালি]] (প্রথম অথবা দ্বিতীয় ভাষা)
৩৬ ⟶ ৩৫ নং লাইন:
 
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|2}}
 
== বহিঃসংযোগ ==
== বহির্সংযোগসমূহ ==
* [http://www.wbbse.org West Bengal Board of Secondary Education]
 
[[Standardized tests in India]]
<br />
 
[[বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা]]