ভাওনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন |
|||
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Bhaona.jpg|300px|thumb|right|ভাওনাতে দুজন ভাবরীয়া এবং নামঘরের দর্শক]]
[[আসাম]]-এর সর্বতোকালের সর্বোত্তম মহাপুরুষ [[শ্রীমন্ত শংকরদেব]]-এর অনুপম সৃষ্টি [[অংকীয়া নাট]] ভাওনা।<ref name="Barthakur2003">{{
==উদ্দেশ্য==
মহাপুরুষ শংকরদেবের নাটকর্মের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ধর্ম প্রচার মোক্ষপ্রাপ্তি এবং কামনা পূরণ। [[শংকরদেব]]-এর [[নাট]]-এর প্রথম নান্দী [[শ্লোক]]-এর পরে [[সূত্রধার]]-এর [[শ্লোক]] এবং [[সূত্র]]-এর উক্তিগুলি থেকে এই কথা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।<ref name="রামধনু">ভাওনা: লোহিত চন্দ্র দেবগোস্বামী, রামধনু, দৈনিক আসাম, ২৬ মে’ ২০১২</ref> সেই সময়ের নিরক্ষর জনসাধারণ ধর্মের কথাগুলি যাতে সহজে উপলব্ধি করতে পারে তার জন্য শাস্ত্র পাঠ এবং মৌখিক উপদেশ দিয়ে নাটাভিনয় অধিক ফলপ্রদ উপায় ছিল। সেজন্য তিনি সংস্কৃতির দিকে লোকব্যঞ্জক আহিলা হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন [[অংকীয়া নাট]]-এর প্রদর্শন অর্থাৎ ভাওনাকে। ভাগবত পুরাণ ছাড়াও সমসাময়িক ভারতীয় লোক নাটক, সংস্কৃত নাটক এবং আসামে আগে থেকে চলতে আসা ওঝাপালি, পুতুল নাচ ইত্যাদি লোক পরিবেশন কলা থেকে সমল সংগ্রহ করে শংকরদেব অংকীয়া নাট রচনা করেছিলেনেন। লোক শিক্ষার সহজ এবং কার্যকরী উপায় হিসাবে গুরুজনই নাটাভিনয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন এবং তৎকার্যে সফলও হয়েছিলেন। ভাওনার সঙ্গে সম্বন্ধ না থাকা, আগে ভাওনা না দেখা সমাজটির লোকদের শিখিয়ে-বুঝিয়ে, নিজে নাট কেটে, বাদ্যযন্ত্র প্রস্তুত, আহার্য রংবরণক ইত্যাদি করে ভাওনা প্রদর্শন অব্দি যাবতীয় কাজ-কর্ম শংকরদেবকে নিজেই করতে হয়েছিল।<ref name="নাটচিন্তা">{{
==ধর্মীয় বিশ্বাস==
ভাওনার আগেরদিন একভাগ শরাই-শলিতা দিয়ে মাস-প্রসাদে নামঘরে প্রার্থনা জানানো হয়। গায়ন-বায়ন, [[সূত্রধার]] এবং [[শ্রীকৃষ্ণ]]-এর ভাও নেওয়ারা আগের দিন উপবাসে থেকে পরের দিন লঘু আহার গ্রহণ করে দিনে জনতার নাম-কীর্তনে অংশগ্রহণ করে নামের পরে আশীর্বাদ গ্রহণ করে। ভাওনার দিন সত্র বা রাজকীয় নামঘরে একটি পবিত্র অনুষ্ঠানরূপে পালন করা হয়।<ref name="রামধনু"/>
==বৈশিষ্ট্য==
২৩ ⟶ ২২ নং লাইন:
[[File:Putona Raikyosi.jpg|thumb|পুতনার চরিত্রে একজন ভাবরীয়া]]
ভাওনার শ্লোক, অপিচ এবং সূত্রধারের বচনের ওপর সম্পূর্ণ পরিচালনার ভার সূত্রধারের।<ref name="Gajrani2004">{{
ভাওনার দিন [[কীর্তনঘর]], [[নামঘর]], [[নাটঘর]] বা উন্মুক্ত মঞ্চ পরিষ্কার করে, কলাপুলি রুইয়ে সাজিয়ে পরিয়ে সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা হয়। সূত্রধার প্রবেশের আগে নয় গাছি বাতি ‘অগ্নিগড়’’ প্রবেশ পথে দুজন ধরে রাখে এবং আঁড়-কাপড় ধরে সূত্রের প্রবেশের সাথে সাথে মহতা জ্বালিয়ে (সূত্রধারের আগে একটি এবং পরে একটি)
কীর্তন বা রভাঘর খালি করে রাখে। তেমনভাবে কৃষ্ণ, রাম বা বিশেষ রাজার প্রবেশেও আঁড়-কাপড় ধরে। বাতি, মহতা বা আঁড়িয়াগুলি মিঠাতেল দ্বারা জ্বালানো হয়।<ref name="রামধনু"/>
অগ্নিগড়ের নয় গাছি বাতি হল নয়
>
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
[[বিষয়শ্রেণী:আসামের উৎসব]]
|