জিয়াউর রহমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
জাহিদুল হক অমি-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Al Riaz Uddin Ripon-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
পরিষ্কারকরণ
৬ নং লাইন:
| imagesize = 195px
| office = [[বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি|বাংলাদেশের ৮ম রাষ্ট্রপতি]]
| primeminister = [[মশিউর রহমান]] <small>(ভারপ্রাপ্ত)</small><br />[[শাহ আজিজুর রহমান]]
| term_start = ২১ এপ্রিল ১৯৭৭
| term_end = ৩০ মে ১৯৮১
২১ নং লাইন:
| successor2 = [[হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ]]
| birth_date = {{জন্ম তারিখ|1936|1|19|df=yes}}
| birth_place = [[বগুড়া জেলা|বাগবাড়ি]], [[বাংলা প্রেসিডেন্সি]], [[ব্রিটিশ ভারত]]<br />(বর্তমান [[বগুড়া জেলা|বগুড়া]], [[বাংলাদেশ]])
| death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|1981|5|30|1931|1|19|df=yes}}
| death_place = [[চট্টগ্রাম]], বাংলাদেশ
| spouse = [[খালেদা জিয়া]]
| children = [[তারেক রহমান]]<br />[[আরাফাত রহমান]]
| alma_mater = [[ডি জে সায়েন্স কলেজ]]<br />[[পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি]]<br />[[কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ]]
| profession = [[সামরিক অফিসার]], [[রাজনীতিবিদ]]
| party = [[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল]]
| allegiance = {{পতাকা|বাংলাদেশ}}<br />{{পতাকা|পাকিস্তান}} (১৯৭১ সালের পূর্বে)
| branch = {{nowrap| [[Fileচিত্র:Flag of the Pakistani Army.svg|23px]] [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী]]}} <br />{{nowrap| [[Fileচিত্র:Flag of the Bangladesh Army.svg|23px|Bangladesh Army seal]] [[বাংলাদেশ সেনাবাহিনী]]}}
| serviceyears = ১৯৫৩–১৯৭১ (পাকিস্তান),<br />১৯৭১–১৯৭৯ (বাংলাদেশ)
| rank = [[লেফট্যানেন্ট জেনারেল]]
| awards = [[বীর উত্তম]]<br />[[হিলালে জুরাত]]<br />[[অর্ডার অব দ্য নাইল]]
|citizenship={{পতাকা|ব্রিটিশ ভারত}} (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)<br />{{পতাকা|পাকিস্তান}} (১৯৭১ সালের পূর্বে)<br />{{পতাকা|বাংলাদেশ}}}}
''' জিয়াউর রহমান''' (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Former Presidents, Lt. General Ziaur Rahman |ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130605130743/http://www.bangabhaban.gov.bd/ziaur.html|ওয়েবসাইট=archive.org|সংগ্রহের-তারিখ=18 February 2013}}</ref> – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন [[গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার|বাংলাদেশের]] অষ্টম [[বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি|রাষ্ট্রপতি]], সাবেক সেনাপ্রধান এবং একজন [[মুক্তিযোদ্ধা]]। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগনের উপর হামলা করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং স্বশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি [[শেখ মুজিবর রহমান|শেখ মুজিবর রহমানের]]ের পক্ষে চট্টগ্রামের [[কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র]] থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টরসমূহের তালিকা|সেক্টর]] কমান্ডার ও [[জেড ফোর্স (বাংলাদেশ)|জেড ফোর্সের]] অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য [[বাংলাদেশ সরকার]] তাকে [[বীর উত্তম]] খেতাবে ভূষিত করে। মুক্তিযুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন<ref name="bangabhaban.gov">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bangabhaban.gov.bd/ziaur.html|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130605130743/http://www.bangabhaban.gov.bd/ziaur.html|আর্কাইভের-তারিখ=5 June 2013|শিরোনাম=Former Presidents, Lt. General Ziaur Rahman|প্রকাশক=Bangabhaban.gov.bd|সংগ্রহের-তারিখ=18 February 2013}}</ref> এবং ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর [[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল]] প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি চার বছর বাংলাদেশ শাসন করার পর ১৯৮১ সালের ৩০শে মে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে [[জিয়া স্মৃতি যাদুঘর|চট্টগ্রামে]] নিহত হন।
 
== প্রাথমিক জীবন ==
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের [[বগুড়া জেলা|বগুড়া জেলার]] বাগবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। জন্ম ও শৈশবে তার ডাক নাম ছিলো কমল। তার পিতার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তার পিতা [[কলকাতা]] শহরে এক সরকারি দপ্তরে [[রসায়ন|রসায়নবিদ]]বিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়। [[১৯৪৭ এর ভারত বিভাগ|ভারতবর্ষ বিভাগের]] পর তার পিতা পশ্চিম পাকিস্তানের [[করাচি]] শহরে চলে যান। তখন জিয়া [[কলকাতা|কলকাতার]] [[হেয়ার স্কুল]] ত্যাগ করেন এবং করাচি একাডেমী স্কুলে ভর্তি হন। ঐ স্কুল থেকে তিনি ১৯৫২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন এবং তারপর ১৯৫৩ সালে করাচিতে ডি.জে. কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাকুল মিলিটারি একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।
 
== পাকিস্তানে সামরিক পেশাজীবন ==
 
১৯৫৩ সালে তিনি কাকুল [[পাকিস্তান]] মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন প্রাপ্ত হন। সামরিক বাহিনীতে তিনি একজন সুদক্ষ প্যারাট্রুপার ও কমান্ডো হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেন এবং স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন<ref name="বঙ্গভবন বায়োগ্রাফি">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://web.archive.org/web/20130605130743/http://www.bangabhaban.gov.bd/ziaur.html |শিরোনাম=বঙ্গভবন বায়োগ্রাফি |প্রকাশক=bangabhaban.gov.bd |তারিখ=2012-12-08 |সংগ্রহের-তারিখ=2013-02-18|ভাষা=en}}</ref>। করাচীতে দুই বছর চাকুরি করার পর ১৯৫৭ সালে তিনি [[ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট|ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে]] বদলি হয়ে আসেন। তিনি ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেন। ঐ সময়ই ১৯৬০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের দিনাজপুর শহরের বালিকা, [[বেগম খালেদা জিয়া|খালেদা খানমের]] সঙ্গে জিয়াউর রহমান বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৬৫ সালের [[ভারত]]-[[পাকিস্তান]] যুদ্ধে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে খেমকারান সেক্টরে তিনি অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। যুদ্ধে দুর্ধর্ষ সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য যেসব কোম্পানি সর্বাধিক বীরত্বসূচক পুরস্কার লাভ করে, জিয়াউর রহমানের কোম্পানি ছিল এদের অন্যতম। এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাকিস্তান সরকার জিয়াউর রহমানকে হিলাল-ই-জুরাত খেতাবে ভূষিত করে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://ncml.page.tl/Hilal_e_Jurat.htm |শিরোনাম=Ziaur Rahman getting Hilal_e_Jurat |প্রকাশক=Ncml.page.tl |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2013-02-18|ভাষা=en}}</ref>। এছাড়াও জিয়াউর রহমানের ইউনিট এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য দুটি [[সিতারা-ই-জুরাত]] এবং নয়টি [[তামঘা-ই-জুরাত]] পদক লাভ করে। ১৯৬৬ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে পেশাদার ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ লাভ করেন। সে বছরই তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের কোয়েটার স্টাফ কলেজে কমান্ড কোর্সে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হয়ে জয়দেবপুরে সেকেন্ড ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন। এডভান্সড মিলিটারি এন্ড কমান্ড ট্রেনিং কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তিনি পশ্চিম [[জার্মানি|জার্মানিতে]]তে যান<ref name="বাংলাপিডিয়া বায়োগ্রাফি">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.banglapedia.org/HT/R_0028.HTM |শিরোনাম=বাংলাপিডিয়া বায়োগ্রাফি |প্রকাশক=banglapedia.org |তারিখ=2012-12-08 |সংগ্রহের-তারিখ=2013-02-18 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130313060417/http://www.banglapedia.org/HT/R_0028.HTM |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৩-০৩-১৩ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> এবং কয়েক মাস ব্রিটিশ আর্মির সাথেও কাজ করেন।<ref name="বঙ্গভবন বায়োগ্রাফি" /> ১৯৭০ সালে একজন মেজর হিসেবে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামে]] নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন।
 
== বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ==
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর বর্বরের মতো ঘৃণ্য হামলা চালায়। সে রাতে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনপ্রিয় বাঙালি নেতা বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবর রহমান]] বন্দী হন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://books.google.com.bd/books?id=_x8ZSDg-9wIC&pg=PA403&dq=bongobondhu+arrested+march&hl=bn&sa=X&ei=PgkXUqvcBoWJrAfztYCIBg&ved=0CDAQ6AEwAQ#v=onepage&q=bongobondhu+arrested+march&f=false|শিরোনাম=Bullets of '71: A Freedom Fighter's Story|প্রথমাংশ=Nūruna|শেষাংশ=Nabī|তারিখ=6 November 2017|প্রকাশক=AuthorHouse|সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2017|মাধ্যম=Google Books}}</ref> পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ চলে যান আত্মগোপনে। জনগণ তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় পশ্চিম পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বর আক্রমণের পর জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে বিদ্রোহ করেন<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://books.google.com.bd/books?id=LL-OOylQOxMC&pg=PA50&dq=zia+fought+a+bloody&hl=en&sa=X&ei=RwsXUsj9KoOYrAeWqYGQDg&ved=0CC0Q6AEwAA#v=onepage&q=zia+fought+a+bloody&f=false|শিরোনাম=The Destiny of a Child Is the Mystery of Creation|প্রথমাংশ=Adil|শেষাংশ=Khan|তারিখ=31 May 2009|প্রকাশক=AuthorHouse|সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2017|মাধ্যম=Google Books}}</ref><ref name="বাংলাদেশ প্রতিদিন ৬ এপ্রিল ২০১৪">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bd-pratidin.com/2014/04/06/52632|শিরোনাম=বাংলাদেশ প্রতিদিন ৬ এপ্রিল ২০১৪|প্রকাশক=|সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2017}}</ref> এবং ২৬শে মার্চ<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://arts.bdnews24.com/?p=2769|শিরোনাম=সংযোজনস্বাধীনতার ঘোষণা: বেলাল মোহাম্মদের সাক্ষাৎকার|তারিখ=28 March 2010|প্রকাশক=|সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2017}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://books.google.com.bd/books?id=ph0NAAAAIAAJ&q=shawadhin|শিরোনাম=Bangladesh at war|প্রথমাংশ=Ke Ema|শেষাংশ=Śaphiullāh|তারিখ=6 November 1989|প্রকাশক=Academic Publishers|সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2017|মাধ্যম=Google Books}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://books.google.com.bd/books?id=aONtAAAAMAAJ&q=2.30+p.m.|শিরোনাম=Tragedy of errors: East Pakistan crisis, 1968-19711968–1971|প্রথমাংশ=Kamal|শেষাংশ=Matinuddin|তারিখ=6 November 1994|প্রকাশক=Wajidalis|সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2017|মাধ্যম=Google Books}}</ref> পরে ২৭শে মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।<ref name="বাংলাদেশ প্রতিদিন ৬ এপ্রিল ২০১৪" /><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/detail/date/2012-12-08/news/311485|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://archive.is/20130216164554/http://www.prothomalo.com/detail/date/2012-12-08/news/311485|অকার্যকর-ইউআরএল=yes|শিরোনাম=‘ক্যারিশমেটিক’ জিয়া সেনাবাহিনীর রাজনীতিকীকরণ করেছেন - প্রথম আলো|তারিখ=16 February 2013|আর্কাইভের-তারিখ=16 February 2013|প্রকাশক=|সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2017}}</ref><ref>https://docs.google.com/viewer?a=v&q=cache:VeKkDBAqEzcJ:www.fhiredekha.com/gallery/albums/documents/declassifieddoc_march26_1971b.pdf+on+march+27+the+clandestine+radio+announced+the+formation+of+a+revolutionary&hl=en&gl=bd&pid=bl&srcid=ADGEEShEAKibidOlOBQev7vnIxsI447K2zd4q_Cs0PLUpUChcQWkoEbBbdX4XlY4ggzWCbi-Pn9B_l3E0malX1XI3aVuFEXYMzDOs05InKeaCVyvNwY_N8mTAcX3r8K7pfB2LhQD60DD&sig=AHIEtbSTu_IbFd5XL2SDPNWjSsqPaBVNTQ</ref>
 
[[চিত্র:Ziaur Rahman.jpg|thumbnail|right|জনসভায় বক্তব্যরত জিয়া]]
 
মেজর জিয়া এবং তার বাহিনী সামনের সারি থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং বেশ কয়েকদিন তারা চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অভিযানের মুখে কৌশলগতভাবে তারা সীমান্ত অতিক্রম করেন। ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে প্রথমে তিনি ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://webcache.googleusercontent.com/search?q=cache:4xBKyWiAbakJ:www.bharat-rakshak.com/LAND-FORCES/Army/History/1971War/PDF/1971Appendix.pdf+&cd=1&hl=en&ct=clnk&gl=bd |শিরোনাম=বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে বিএসএফ এর ভূমিকা |প্রকাশক=bharat-rakshak.com |তারিখ=2012-12-08 |সংগ্রহের-তারিখ=2013-02-18 }}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> এবং চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নোয়াখালী,রাঙ্গামাটি, মিরসরাই, রামগড়, ফেণী প্রভৃতি স্থানে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন। তিনি সেনা-ছাত্র-যুব সদস্যদের সংগঠিত করে পরবর্তীতে ১ম, ৩য় ও ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এই তিনটি ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে [[মুক্তিবাহিনী|মুক্তিবাহিনীর]] প্রথম নিয়মিত সশস্ত্র ব্রিগেড [[জেড ফোর্স (বাংলাদেশ)|জেড ফোর্সের]] অধিনায়ক <ref name="জেড ফোর্স অরগানোগ্রাম">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://pdfcast.org/images/s/1613/z-force-organogram-1971-bangladesh-liberation-war.jpg |শিরোনাম=জেড ফোর্স অরগানোগ্রাম |প্রকাশক=pdfcast.org |তারিখ=2012-12-08 |সংগ্রহের-তারিখ=2013-02-18 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130930104716/http://pdfcast.org/images/s/1613/z-force-organogram-1971-bangladesh-liberation-war.jpg |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৩-০৯-৩০ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমান, যুদ্ধ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালের এপ্রিল হতে জুন পর্যন্ত ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার এবং তারপর জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত যুগপৎ ১১ নম্বর সেক্টরের <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bengalrenaissance.com/war.html |শিরোনাম=বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরসমূহের তালিকা |প্রকাশক=bengalrenaissance.com |তারিখ=2012-12-08 |সংগ্রহের-তারিখ=2013-02-18}}</ref> ও জেড-ফোর্সের <ref name="জেড ফোর্স অরগানোগ্রাম" /> কমান্ডার হিসেবে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
 
== বাংলাদেশে সামরিক পেশাজীবন ==
৫৫ নং লাইন:
 
== শেখ মুজিব হত্যা ও পরবর্তী সময় ==
১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিহত হবার ১০ দিন পর জিয়া [[বাংলাদেশ সেনাবাহিনী|বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর]] প্রধান নিযুক্ত হন <ref name="বঙ্গভবন বায়োগ্রাফি" />। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে অবসর গ্রহণ করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Mascarenhas|প্রথমাংশ১=Anthony|শিরোনাম=Bangladesh: A Legacy of Blood|প্রকাশক=Hodder and Stoughton|ইউআরএল=https://www.goodreads.com/book/show/17259516-bangladesh}}</ref>
 
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি [[শেখ মুজিবর রহমান|শেখ মুজিবর রহমানের]]ের হত্যাকান্ডের <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://web.archive.org/web/20130511074245/http://www.akhonsamoy.com/back/Vol10/102/pages/Page_01.htm |শিরোনাম=১৫ই আগস্টের আগেই ক্যু' সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করেন জেনারেল জিয়া |প্রকাশক=akhonsamoy.com |তারিখ=2012-12-08 |সংগ্রহের-তারিখ=2013-02-18}}</ref> পর, [[খন্দকার মোশতাক আহমেদ]] রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারপরে ঐ বছরের ২৫শে আগস্ট জিয়াউর রহমান চীফ অফ আর্মী স্টাফ নিযুক্ত হন।<ref name="books.google.com.bd">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://books.google.com.bd/books?id=OVqP54UEe4QC&pg=PA349&dq=zia+hanged+taher&hl=en&sa=X&ei=whIXUubyGcn_rQeu3oCYBQ&ved=0CCsQ6AEwAA#v=onepage&q=zia+hanged+taher&f=false|শিরোনাম=Revenge and Reconciliation|প্রথমাংশ=Rajmohan|শেষাংশ=Gandhi|তারিখ=6 November 1999|প্রকাশক=Penguin Books India|সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2017|মাধ্যম=Google Books}}</ref> ঐ বছরের ৩রা নভেম্বর [[বীর বিক্রম]] কর্নেল শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বাধীন ঢাকা ৪৬ পদাতিক ব্রিগেডের সহায়তায় [[বীর উত্তম]] মেজর জেনারেল [[খালেদ মোশাররফ]] এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটান। এর ফলে ৬ই নভেম্বর খন্দকার মোশতাক আহমেদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি হন। এর পর জিয়াউর রহমানকে চীফ-অফ-আর্মি স্টাফ হিসেবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং তার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে গৃহবন্দী করে রাখা হয় যা সেনাবাহিনীর মধ্যে তার জনপ্রিয়তার কারনে অত্যন্ত বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড ভঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় এবং জিয়ার প্রতি অবিচার করায় ক্ষুদ্ধ সেনাসদস্যরা ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার আরেক পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং জিয়াউর রহমানকে তার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের গৃহবন্দীত্ব থেকে মুক্ত করে ২য় ফিল্ড আর্টিলারির সদরদপ্তরে নিয়ে আসে <ref>{{বই উদ্ধৃতি |ইউআরএল=/http://i.imgur.com/qfKSkvi.jpg |শিরোনাম=তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা |লেখক= লেঃ কর্নেল (অবঃ) এম এ হামিদ, পিএসসি, মোহনা প্রকাশনী, ৩২/২-ক বাংলাবাজার, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ, ১৯৯৩, পৃষ্ঠা ১০২-১০৩}}</ref>। ঐ দিন সকালেই পাল্টা অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় শেরে বাংলা নগরে নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত ১০ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদরদপ্তরে ক্ষুব্ধ জোয়ানদের হাতে মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ [[বীর উত্তম]],কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা [[বীর বিক্রম]] এবং লেঃ কর্নেল এ টি এম হায়দার [[বীর উত্তম]] নিহত হয় <ref>{{বই উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://i.imgur.com/Vrxtr8o.jpg |শিরোনাম=তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা |লেখক= লেঃ কর্নেল (অবঃ) এম এ হামিদ, পিএসসি, মোহনা প্রকাশনী, ৩২/২-ক বাংলাবাজার, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ, ১৯৯৩, পৃষ্ঠা ১০৮-১০৯}}</ref>।
 
== রাষ্ট্রপতি জিয়া ==
{{refimprove}}
[[Fileচিত্র:Staff Car Mercedes Benz 4 Cylinder 2000 cc.jpg|thumb|240px|বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান থাকাকালে জিয়া এই গাড়িটি ব্যবহার করতেন।]]
১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহি জনতা বিপ্লবের পর তিনি রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন।<ref name="mongoldhoni.net">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://www.mongoldhoni.net/7th-november-and-colonel-taher-an-unfinished-revolution/ |সংগ্রহের-তারিখ=২৩ আগস্ট ২০১৩ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130726065037/http://www.mongoldhoni.net/7th-november-and-colonel-taher-an-unfinished-revolution/ |আর্কাইভের-তারিখ=২৬ জুলাই ২০১৩ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> ১৯শে নভেম্বর ১৯৭৬ সালে তাকে পুনরায় সেনাবাহিনীর চীফ অফ আর্মী স্টাফ পদে দায়িত্বে প্রত্যাবর্তন করা হয়<ref name="ReferenceA">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://books.google.com.bd/books?id=3pIjwRq24YYC&pg=PA245&dq=ziaur+rahman+1976+chief+of+army&hl=en&sa=X&ei=Pw4XUvOVBoXxrQez14CwDw&ved=0CDQQ6AEwAg#v=onepage&q=ziaur+rahman+1976+chief+of+army&f=false|শিরোনাম=Memoirs|প্রথমাংশ=Hamidul Huq|শেষাংশ=Chowdhury|তারিখ=6 November 1989|প্রকাশক=Associated Printers Ltd.|সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2017|মাধ্যম=Google Books}}</ref> এবং উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়া হয়। জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সালের ৮ই মার্চ মহিলা পুলিশ গঠন করেন, ১৯৭৬ সালে কলম্বোতে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন সম্মেলনে যোগদান করেন এবং বাংলাদেশ ৭ জাতি গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৭৬ সালেই তিনি উলশি যদুনাথপুর থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন উদ্বোধন করেন। ১৯৭৬ সালের ২৯শে নভেম্বর তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হন।<ref name="mongoldhoni.net" /> ১৯শে নভেম্বর ১৯৭৬ সালে তাকে পুনরায় সেনাবাহিনীর চীফ অফ আর্মী স্টাফ পদে দায়িত্বে প্রত্যাবর্তন করা হয়<ref name="ReferenceA" /> ১৯৭৬ সালে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করেন, ১৯৭৭ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি একুশের পদক প্রবর্তন করেন এবং রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত সায়েম এঁর উত্তরসূরি হিসেবে ২১শে এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন জিয়া দেশে আবার গণতন্ত্রায়ণের উদ্যোগ নেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালুর সিদ্ধান্ত নেন। দেশের রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির আভাস দিয়ে তিনি বলেন,{{when}}{{Citequote}}
{{cquote|I will make politics difficult for the politicians.<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://books.google.com.bd/books?id=IJUKmsztCA0C&pg=PA118&dq=politics+difficult+ziaur+rahman&hl=en&sa=X&ei=0A8XUq3CKczLrQew-YCYCw&ved=0CCsQ6AEwAA#v=onepage&q=politics+difficult+ziaur+rahman&f=false|শিরোনাম=Democratization in South Asia: Lessons from American Institutions|প্রথমাংশ=Mahfuzul H.|শেষাংশ=Chowdhury|তারিখ=6 November 2017|প্রকাশক=Ashgate|সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2017|মাধ্যম=Google Books}}</ref>}}
 
১১২ নং লাইন:
[[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল|বিএনপি]] প্রতিষ্ঠার পরপরই জিয়াউর রহমান দলের কর্মীদের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ নেন, যার মাধ্যমে দলের কর্মীদের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, দলের আদর্শ, সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হত।
 
১৯৮০ সালের [[সেপ্টেম্বর|সেপ্টেম্বরে]] এরকম একটি কর্মশালা উদ্বোধনকালে তিনি দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন,<ref>{{বই উদ্ধৃতি |লেখক=আহামেদ, এমাজুদ্দীন; ইসলাম, মাজেদুলl; মাহমুদ, শওকত; শিকদার, আব্দুল হাই |শিরোনাম=''তারেক রহমান : অপেক্ষায় বাংলাদেশ'' |প্রকাশক= জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশান |অবস্থান=[[ঢাকা]] |বছর=২০১০ |পাতাসমূহ=৩৮৯ |আইএসবিএন=984-760-141-0 |oclc= |ডিওআই=}}</ref>
{{cquote|কোন রাজনৈতিক আদর্শ ধর্মকে ভিত্তি করে হতে পারে না। একটা অবদান থাকতে পারে। কিন্তু ধর্মকে কেন্দ্র করে কখনওই রাজনীতি করা যেতে পারে না। অতীতে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে যে ধর্মকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান সময়ে যখনই রাজনীতি করা হয়েছিল সেটা বিফল হয়েছে। কারণ ধর্ম ধর্মই। আমাদের অনেকে আছে যারা আমাদের দেশে যে বিভিন্ন ধর্ম রয়েছে, সেগুলোকে কেন্দ্র করে রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেন। রাজনীতির রূপরেখা বানাতে চেষ্টা করেন, আমরা বারবার দেখেছি তারা বিফল হয়েছে। ধর্মের অবদান থাকতে পারে রাজনীতিতে, কিন্তু রাজনৈতিক দল ধর্মকে কেন্দ্র করে হতে পারে না। এটা মনে রাখবেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।}}
 
=== আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ===
[[চিত্র:Mausoleum of Ziaur Rahman (11).jpg|thumb|[[চন্দ্রিমা উদ্যান|চন্দ্রিমা উদ্যানে]] জিয়াউর রহমানের সমাধির প্রবেশদ্বার।]]
[[চিত্র:Mausoleum of Ziaur Rahman (09).jpg|thumb|[[চন্দ্রিমা উদ্যান|চন্দ্রিমা উদ্যানে]] জিয়াউর রহমানের সমাধি।]]
রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর জিয়া বাংলাদেশের কূটনৈতিক নীতিমালায় বিশেষ পরিবর্তন আনেন। [[মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধকালীন]]কালীন সময়ে বাংলাদেশের প্রতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তির দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে বিশেষ একটি কূটনৈতিক অবস্থানের সৃষ্টি হয়, যার ফলে বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশী [[ভারত]] সহ [[সোভিয়েত ইউনিয়ন|সোভিয়েত ইউনিয়নের]]ের বন্ধুতা অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক নৈকট্য গড়ে তুলেছিল। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আন্তর্জাতিক [[স্নায়ু যুদ্ধ|স্নায়ু যুদ্ধের]]ের তৎকালীন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির উল্লেখযোগ্য সংস্কার করেন যার দুটি মূল দিক ছিল সোভিয়েত ব্লক থেকে বাংলাদেশের সরে আসা ও [[ইসলাম|মুসলিম বিশ্বের]] সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক স্থাপন করা <ref name="বাংলাপিডিয়া বায়োগ্রাফি" /> । জিয়াউর রহমান সোভিয়েত ইউনিয়ন ব্যতীত প্রাচ্যের আরেক পারমাণবিক শক্তি [[চীন|চীনের]]ের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হন। তার পররাষ্ট্রনীতি সংস্কার প্রক্রিয়ার আওতায় আরও ছিল বাংলাদেশের সাথে [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]] ও [[মধ্যপ্রাচ্য|আরব বিশ্বের]] সাথে সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণ, যে সম্পর্কে [[মুক্তিযুদ্ধ|স্বাধীনতার]] পর থেকেই শৈতল্য বিরাজ করছিল। মধ্যপ্রাচ্যের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের সুবিধা ও উপকারিতা বাংলাদেশ আজও পুরোমাত্রায় উপভোগ করছে, কেননা বর্তমানে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মস্থলে পরিণত হয়েছে তার রূপরেখা জিয়াই রচনা করে গিয়েছিলেন <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.google.com/newspapers?id=ftxbAAAAIBAJ&sjid=1lINAAAAIBAJ&pg=6329,1866786&dq= |শিরোনাম=প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৩ সদস্য বিশিষ্ট আল-কুদস কমিটির সদস্য নির্বাচিত |প্রকাশক=news.google.com |তারিখ=2012-12-08 |সংগ্রহের-তারিখ=2013-02-18}}</ref> । এক্ষেত্রে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সাথে স্থাপিত সম্পর্ক অনেকটা অর্থনৈতিক হলেও যুক্তরাষ্ট্র <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.google.com/newspapers?id=mN1eAAAAIBAJ&sjid=eFMNAAAAIBAJ&pg=3108,5204175&dq= |শিরোনাম=যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য লাভের প্রতিশ্রুতি |প্রকাশক=news.google.com |তারিখ=2012-12-08 |সংগ্রহের-তারিখ=2013-02-18}}</ref> ও চীনের <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.google.com/newspapers?id=rQxiAAAAIBAJ&sjid=6-YDAAAAIBAJ&pg=5749,7820551&dq= |শিরোনাম=চীন সফরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য লাভের প্রতিশ্রুতি |প্রকাশক=news.google.com |তারিখ=2012-12-08 |সংগ্রহের-তারিখ=2013-02-18}}</ref> সাথে স্থাপিত সম্পর্কে সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক ইস্যুগুলোও প্রাসঙ্গিক ছিল। বিশেষ করে চীনের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান [[বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী|বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর]] পূণর্গঠনের কাজ অনেকটা তরান্বিত করেছিলেন। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অস্ত্রাগারের দিকে তাকালে সেই সত্যই প্রতিফলিত হয়। সামরিক পূণর্গঠনের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর সাথে উন্নত কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে জিয়া রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা ''[[বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স|বিমানের]]'' আধুনিকীকরণও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.banglapedia.org/HT/F_0154.HTM |শিরোনাম=Foreign Relations of Bangladesh |প্রকাশক=banglapedia.org |তারিখ=2012-12-08 |সংগ্রহের-তারিখ=2013-02-18 }}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> । এছাড়াও প্রেসিডেন্ট জিয়ার পররাষ্ট্র নীতির সাফল্যে বাংলাদেশ ১৯৭৮ সালে শক্তিশালী জাপানকে হারিয়ে প্রথমবারের মত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.google.com/newspapers?id=139KAAAAIBAJ&sjid=GCMNAAAAIBAJ&pg=4914,2753470&dq= |শিরোনাম=বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত |প্রকাশক=news.google.com |তারিখ=2012-12-08 |সংগ্রহের-তারিখ=2013-02-18}}</ref> হয়।
 
প্রাথমিক ভাবে এসব সংস্কার বৃহত্তর প্রতিবেশী ভারতের সাথে সামান্য দূরত্ব সৃষ্টির ইঙ্গিত বহন করলেও জিয়াউর রহমান যে আঞ্চলিক সহায়তাকে গুরুত্ব দিতেন সেই সত্যের প্রতিফলন ঘটে [[সার্ক|দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহায়তা সংস্থা (সার্ক)]] গঠনে তার উদ্যোগ ও অবদানের মধ্য দিয়ে। যেহেতু ভারত সে সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের অত্যন্ত বন্ধুভাবাপন্ন ছিল, স্নায়ুযুদ্ধের অপরপক্ষ অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ কূটনৈতিক নৈকট্য ভারতের সাথে দূরত্ব সৃষ্টির একটি কারণ হতে পারত। চীনের সাথে বাংলাদেশের তৎকালীন সদ্যস্থাপিত সুসম্পর্কও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ <ref>লিওনার্ড, টমাস এম. [http://books.google.com.bd/books?hl=en&id=08OV704armMC&q=Ziaur+Rahman#v=snippet&q=Ziaur%20Rahman&f=false Encyclopedia of the developing world], Volume 3, p.1440 to p.1444</ref> । কিন্তু জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করেছিলেন যে আঞ্চলিক প্রতিযোগীতার বদলে সহযোগীতা স্থাপিত হলে বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতিতে [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ এশিয়ার]] গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে যার ফলে বাংলাদেশ সহ এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো উপকৃত হবে। এই লক্ষ্যে তিনি সার্কের রূপরেখা রচনা করেন যা পরে ১৯৮৫ সালে বাস্তবে রূপ নেয় ও প্রতিষ্ঠিত হয় সার্ক।
 
== মৃত্যু ==
{{মূল|জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ড}}
জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে — তিনি সেনাবাহিনীতে তার বিরোধিতাকারীদের নিপীড়ন করতেন।{{সত্যতা}} তবে জিয়া অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলেন। অনেক উচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। বিপদের সমূহ সম্ভবনা জেনেও জিয়া চট্টগ্রামের স্থানীয় সেনাকর্মকর্তাদের মধ্যে ঘঠিত কলহ থামানোর জন্য ১৯৮১ সালের [[মে ২৯|২৯শে মে]] [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামে]] আসেন এবং সেখানে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে থাকেন। তারপর [[মে ৩০|৩০শে মে]] গভীর রাতে সার্কিট হাউসে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়া নিহত হন। জিয়াউর রহমানকে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে দাফন করা হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়ার জানাজায় বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ জনসমাগম ঘটে যেখানে প্রায় ২০ লক্ষ্যাধিক মানুষ সমবেত হয় <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.google.com/newspapers?id=_I4cAAAAIBAJ&sjid=HGEEAAAAIBAJ&pg=5846,221312&dq= |শিরোনাম=দ্যা পিটসবার্গ প্রেস, জুন ২, ১৯৮১ |প্রকাশক=news.google.com |তারিখ=2012-12-08 |সংগ্রহের-তারিখ=2013-02-18}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://oi50.tinypic.com/2iiaeww.jpg |শিরোনাম=নিউজউইক ম্যাগাজিন, জুন ১৫, ১৯৮১ |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2013-02-18}}</ref> ।
 
{{Infobox park
১৩৪ নং লাইন:
}}
 
== সমালোচনা ও কৃতিত্ব ==
রণনায়ক হিসেবে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের অনেক রাজনীতিবিদদের কাছে সমাদৃত ও স্বীকৃত।<ref name=":1">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Chowdhury |প্রথমাংশ=Afsan |তারিখ=29 August 2016 |শিরোনাম=Must laws protect Sheikh Mujib's honour and 1971 history? |ইউআরএল=http://opinion.bdnews24.com/2016/08/29/must-laws-protect-sheikh-mujibs-honour-and-1971-history/ |সংবাদপত্র=bdnews24.com |ধরন=অভিমত |সংগ্রহের-তারিখ=8 September 2016}}</ref> তবে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে তার ভূমিকা বিতর্কিত। ১৯৭৫ সালে মুজিবের হত্যাকারীদের বিচারকার্য বন্ধ করার জন্য [[খন্দকার মোশতাক আহমেদ|খন্দকার মোশতাক আহমেদের]]ের অনুমোদিত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জিয়ার দ্বারা তার আমলে বৈধকরণ করা হয়। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন শেখ মুজিবুর রহমানের কতিপয় হত্যাকারীকে বিদেশে প্রেরণ করা হয়। ঢাকা হাইকোর্ট এক রায়ে জিয়ার সামরিক শাসনসহ ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সালের মধ্যে সামরিক অভ্যূত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকে "বেআইনি ও অসাংবিধানিক" বলে ঘোষণা করে। জিয়ার সামরিক আইন ও আদেশ, অভ্যূত্থান থেকে ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি পদ গ্রহণ এবং ১৯৭৮ সালে অনুষ্ঠিত গণভোট সংবিধানবিরোধী বলে ঘোষিত হয় এবং আদালতের রায়বলে ইনডেমনিটি আধ্যাদেশ বাতিল করা হয়। শেখ মুজিবের আমলের শেষের দিকে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা দমন এবং বাকশাল (মুজিবের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একদলীয় শাসন) রহিতকরণের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে পুনরায় প্রতিষ্ঠার জন্য জিয়াকে কৃতিত্ব দেয়া হয়। অপরপক্ষে, জিয়া তার বিরোধীদের দমন করার জন্য সমালোচিত হন।<ref name="JSTOR5">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Haque |প্রথমাংশ=Azizul |তারিখ=February 1980 |শিরোনাম=Bangladesh 1979: Cry for a Sovereign Parliament |সাময়িকী=Asian Survey |খণ্ড=20 |সংখ্যা নং=2 |পাতাসমূহ=217–230 |ডিওআই=10.1525/as.1980.20.2.01p0136m |jstor=2644413}}</ref> জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে দাবী করা হয় অন্তত ৩০০০ সেনাসদস্য, সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা নিহত অথবা গুম হন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://majordalimbubangla.com/wp/chapter-17/|শিরোনাম=Major Dalim {{!}} chapter 17|ওয়েবসাইট=majordalimbubangla.com|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2018-10-01}}</ref> ১৯৭৭ সালের অক্টবারের ২ তারিখে অনুষ্ঠিত এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১৪৩ জনকে বিভিন্ন কারাগারে ফাঁসি দেয়া হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.rokomari.com/book/91106/jasoder-utthan-poton---osthir-somoyer-rajniti|শিরোনাম=পৃষ্ঠাঃ ২৩৫, জাসদের উত্থান পতনঃ অস্থির সময়ের রাজনীতি|শেষাংশ=মহিউদ্দিন|প্রথমাংশ=আহমদ|তারিখ=অক্টোবর ২০১৪|কর্ম=প্রথমা প্রকাশনী,
19, Karwan Bazar
Dhaka, Bangladesh 1215|সংগ্রহের-তারিখ=২৯ অক্টোবর ২০১৪}}</ref> তবু অর্থনীতি পুনঃনির্মাণ করার জন্য অর্থনৈতিক সংস্কার গ্রহণের জন্য জিয়াকে কৃতিত্ব দেয়া হয়। তার ইসলামিক মনোভাব তাকে বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন এনে দেয়। তার জাতীয়তাবাদী দর্শন অনেকের দৃষ্টি কেড়ে নিতে সক্ষম হয় যারা ভারত ও সোভিয়েতপন্থী রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। মুজিবের অসাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রত্যাখান করে জিয়া বাংলাদেশে ইসলামিক রাজনীতি চালু করেন এবং মুসলিম জাতিসমূহের সহযোগিতা সংস্থায় বাংলাদেশকে তুলে ধরেন যা সাধারণ জনগণের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। তবু অনেক ঐতিহাসিকদের মতে, এসব ব্যবস্থা বাংলাদেশের অনেক উপজাতিয় ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিচ্ছিন্ন ও বিরুদ্ধাচরণ করে যা ভবিষ্যতের বেশ কিছু সাম্প্রদায়িক ও উপজাতিক দ্বন্দ্বকে ত্বরান্বিত করে।যদিও এই দৃষ্টিভঙ্গিতে কেবল জিয়াকে একা এসব কার্যক্রমের জন্য দায়ি করা যায় না।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Hashmi|প্রথমাংশ১=Taj|শিরোনাম=Was Ziaur Rahman Responsible For Islamic Resurgence In Bangladesh?|ইউআরএল=http://www.countercurrents.org/hashmi110706.htm |ওয়েবসাইট=countercurrents.org |সংগ্রহের-তারিখ=28 July 2015}}</ref> জিয়া যে সাধারণ ও বিলাসবিহীন জীবনযাপন করতেন তা সর্বজনস্বীকৃত।
 
=== জাতীয় সংগীত বিতর্ক ===
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান এক গোপন চিঠিতে বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি গান ভারতীয় জাতীয় সংগীত। তিনি বাংলাদেশের নাগরিকও নন। হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন কবির লেখা গান জাতীয় সংগীত হওয়ায় মুসলিম উম্মাহ উদ্বিগ্ন। এই গান আমাদের সংস্কৃতির চেতনার পরিপন্থী বিধায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন আবশ্যক।’ প্রধানমন্ত্রীর ওই চিঠিতে ‘আমার সোনার বাংলা’র পরিবর্তে ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’কে জাতীয় সঙ্গীত করার প্রস্তাব করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠি পেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রেডিও, টেলিভিশন এবং সব সরকারি অনুষ্ঠানে প্রথম বাংলাদেশ গানটি প্রচারের নির্দেশনা জারি করে। এ সময় রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি প্রথম বাংলাদেশ গাওয়া শুরু হয়। কিন্তু ১৯৮১ সালে জিয়ার মৃত্যুর পর সেই উদ্যোগ থমকে যায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=National Anthem |ইউআরএল=https://eisamay.indiatimes.com/entertainment/tv-news/not-onlt-noble-many-noted-public-figures-voiced-their-opinion-to-replace-sonar-bangla-penned-by-rabindranath-tagore-as-the-national-song-of-bangladesh-in-the-past/articleshow/70537992.cms}}</ref>
 
== আরো দেখুন ==
* [[জিয়াউর রহমানের নামানুসারে জিনিসের তালিকা]]