পিয়ারু সর্দার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
লিংক সংযোজন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
৩ নং লাইন:
 
==ঢাকার সর্দার ও প্রভাব==
পিয়ারু সর্দার ছিলেন হোসনি দালান, বকশিবাজার, নাজিমউদ্দিন রোড, উর্দু রোড, নূরকাতা লেন, আজিমপুর, পলাশীসহ বিভিন্ন মহল্লার সর্দার।<ref name="দৈনিক সমকাল"/> তিনি ছিলেন শিক্ষানুরাগী ও দানশীল মানুষ। এ দেশের প্রথম ছাত্র সংগঠন ছাত্র ফেডারেশনের অফিস ছিল তার এলাকায়ই। [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|মাতৃভাষা আন্দোলনের]] প্রথম সূচনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্ররা পুলিশের সঙ্গে প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তেন। পুলিশের তাড়া খেয়ে ছাত্ররা পিয়ারু সর্দারের মহল্লায় এসে আশ্রয় নিত। তখন ঢাকা শহরে এত দালানকোঠা ছিল না। প্রায় ফাঁকা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ হলে ছাত্ররা রেললাইন পার হয়ে হোসনি দালানে এসে নিরাপদ বোধ করত। সে সময় পিয়ারু সর্দার তার মহল্লায় তল্লাশি থেকে পুলিশকে নিবৃত রাখতেন, সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেন।<ref name="দৈনিক সমকাল"/>
 
==১৯৫২ সালে ভূমিকা==
১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেদিন একুশে ফেব্রুয়ারিতে আমতলায় ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল করে। এ মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে ছাত্রদের হত্যা করে। সেদিন ছাত্র-জনতার এমন করুণ মৃত্যু পিয়ারু সর্দারকে নাড়া দিয়েছিল। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা এই শহীদদের স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার উদ্দেশে হত্যাকাণ্ডের স্থানে একটি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সম্প্রসারণের কাজ চলছিল। কলেজের ভেতরই ইট, বালি, রড স্তূপাকারে ছিল।<ref name="দৈনিক সমকাল"/> সিমেন্ট ছিল তালাবদ্ধ একটি গুদামে। ওই গুদামের চাবি ছিল পিয়ারু সর্দারের কাছে। সর্দারগিরির পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারির কাজ করতেন। ছাত্ররা হোসনি দালানে অবস্থিত পিয়ারু সর্দারের বাড়িতে এসে তাকে তাদের অভিপ্রায়ের কথা জানায় এবং তাকে ইট, বালি ও সিমেন্ট দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করে। সর্দার সাহেব কালবিলম্ব না করে বাড়ির ভেতর থেকে চাবি এনে মেডিকেল ছাত্র আলী আছগরের হাতে দিয়ে বলেন, 'যতটুকু প্রয়োজন হয় সিমেন্ট ব্যবহার করো। সিমেন্ট নেওয়া হলে চাবি ফেরত দিয়ে যেও।' তিনি সেদিন ছাত্রদের সঙ্গে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য একজন ওস্তাগারও পাঠিয়ে দেন।<ref name="দৈনিক সমকাল"/> ২৩ ফেব্রুয়ারির এক রাতের শ্রমে গড়ে তোলা হয় ভাষা শহীদদের স্মরণে দেশের প্রথম শহীদ মিনার। পরবর্তীকালে এই স্থান থেকে গড়ে ওঠে আজকের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।