দাত্তু ফাড়কর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
Suvray (আলোচনা | অবদান)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - নতুন অনুচ্ছেদ!
৬৮ নং লাইন:
 
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
১৯৪২-৪৩ মৌসুম থেকে ১৯৫৯-৬০ মৌসুম পর্যন্ত দাত্তু ফাড়করের [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর]] খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। এক দশককাল ভারতীয় ক্রিকেটে প্রকৃত অল-রাউন্ডার হিসেবে একনিষ্ঠ সেবা দিয়ে গেছেন। চল্লিশের দশকের শেষ দিক থেকে পঞ্চাশের দশকের শেষ দিক পর্যন্ত দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেছেন। দীর্ঘদেহী, আকর্ষনীয় শারীরিক গড়ন ছিল তার। আক্রমণধর্মী মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন দাত্তু ফাড়কর। মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে উইকেটের উভয় দিকেই বলকে সুইং করানোয় দক্ষ ছিলেন। সচরাচর স্লিপ অঞ্চলে [[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|ফিল্ডিং]] করতেন। তিনি তার সময়কালে অন্যতম সেরা ক্রিকেট তারকার পরিচিতি লাভ করেন।
 
বোম্বের রবার্ট মুনি হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন। এরপর, এলফিনস্টোন কলেজ থেকে বি.এ ডিগ্রী লাভ করেন। ১০ বছর বয়সে আন্তঃবিদ্যালয়ের খেলায় ১৫৬ রানের মনোজ্ঞ ইনিংস খেলেন। ১৯৪১-৪২ মৌসুম থেকে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম পর্যন্ত বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ক্রিকেট খেলায় প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। কলেজের পক্ষে অভিষেক খেলায় ২৭৪ রান তুলে তৎকালীন রেকর্ড গড়েন। এরপর [[আল্ফ গোভার|আল্ফ গোভারের]] পরিচালনায় ক্রিকেট স্কুলে প্রশিক্ষণ নেন।
রঞ্জী ট্রফিতে ৪৬.৮২ গড়ে ১৯২০ রান ও ১৬.৬১ গড়ে ২১৬ উইকেট পেয়েছেন।
 
রঞ্জী ট্রফিতে ৪৬.৮২ গড়ে ১৯২০ রান ও ১৬.৬১ গড়ে ২১৬ [[উইকেট]] পেয়েছেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একত্রিশটি [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্টে]] অংশগ্রহণ করেছেন দাত্তু ফাড়কর। ১২ ডিসেম্বর, ১৯৪৭ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৫৮ তারিখে কলকাতায় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
 
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে মূলতঃ সংরক্ষিত সীম বোলার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া গমন করেছিলেন। রে লিন্ডওয়াল ও কিথ মিলারের বল দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেই ক্ষান্ত হননি; আক্রমণাত্মক ঢংয়ে স্ট্রোক মেরেছেন। ৫২.৩৩ গড়ে ৩১৪ রান তুলে গড়ের দিক দিয়ে শীর্ষ স্থানে ছিলেন। অভিষেক টেস্টে ৮ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫১ রানসহ ৩/১৪ বোলিং গড়েন। এরপর থেকেই ভারত দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। ১৯৫২ সালে ইংল্যান্ড, ১৯৫৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে পাকিস্তান গমন করেন। নিজদেশে ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৫১-৫২ মৌসুমে ইংল্যান্ড, ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে পাকিস্তান, ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড, ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একত্রিশটি [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্টে]] অংশগ্রহণ করেছেন দাত্তু ফাড়কর। ১২ ডিসেম্বর, ১৯৪৭ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া দলের]] বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৫৮ তারিখে কলকাতায় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
 
১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে ভারত দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমনের জন্যে মনোনীত হন। মূলতঃ সংরক্ষিত সীম বোলার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া গমন করেছিলেন। বলের তুলনায় ব্যাট হাতেই সেখানে তিনি অধিক ভূমিকা রাখেন। [[রে লিন্ডওয়াল]] ও [[কিথ মিলার|কিথ মিলারের]] বল দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেই ক্ষান্ত হননি; আক্রমণাত্মক ঢংয়ে স্ট্রোক মেরেছেন। সিডনিতে অনুপযোগী উইকেটে অভিষেক ঘটা ঐ টেস্টে আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫১ রান তুলেন। এরপর, বল হাতে ৩/১৪ পান। অ্যাডিলেড ওভালে ছয় নম্বরে নেমে ১২৩ রান তুলেন। [[বিজয় হাজারে|বিজয় হাজারের]] সাথে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রেকর্ডসংখ্যক ১৮৮ রান তুলেন। ঐ সফরে ব্যাটিং গড়ে শীর্ষ স্থান দখল করেন। ৫২.৩৩ গড়ে ৩১৪ রান তুলে গড়ের দিক দিয়ে শীর্ষ স্থানে ছিলেন। চার-টেস্টের ঐ সিরিজের প্রত্যেক টেস্টেই কমপক্ষে একটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
 
১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে মূলতঃ সংরক্ষিত সীম বোলার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া গমন করেছিলেন। রে লিন্ডওয়াল ও কিথ মিলারের বল দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেই ক্ষান্ত হননি; আক্রমণাত্মক ঢংয়ে স্ট্রোক মেরেছেন। ৫২.৩৩ গড়ে ৩১৪ রান তুলে গড়ের দিক দিয়ে শীর্ষ স্থানে ছিলেন। অভিষেক টেস্টে ৮ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫১ রানসহ ৩/১৪ বোলিং গড়েন। এরপর থেকেই ভারত দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। ১৯৫২ সালে ইংল্যান্ড, ১৯৫৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে পাকিস্তান গমন করেন। নিজদেশে ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৫১-৫২ মৌসুমে ইংল্যান্ড, ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে পাকিস্তান, ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড, ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
 
১৯৫১-৫২ মৌসুমে কলকাতায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৫ রান ও খেলায় চার উইকেট নিয়ে আদর্শ অল-রাউন্ডার হিসেবে নিজেকে পরিচিতি ঘটান।