শিবচর উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
সংশোধন, সম্প্রসারণ, তথ্যসূত্র
৩৮ নং লাইন:
শিবচর পদ্মা বিধৌত নিম্ম পলল ভূমি এলাকা। এর ভু-ভাগ বেলে দোআঁশ মাটি দ্বারা গঠিত। এটি একটি কৃষিপ্রধান অঞ্চল।<ref name=":12">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=মাদারীপুর জেলা পরিচিতি|শেষাংশ=মিয়া|প্রথমাংশ=আবদুল জাব্বার|বছর=১৯৯৪|প্রকাশক=মিসেস লীনা জাব্বার|অবস্থান=মাদারিপুর|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=}}</ref>
 
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৩০ সালে শিবচর থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়।<ref name=":1">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা : মাদারীপুর|শেষাংশ=খান|প্রথমাংশ=শামসুজ্জামান|বছর=জুন ২০১৬|প্রকাশক=[[বাংলা একাডেমি]]|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=২৫|আইএসবিএন=984-07-5532-3|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস|বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের]] পর ১৯৮৩ সালে শিবচর থানাকে [[বাংলাদেশের উপজেলা|উপজেলায়]] উন্নীত করা হয়। [[জাতীয় সংসদ নির্বাচন|বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে]] শিবচর উপজেলার সংসদীয় আসন [[মাদারীপুর-১]]। শিবচর উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-১ আসনটি [[জাতীয় সংসদ|জাতীয় সংসদে]] ২১৮ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত।
 
==পটভূমি==
{{আরও দেখুন|মাদারীপুর জেলা}}
শিব শঙ্কর নামে এক ধার্মিক ব্যক্তি এই অঞ্চলে বাস করত, সে দেব-দেবির উপাসক হিসাবে খুব বিশিষ্ট ছিল। তার নামেই শিবচর নামকরণ করা হয়।<ref name=":1" /><ref name=":2">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://203.112.218.65:8008/WebTestApplication/userfiles/Image/PopCen2011/Com_Madaripur.pdf|শিরোনাম=COMMUNITY REPORT: MADARIPUR|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|বছর=ফেব্রুয়ারি ২০১৫|প্রকাশক=[[বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো]]|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-984-33-8597-0}}</ref> ঐতিহাসিকদের মতে, প্রাচীনকালে এ অঞ্চল ইদিলপুর নামে পরিচিত ছিল যা অতিপ্রাচীনকালে কোটালীপাড়ার অন্তর্ভূক্ত ছিল। একসময় এ অঞ্চলের প্রশাসনিক নাম ছিল নাব্যমন্ডল। খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকে ইদিলপুর ও কোটালীপাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল। [[মহান আলেকজান্ডার|গ্রিকবীর আলেকজান্ডারের]] [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারত]] আক্রমণের সময় ৩২৭ খ্রিস্টপূর্বে কোটালীপাড়া অঞ্চলে [[গঙ্গাঋদ্ধি|গঙ্গারিডাই]] জাতি স্বাধীনভাবে রাজত্ব করত। তারপর এ অঞ্চল (৩২০-৪৯৬ খ্রিঃ) [[গুপ্ত সাম্রাজ্য|গুপ্ত সম্রাটদের]] অধীনে ছিল। ৫০৭-৮ খ্রীষ্টাব্দের কিছু আগে রাজত্ব করেছেন দ্বাদশাদিত্য - মহারাজাধিরাজ বৈন্যগুপ্ত নামক এক রাজা। ৫৪০৫২৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করছেন গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য এবং নরেন্দ্রাদিত্য সমাচারদেব।<ref name=":6">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=মাদারিপুর ইতিবৃত্ত|শেষাংশ=মাহমুদ|প্রথমাংশ=লিখন|বছর=২০১৭|প্রকাশক=বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মাদারিপুর|অবস্থান=|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0|শিরোনাম=গোপচন্দ্র|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০৫}}</ref> বাংলার স্বাধীন শাসক [[শশাঙ্ক|শশাঙ্কের]] মৃত্যুর পর খড়গ বংশ ও দেব রাজবংশ এ অঞ্চল শাসন করে। [[পাল বংশ|পাল রাজবংশের]] (৭৫০-১১৬২ খ্রিঃ) রাজা দ্বিতীয় বিগ্রহপালের রাজত্বকালে (৯৬৯–৯৯৫ খ্রিঃ) [[হরিকেল|হরিকেলের]] (পূর্ব ও দক্ষিণ বাংলা) কান্তিদেব ‘মহারাজাধিরাজ’ উপাধি গ্রহণ করে একটি পৃথক রাজ্য স্থাপন করেন এবং এই অঞ্চল শাসন করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive1.ittefaq.com.bd/print-edition/aunoshilon/2015/09/08/71236.html|শিরোনাম=পাল রাজবংশের যাত্রা শুরু {{!}} অনুশীলন|শেষাংশ=শাহনাওয়াজ|প্রথমাংশ=ড. একে এম|তারিখ=২০১৫-০৯-০৮|ওয়েবসাইট=[[ইত্তেফাক]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০৫}}</ref> পরবর্তীকালে [[চন্দ্র রাজবংশ]] দশম ও এগার শতকে স্বাধীনভাবে এই অঞ্চল শাসন করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=Wk4_ICH_g1EC&pg=PA278|শিরোনাম=Ancient Indian History and Civilization|শেষাংশ=Sailendra Nath Sen|প্রথমাংশ=|তারিখ=1999|বছর=|প্রকাশক=New Age International|অবস্থান=|পাতাসমূহ=277–287|আইএসবিএন=978-81-224-1198-0}}</ref> [[সেন রাজবংশ|সেন রাজবংশের]] (১০৯৮-১২৩০ খ্রিঃ) পতনের পর চন্দ্রদ্বীপ রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়, মাদারিপুর তথা শিবচর উপজেলা চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের অধীনে ছিল।
 
সুলতান [[জালালউদ্দিন ফাতেহ শাহ]] (১৪৮১-১৪৮৫ খ্রিঃ) ফরিদপুর ও চন্দ্রদ্বীপের একাংশ দখল করে [[ফরিদপুর বিভাগ|ফতেহাবাদ পরগনা]] গঠন করেন। সুলতান [[আলাউদ্দিন হোসেন শাহ]] (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিঃ) ফতেহাবাদের জনপ্রিয় শাসক ছিলেন। ১৫৩৮ হতে ১৫৬৩ সাল পর্যন্ত [[শের শাহ সুরি|শেরশাহ]] ও তার বংশধরগণ শাসন করেন। ১৫৬৪ হতে ১৫৭৬ সালে পর্যন্ত [[কররানী রাজবংশ]] রাজত্ব করে, তারপর ১৫৭৬ হতে ১৬১১ সাল পর্যন্ত [[বারো ভুঁইয়া|বারোভূঁইয়ার]] অন্যতম অন্যতম [[বিক্রমপুর|বিক্রমপুরের]] চাঁদ রায়, [[কেদার রায়|কেদার রায়ের]] অধীনে ছিল এ অঞ্চল। [[মুঘল সাম্রাজ্য]] ও [[বাংলা ও মুর্শিদাবাদের নবাবগণ|নবাবী]] শাসন চলে ১৭৬৫ সাল পর্যন্ত।<ref name=":02">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.madaripur.gov.bd/|শিরোনাম=মাদারীপুর জেলা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন]]|ভাষা=|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০১-১০}}</ref> মুঘল আমলে সৃষ্ট জালালপুর (বর্তমান মাদারীপুর) পরগনার অধীনে ছিল শিবচর।
 
[[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ শাসনামলে]] এ অঞ্চল ১৭৯৭ সালে সৃষ্ট বাকেরগঞ্জ জেলার অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৮৫৪ সালের ২রা নভেম্বর মাদারিপুর [[মহকুমা]] প্রতিষ্ঠিত হলে শিবচর অঞ্চল সদর মহকুমাধীন ছিল। ১৮৫৯ সালে ফরিদপুর জেলা সৃষ্টি হলে মাদারিপুর মহকুমাকে বাকেরগঞ্জ জেলা থকে আলাদা করে ১৮৭৫ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ১৯৩০ সালে মাদারিপুর থানার উত্তরাংশের কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়ে বরহামগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা পরবর্তীতে শিবচর নামে পরিবর্তিত হয়।<ref name=":1" /><ref name=":6" /> যদিও ১৮৭৪ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর তারিখে প্রকাশিত ''ক্যালকাটা গেজেট'' থেকে মাদারিপুর মহকুমার থানা হিসেবে মাদারিপুর, পালং, ডামুড্যা, গোসাইরহাট ও শিবচর থানার নাম পাওয়া যায় এবং প্রতিটি থানায় সাব-রেজিস্টার কার্যালয়ের উল্লেখও ছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা : শরিয়তপুর|শেষাংশ=খান|প্রথমাংশ=শামসুজ্জামান|বছর=ডিসেম্বর ২০১৩|প্রকাশক=[[বাংলা একাডেমি]]|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=২৫|আইএসবিএন=984-07-5325-8|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> ব্রিটিশ শাসনামলে [[ফরায়েজি আন্দোলন|ফরায়েজি আন্দোলনের]] নেতা [[হাজী শরীয়তুল্লাহ|হাজী শরিয়তউল্লাহ’রশরীয়তউল্লাহ’র]] (১৭৮১-১৮৪০) জন্ম শিবচরের বাহাদুরপুরে। তিনি ১৮২০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ধর্মীয় কুসংস্কার, নীলকর ও জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। শরিয়তশরীয়ত উল্লাহর মৃত্যুর পর তারই পুত্র [[দুদু মিয়া]] (১৮১৯-১৮৬২) ফরায়েজি আন্দোনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=ফরায়েজী_আন্দোলন|শিরোনাম=ফরায়েজী আন্দোলন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০১-৩১}}</ref> [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ]] শুরু হওয়ার পর ১৯৭১ সালে ১৭ই মে বেলা আনুমানিক বেলা ১১টায় [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী|পাকিস্তান সেনাবাহিনীর]] ৪০-৪২ জনের একটি দল মাদারিপুর ক্যাম্প থেকে লঞ্চযোগে শিবচরের উৎরাইল এলাকা থেকে স্থানীয় [[রাজাকার|রাজাকারদের]] সঙ্গে নিয়ে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে চরশ্যামাইল হয়ে একে একে গুয়ালতা, বাহরেচর ও উমেদপুরে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালায় এবং শিবচর থানায় ঘাটি স্থাপন করে। এ ঘটনার পর থেকে ১৭ মে শিবচরে গণহত্যা দিবস পালিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.priyo.com/articles/%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8|শিরোনাম=১৭ মে মাদারীপুর জেলার শিবচর গণহত্যা দিবস|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=২০১৪-০৫-১৭|ওয়েবসাইট=[[প্রিয়.কম]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০৫}}</ref> সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে [[মুক্তিবাহিনী]] শিবচর বাজারে অবস্থিত [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী|পাকিস্তান সেনাবাহিনীর]] ক্যাম্প গুড়িয়ে দেয়। ২৪ নভেম্বর রাত ৩টায় এরিয়া কমান্ডার মো‌ঃ মোসলেমউদ্দিন খানের নেতৃত্বে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ ভাঙ্গা ও সদরপুর থানার ২৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে শিবচর থানা আক্রমন করে। প্রায় ১৬ ঘণ্টা স্থায়ী সম্মুখযুদ্ধ ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রাজাকার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবং শিবচরকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করা হয়। এ যুদ্ধে শিবচরের আ. ছালাম, ভাঙ্গার মোশাররফ হোসেন, সদরপুরের দেলোয়ার হোসেন ও সহযোগী ১১বছর বয়সের কিশোর ইস্কান্দারসহ চারজন [[মুক্তিযোদ্ধা]] শহীদ হয় এবং ১৮ জন পাকিস্তান বাহিনীর সেনা ও রাজাকার নিহত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/national/news/bd/757527.details|শিরোনাম=মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান যুদ্ধাহত ওহাব মুন্সী|শেষাংশ=আহমেদ|প্রথমাংশ=ইমতিয়াজ|তারিখ=২০১৯-১২-০৭|ওয়েবসাইট=[[বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম]]|ভাষা=en|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০৫}}</ref> শিবচর উপজেলার বড়কেশবপুরের আব্দুস সালেক [[বীর উত্তম]] খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://shibchar.madaripur.gov.bd/site/page/f4ffa0d6-2012-11e7-8f57-286ed488c766/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%20%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A6%B0|শিরোনাম=মুক্তিযুদ্ধে শিবচর|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন]]|ভাষা=en|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০১-৩১}}</ref> [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস|বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের]] পর ১৯৮৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি শিবচর থানাকে [[বাংলাদেশের উপজেলা|উপজেলায়]] উন্নীত করা হয়।
 
==ভূগোল==
শিবচর উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৩°১৫´ থেকে ২৩°৩০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°০৫´ থেকে ৯০°১৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।<ref name=":4">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=শিবচর_উপজেলা|শিরোনাম=শিবচর উপজেলা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০১-৩১}}</ref> এর মোট আয়তন ৩৩২.৯০ বর্গ কিলোমিটার।<ref name=":2" /> শিবচর উপজেলার কেন্দ্র থেকে উত্তরে [[মুন্সিগঞ্জ জেলা|মুন্সিগঞ্জ]], পশ্চিমে [[ভাঙ্গা উপজেলা|ফরিদপুর]], পূর্বে [[শরিয়তপুর জেলা|শরিয়তপুর]] ও দক্ষিণে মাদারীপুর জেলা সদর অবস্থিত। এর উত্তরে [[মুন্সিগঞ্জ জেলা|মুন্সিগঞ্জ জেলার]] [[লৌহজং উপজেলা|লৌহজং]], [[শ্রীনগর উপজেলা|শ্রীনগর]] ও [[ফরিদপুর জেলা|ফরিদপুর জেলার]] [[সদরপুর উপজেলা]], দক্ষিণে [[রাজৈর উপজেলা|রাজৈর]] ও [[মাদারীপুর সদর উপজেলা]], পূর্বে [[শরিয়তপুর জেলা|শরিয়তপুর জেলার]] [[জাজিরা উপজেলা]] এবং পশ্চিমে [[ভাঙ্গা উপজেলা|ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা]] অবস্থিত।<ref name=":4" />
 
ভৌগলিক ভাবে শিবচর (মাদারীপুর) পূর্বাঞ্চলীয় সক্রিয় গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপে অবস্থিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%AA|শিরোনাম=বঙ্গীয় বদ্বীপ|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০৫}}</ref> শিবচর গাঙ্গেয় প্লাবনভূমি অর্থাৎ পদ্মা বিধৌত নিম্ম পলল ভূমি এলাকা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BF|শিরোনাম=প্লাবনভূমি|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০৫}}</ref> বাংলাদেশের কৃষি-প্রতিবেশ অঞ্চল ১৪-তে অন্তর্ভুক্ত এলাকাটি শুষ্ক মৌসুমে ভিজা থাকে এবং বর্ষা মৌসুমে গভীরভাবে প্লাবিত হয় ও প্রায় প্রত্যেক বছরেই কম-বেশি বন্যা কবলিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9F_%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE|শিরোনাম=পিট মৃত্তিকা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০৫}}</ref>
শিবচর উপজেলার উপর দিয়ে [[পদ্মা নদী]], [[কুমার নদী (ফরিদপুর-গোপালগঞ্জ)|কুমার নদী]], ময়নাকাটা নদী ও [[আড়িয়াল খাঁ নদ|আড়িয়াল খাঁ নদী]] প্রবাহিত হয়েছে। পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর মাধ্যমে শিবচর উপজেলা দ্বিখন্ডিত হয়েছে। এক সময় এ নদী দুটি ছিল শিবচর উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। বর্তমানেও পদ্মা নদীর শিবচরের তীর অবস্থিত কাওড়াকান্দি ঘাট দিয়ে ফেরিযোগে বাস ট্রাক সহ অসংখ্যা মানুষ পাড়াপাড় হয়। ময়নাকাটা নদী উপজেলা শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।<ref name=":0" /> এছাড়া এ উপজেলায় পদ্মা বিল, মির্জার চর বিল, হাসেমদি বিল ও বড় কেশবপুর বিল উল্লেখযোগ্য।<ref name=":4" /> পদ্মা বিল শিবচরের মধ্য দিয়ে শরিয়তপুর জেলায় প্রবাহিত হয়েছে।
 
শিবচর উপজেলার উপর দিয়ে [[পদ্মা নদী]], [[কুমার নদী (ফরিদপুর-গোপালগঞ্জ)|কুমার নদী]], ময়নাকাটা নদী ও [[আড়িয়াল খাঁ নদ|আড়িয়াল খাঁ নদী]] প্রবাহিত হয়েছে। পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর মাধ্যমে শিবচর উপজেলা দ্বিখন্ডিত হয়েছে। এক সময় এ নদী দুটি ছিল শিবচর উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। বর্তমানেও পদ্মা নদীর শিবচরের তীরতীরে অবস্থিত কাওড়াকান্দি ঘাট দিয়ে ফেরিযোগে বাস ট্রাক সহ অসংখ্যা মানুষ পাড়াপাড় হয়। ময়নাকাটা নদী উপজেলা শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।<ref name=":0" /> এছাড়া এ উপজেলায় পদ্মা বিল, মির্জার চর বিল, হাসেমদি বিল ও বড় কেশবপুর বিল উল্লেখযোগ্য।<ref name=":4" /> পদ্মা বিল শিবচরের মধ্য দিয়ে শরিয়তপুর জেলায় প্রবাহিত হয়েছে।
 
==প্রশাসন==
৫৮ ⟶ ৬০ নং লাইন:
[[স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়]] ১৯৯৭ সালের ২৬শে অক্টবর তৎকালীন শিবচর ইউনিয়নকে তৃতীয় শ্রেণীর (গ-শ্রেণী) [[বাংলাদেশের পৌরসভা|পৌরসভায়]] রূপান্তরিত করে এবং পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন মোসলেম উদ্দিন খান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://shibcharpourashava.gov.bd/page/content/aknojore-porosoba|শিরোনাম=শিবচর পৌরসভা ::|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=shibcharpourashava.gov.bd|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০১-৩১}}</ref> ১৯৯৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আঃ লতিফ মোল্লা [[শিবচর পৌরসভা|শিবচর পৌরসভার]] প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে মো‌ঃ আওলাদ হোসেন খান পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পৌরসভাটি বর্তমানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রথম শ্রেণীর (ক-শ্রেণী) পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃত।
 
[[জাতীয় সংসদ নির্বাচন|বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে]] শিবচরের সংসদীয় আসন [[মাদারীপুর-১]]। শিবচর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটি [[জাতীয় সংসদ|জাতীয় সংসদে]] ২১৮ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর অনুষ্ঠিত ১৯৭৩ সালের [[প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৭৩|প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই]] শিবচরের সংসদীয় আসনটি তৈরি করা হয়। প্রথম নির্বাচনে এ আসন থেকে [[সংসদ সদস্য]] নির্বাচিত হন [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ|বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের]] [[ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী।চৌধুরী]]। [[দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৭৯|১৯৭৯ সালে]] [[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল|বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের]] (বিএনপি) চৌধুরী শামসুল হুদা,<ref name=":12" /> [[তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৮৬|১৯৮৬ সালে]] [[জাতীয় পার্টি (এরশাদ)|জাতীয় পার্টির]] প্রার্থী আবুল খায়ের চৌধুরী, [[চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৮৮|১৯৮৮ সালে]] জাতীয় পার্টির আবুল খায়ের চৌধুরী, [[পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৯১|ফেব্রু ১৯৯১ সালে]] বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের [[ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী]] তবে ১৯৯১ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের [[নূর-ই-আলম চৌধুরী]], [[ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬|ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬]] তারিখে বিএনপির আবুল খায়ের চৌধুরী, [[সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জুন ১৯৯৬|জুন ১৯৯৬ তারিখে]] আওয়ামী লীগের [[নূর-ই-আলম চৌধুরী]] সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।<ref name=":3">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ecs.gov.bd/files/LkRjG4s3zWql7l1YaEOxIREqlIHHwRn3aUrm1Vr0.pdf|শিরোনাম=বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=১ জানুয়ারি ২০১৯|ওয়েবসাইট=[[বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন]]|প্রকাশক=|ভাষা=bn|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=৩১ জানুয়ারি ২০২০}}</ref> ২০১৮ সালের সর্বশেষ [[একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮|একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে]] নূর-ই-আলম চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি [[অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০০১|২০০১]], [[নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০০৮|২০০৮]], [[দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৪|২০১৪]] সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হন।
 
==অর্থনীতি==
৬৬ ⟶ ৬৮ নং লাইন:
 
==সংস্কৃতি ও খেলাধুলা==
মাদারীপুরের সংস্কৃতির ক্ষেত্রে শিবচর উপজেলারঅঞ্চল আঞ্চলিকবিশেষ ভাষারউল্লেখযোগ্য। সাথেবর্ধিত পার্শ্ববর্তীহিন্দু [[বরিশালগ্রামগুলোতে জেলা|বরিশালের]]ছিল ভাষারসৌখিন অনেকটানাট্য সাদৃশ্যদল, রয়েছেযাত্রা এবংদল। মানুষেরতার আচার-আচরণ,মধ্যে খাদ্যাভ্যাস,উল্লেখযোগ্য ভাষা,ছিল সংস্কৃতিতেশিবচরের বরিশালেরউমেদপুরের ব্যাপকভোলানাথ প্রভাবঅপেরা রয়েছেপার্টি। দুই জন ইংরেজ নাট্যকর্মীও ছিল এ যাত্রা দলে। যারা [[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|বঙ্কিমচন্দ্রের]] বলেচন্দ্রশেখর বিশেষজ্ঞরাচলচ্চিত্রে মনেঅভিনয় করেন।করেছেন। শিবচরে বসবাসকারী বিভিন্ন সম্প্রদায় তাদের নিজ নিজ রীতি-নীতি মনে চলে। বাংলাদেশের অন্য অনেক অঞ্চলের মত বিয়ের অনুষ্ঠানে ডুলি এবং [[পালকি|পালকির]] প্রচলন ছিল। শিবচরে মূলত গাজীর গান, [[কীর্তন]], [[পাঁচালি গান]], ধুয়াগান, [[বাউল গান]], [[প্রবাদ-প্রবচন]], [[ছড়া]], ছিলকা, হেয়ালি, ধাঁধা, [[জারিগান]] উল্লেখযোগ্যভাবে পরিচিত। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন: [[পালকি]], ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি।<ref name=":4" />
 
শিবচরে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা বেশি জনপ্রিয়। এছাড়াও ব্যাডমিন্টন, এ্যাথলেটিকস্, ভলিবল, সাঁতার, [[কাবাডি]] স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই এ অঞ্চলে প্রচলিত। আঞ্চলিকভাবে [[হা-ডু-ডু]], [[গোল্লাছুট]], বউ ছি, [[লুকোচুরি]] খেলা হয়।
৭৪ ⟶ ৭৬ নং লাইন:
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী শিবচরের গড় সাক্ষরতার হার শতকরা ৪৩.৫% (পুরুষ ৪৪.৬%, নারী ৪২.২%)।<ref name=":2" /> এ উপজেলায় ১১৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৩ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১১ টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭৯ টি মাদ্রাসা, ০৬ টি কলেজ, ০২ টি কারিগরি কলেজ রয়েছে।<ref name=":0" />
 
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজ (১৯৬৪), রিজিয়া বেগম মহিলা কলেজ (১৯৮৪), নুরুল আমিন ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৪), [[ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ|ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজ]] (২০০১), বয়রাতলা আদর্শ কলেজ (২০০১), শিবচর নন্দকুমার ইনস্টিটিউশন (১৯১০), ভদ্রাসন জি.সি. একাডেমি (১৯১৮), পাঁচ্চর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২০), আর.এম. উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩০), দত্তপাড়া টি.এন. একাডেমি (১৯৩৪), মুন্সী কাদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫০), টেকেরহাট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫২), ভান্ডারীকান্দি এ.এম. উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৩), কাঁঠালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬১), রাজার চর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭২), শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (১৯৭৪), বাহাদুরপুর শরিয়াতিয়া আলিয়া মাদ্রাসা (১৯৪০) প্রভৃতি।<ref name=":4" /> এ উপজেলার ইউনিয়নগুলোর মধ্যে, উমেদপুর ইউনিয়নের শিক্ষার হার প্রায় ৪৮.৮% ও কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের ৩৩.১%।
 
শিবচর উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশের অন্য সব শহরের মতই। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রধানত পাঁচটি ধাপ রয়েছে: প্রাথমিক (১ থেকে ৫), নিম্ন মাধ্যমিক (৬ থেকে ৮), মাধ্যমিক (৯ থেকে ১০), উচ্চ মাধ্যমিক (১১ থেকে ১২) এবং উচ্চ শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা সাধারণত ৫ বছর মেয়াদী হয় এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয়, ৩ বছর মেয়াদী নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা সাধারণত [[নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট]] (জেএসসি), ২ বছর মেয়াদী মাধ্যমিক শিক্ষা [[মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট]] (এসএসসি), ২ বছর মেয়াদী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সাধারণত [[উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট]] (এইচএসসি) পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয়।
৯২ ⟶ ৯৪ নং লাইন:
 
==উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব==
*[[হাজী শরীয়তুল্লাহ]] (১৭৮০-১৮৪০খ্রি.) - ধর্মীয় সংস্কারক ও [[ফরায়েজী আন্দোলন|ফরায়েজী আন্দোলনের]] প্রতিষ্ঠাতা;
*[[দুদু মিয়া|পীর মুহসীনউদ্দীন দুদু মিয়া]] (১৮১৯-১৮৬২খ্রি.) - [[ভারতে কোম্পানি শাসন|ব্রিটিশ]] বিরোধী আন্দোলন ও ফরায়েজী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা;
*[[আবা খালেদ রশীদ উদ্দিন]] (১৮৮৪-১৯৫৬খ্রি.) - বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদ;
*[[খান বাহাদুর আবদুর রহমান খাঁ]] (১৮৯০-১৯৬৪খ্রি.) - শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক; যুক্ত [[বঙ্গ|বঙ্গের]] এডিপিআই(১৯৩৯-৪৫), [[জগন্নাথ কলেজ]] এর প্রিন্সিপাল(১৯৪৮-৫৬) ও রেক্টর(১৯৫৬);
*[[ফজলুর রহমান খান|ড. ফজলুর রহমান খান]] (১৯২৯-৮২খ্রি.) - বিশ্ববিখ্যাত স্থপতি; আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ারিং রেকর্ডের "ম্যান অব দ্যা ইয়ার"(১৯৬৬,৬৯,৭১,৭২), মরণোত্তর [[স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার]](১৯৯৯) প্রাপ্ত;
*[[ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী]] - (১৫ আগস্ট ১৯৩৪-১৯ মে ১৯৯১) -বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানের]] ভাগিনা ও গণপরিষদের প্রাক্তন সদস্য ও সাবেক [[সংসদ সদস্য|সাংসদ]]।
 
==তথ্যসূত্র==
১০৬ ⟶ ১০৭ নং লাইন:
*[[মাদারীপুর জেলা]]
*[[ঢাকা বিভাগ]]
*[[বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ]]
 
==বহিঃসংযোগ==
১১৫ ⟶ ১১৬ নং লাইন:
{{মাদারীপুর জেলা}}
{{ঢাকা বিভাগের উপজেলা}}
{{অসম্পূর্ণ}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:শিবচর উপজেলা]]