বেগম রোকেয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৮ নং লাইন:
 
=== প্রথম জীবন ===
রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন [[১৮৮০]] সালে [[মিঠাপুকুর উপজেলা|রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার অর্ন্তগত]] [[পায়রাবন্দ]] গ্রামে। তার পিতা জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের জমিদার ছিলেন। তার মাতা রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী। রোকেয়ার দুই বোন করিমুননেসা ও হুমায়রা, আর তিন ভাই যাদের একজন শৈশবে মারা যায়।
{{Quote box|quoted=true|bgcolor=#bdf08c|align=left|width=23%|salign=right|quote=''<big>কোনো ভগ্নী মস্তক উত্তোলন করিয়াছেন, অমনি ধর্মের দোহাই বা শাস্ত্রের বচন-রূপ অস্ত্রাঘাতে তাঁহার মস্তক চূর্ণ হইয়াছে। ... আমাদিগকে অন্ধকারে রাখিবার জন্যে পুরুষগণ এই ধর্মগ্রন্থগুলি ইশ্বরের আদেশ বলিয়া প্রচার করিয়াছেন। ... এই ধর্মগ্রন্থগুলি পুরুষরচিত বিধিব্যবস্থা ভিন্ন কিছুই নহে। মুনিদের বিধানে যে কথা শুনিতে পান, কোনো স্ত্রী-মুনির বিধানে হয়ত তাঁহার বিপরীত নিয়ম দেখিতে পাইতেন। ... ধর্ম আমাদের দাসত্বের বন্ধন দৃঢ় হইতে দৃঢ়তর করিয়াছে; ধর্মের দোহাই দিয়া পুরুষ এখন রমণীর উপর প্রভুত্ব করিতেছেন।</big>''|source= — বেগম রোকেয়া, ১৯০৪<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=নারীপ্রগতির একশো বছর: রাসসুন্দরী থেকে রোকেয়া|শেষাংশ=মুরশিদ|প্রথমাংশ=গোলাম|লেখক-সংযোগ১=গোলাম মুরশিদ|বছর=২০১৩ |প্রকৃত-বছর=প্রথম প্রকাশ ১৯৯৩|অধ্যায়=প্রথম নারীবাদী: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন|প্রকাশক=অবসর|অবস্থান=ঢাকা|আইএসবিএন=978-984-8796-47-4|ভাষা=বাংলা|সংস্করণ=অবসর ২০১৩|পাতা= ১৬৯}}</ref><ref>রোকেয়া, বেগম। "আমাদের অবনতি"। ''[[নবনূর]]'', ২য় বর্ষ, ৫ম সংখ্যা। আগস্ট-সেপ্টেম্বর, ১৯০৪। কলকাতা। পৃষ্ঠা ২১৬-২১৮।</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বাংলার নারী আন্দোলন|শেষাংশ=বেগম|প্রথমাংশ=মালেকা|লেখক-সংযোগ১=মালেকা বেগম|বছর=২০১০ |প্রকৃত-বছর=প্রথম প্রকাশ ১৯৮৯|অধ্যায়=নারী আন্দোলনের সূচনা|প্রকাশক=দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড|অবস্থান=ঢাকা|আইএসবিএন=978-984-8815-70-0|ভাষা=বাংলা|পাতা= ৭১}}</ref>}}
বেগম রোকেয়ার পিতা আবু আলী হায়দার সাবের আরবি, উর্দু, ফারসি, বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হলেও মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে ছিলেন রক্ষণশীল। রোকেয়ার বড় দু’ভাই  মোহাম্মদ ইব্রাহীম আবুল আসাদ সাবের ও খলিলুর রহমান আবু যায়গাম সাবের ছিলেন বিদ্যানুরাগী। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে অধ্যয়ন করে তাঁরা আধুনিকমনস্ক হয়ে ওঠেন।<ref name=":0" /> রোকেয়ার বড় বোন করিমুন্নেসাও ছিলেন বিদ্যোৎসাহী ও সাহিত্যানুরাগী। বেগম রোকেয়ার শিক্ষালাভ, সাহিত্যচর্চা এবং সামগ্রিক মূল্যবোধ গঠনে বড় দু’ভাই ও বোন করিমুন্নেসার যথেষ্ট অবদান ছিল।
২৭ নং লাইন:
 
=== সাহিত্যচর্চার সূচনা ===
[[সাহিত্যিক]] হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯০২ সালে।[[কলকাতা]] থেকে প্রকাশিত 'নভপ্রভা' পত্রিকায় ছাপা হয়"পিপাসা"।বিভিন্ন সময়ে তাঁর রচনা নানা পত্রিকায় ছাপা হতে থাকে।[[১৯৫০]]থাকে।১৯৫০ সালে প্রথম [[ইংরেজি]] [[রচনা]] "সুলতানাজ ড্রিম" [[মাদ্রাজ]] থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় ছাপা হয়।সবাই তাঁর রচনা পছন্দ করে।তিনি [[সাহিত্যিক]] হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
১৮৯৮ সালে রোকেয়ার বিয়ে হয় বিহারের ভাগলপুর নিবাসী উর্দুভাষী সৈয়দ সাখাওয়াৎ হোসেনের সঙ্গে। তিনি ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, তদুপরি সমাজসচেতন, কুসংস্কারমুক্ত এবং প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন। উদার ও মুক্তমনের অধিকারী স্বামীর উৎসাহ ও সহযোগিতায় রোকেয়া দেশি-বিদেশি লেখকদের রচনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে পরিচিত হবার সুযোগ পান এবং ক্রমশ ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। তাঁর সাহিত্যচর্চার সূত্রপাতও ঘটে স্বামীর অনুপ্রেরণায়। তবে রোকেয়ার বিবাহিত জীবন বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯০৯ সালের ৩ মে সাখাওয়াৎ হোসেন মারা যান। ইতোপূর্বে তাঁদের দুটি কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে অকালেই মারা যায়। ১৯০২ সালে ''পিপাসা'' নামে একটি বাংলা গল্প লিখে সাহিত্যজগতে তার অবদান রাখা শুরু হয়। এরপর একে একে লিখে ফেলেন ''মতিচূর''-এর প্রবন্ধগুলো এবং ''সুলতানার স্বপ্ন''-এর মতো নারীবাদী বিজ্ঞান কল্পকাহিনী।
{{rquote|right|''পুরুষের সমকক্ষতা লাভের জন্য আমাদিগকে যাহা করিতে হয়, তাহাই করিব। যদি এখন স্বাধীনভাবে জীবিকা অর্জ্জন করিলে স্বাধীনতা লাভ হয়, তবে তাহাই করিব। আবশ্যক হইলে আমরা লেডীকেরাণী হইতে আরম্ভ করিয়া লেডীমাজিস্ট্রেট, লেডীব্যারিস্টার, লেডীজজ — সবই হইব!... উপার্জ্জন করিব না কেন?... যে পরিশ্রম আমরা "স্বামী"র গৃহকার্য্যে ব্যয় করি, সেই পরিশ্রম দ্বারা কি স্বাধীন ব্যবসায় করিতে পারিব না?... আমরা বুদ্ধিবৃত্তির অনুশীলন করি না বলিয়া তাহা হীনতেজ হইয়াছে। এখন অনুশীলন দ্বারা বুদ্ধিবৃত্তিকে সতেজ করিব। যে বাহুলতা পরিশ্রম না করায় হীনবল হইয়াছে, তাহাকে খাটাইয়া সবল করিলে হয় না?''|বেগম রোকেয়া, ১৯০৪<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=রোকেয়া রচনাবলী|শেষাংশ=রোকেয়া|প্রথমাংশ=বেগম|সম্পাদক১-শেষাংশ=সৈয়দ |সম্পাদক১-প্রথমাংশ=আবদুল মান্নান |সম্পাদক১-সংযোগ=আবদুল মান্নান সৈয়দ |সম্পাদক২-শেষাংশ=হোসেন |সম্পাদক২-প্রথমাংশ=সেলিনা |সম্পাদক২-সংযোগ= সেলিনা হোসেন |সম্পাদক৩-শেষাংশ=আলম |সম্পাদক৩-প্রথমাংশ=মুহম্মদ শামসুল |সম্পাদক৪-শেষাংশ=সাবের|সম্পাদক৪-প্রথমাংশ=মাজেদা |সম্পাদক৫-শেষাংশ=হুদা |সম্পাদক৫-প্রথমাংশ=মুহম্মদ নূরুল |সম্পাদক৫-সংযোগ=মুহম্মদ নূরুল হুদা |সম্পাদক-প্রদর্শন= |বছর=২০১৬|প্রকাশক=বাংলা একাডেমি|অবস্থান=ঢাকা|ভাষা=বাংলা|সংস্করণ=পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত নতুন|পাতাসমূহ=২১–২২ }}</ref>}}
 
=== সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ===
স্বামীর মৃত্যুর পর নিঃসঙ্গ রোকেয়া নারীশিক্ষা বিস্তার ও সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ১৯০৯ সালের ১ অক্টোবর স্বামীর প্রদত্ত অর্থে পাঁচটি ছাত্রী নিয়ে তিনি ভাগলপুরে ‘সাখাওয়াৎ মেমোরিয়াল গার্লস’ স্কুল স্থাপন করেন। কিন্তু পারিবারিক কারণে রোকেয়া ভাগলপুর ছেড়ে কলকাতায় এসে বসবাস শুরু করেন। ১৯১১ সালের ১৬ মার্চ কলকাতার ১৩ নং ওয়ালিউল্লাহ লেনের একটি বাড়িতে মাত্র আটজন ছাত্রী নিয়ে তিনি নবপর্যায়ে ‘সাখাওয়াৎ মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৬ সালের মধ্যে ছাত্রীসংখ্যা একশত পেরিয়ে যায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=রোকেয়া রচনাবলী|সম্পাদক১-শেষাংশ=সৈয়দ |সম্পাদক১-প্রথমাংশ=আবদুল মান্নান |সম্পাদক১-সংযোগ=আবদুল মান্নান সৈয়দ |সম্পাদক২-শেষাংশ=হোসেন |সম্পাদক২-প্রথমাংশ=সেলিনা |সম্পাদক২-সংযোগ= সেলিনা হোসেন |সম্পাদক৩-শেষাংশ=আলম |সম্পাদক৩-প্রথমাংশ=মুহম্মদ শামসুল |সম্পাদক৪-শেষাংশ=সাবের|সম্পাদক৪-প্রথমাংশ=মাজেদা |সম্পাদক৫-শেষাংশ=হুদা |সম্পাদক৫-প্রথমাংশ=মুহম্মদ নূরুল |সম্পাদক৫-সংযোগ=মুহম্মদ নূরুল হুদা |সম্পাদক-প্রদর্শন=|বছর=২০১৬ |প্রকৃত-বছর=রচনাকাল ১৯০৪|অধ্যায়=তথ্যপঞ্জি|প্রকাশক=বাংলা একাডেমি|অবস্থান=ঢাকা|ভাষা=বাংলা|সংস্করণ=পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত নতুন|পাতা=৫৪৭ }}</ref> স্কুল পরিচালনা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রোকেয়া নিজেকে সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখেন। [[১৯১৬]] সালে তিনি মুসলিম বাঙালি নারীদের সংগঠন ''আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম'' প্রতিষ্ঠা করেন।<ref name = "BL"/> বিভিন্ন সভায় তার বক্তব্য তুলে ধরেন। [[১৯২৬]] সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলার নারী শিক্ষা বিষয়ক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
 
== রচনা ==