আরব বিদ্রোহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৬৯ নং লাইন:
১৯১৬ সালের ১ ডিসেম্বর [[ফখরি পাশা]] [[ইয়ানবো]] বন্দর দখল করার জন্য তিন ব্রিগেড সৈন্য নিয়ে অগ্রসর হন।<ref name="Murphy, David page 36"/> ফখরি পাশার সৈনিকরা বেশ কয়েকটি লড়াইয়ে হাশেমি বাহিনীকে পরাজিত করে ও বন্দর দখল করে।<ref name="Murphy, David page 37">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 37.</ref> কিন্তু ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনী ইয়ানবো আক্রমণ করে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিসহ তুর্কিরা পরাজিত হয়।<ref name="Murphy, David page 37"/> ফখরি পাশা তারপর তার বাহিনী দক্ষিণের রাবেঘ দখলের জন্য অগ্রসর হন। কিন্তু সৈনিক ও সরবরাহ লাইনের উপর গেরিলা আক্রমণ, ইয়ানবোতে নবগঠিত উড্ডয়ন কেন্দ্র থেকে হামলা এবং তার সরবরাহ দূরত্ব অধিক হয়ে যাওয়ায় তিনি ১৯১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি মদীনায় ফিরে আসেন।<ref name="Murphy, David page 38">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 38.</ref>
 
উপকূলীয় শহর [[আল ওয়াজ]] ছিল হেজাজ রেলওয়ে আক্রমণের মূল ঘাটি।<ref name="p78"/> ১৯১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ফয়সাল লোহিত সাগরের উপকূল ধরে যাত্রা শুরু করেন। তার সাথে ৫১০০ উষ্ট্রারোহী, ৫৩০০ পদাতিক, চারটি ক্রাপ মাউন্টেন গান, দশটি মেশিন গান ও ৩৮০ মালবাহী উট ছিল।<ref name="p78"/> এই যাত্রাপথে রাজকীয় নৌবাহিনী ফয়সালকে প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করে।<ref name="p79">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.79</ref> ১৯১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি দক্ষিণ দিক থেকে ৮০০ উসমানীয় আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হলে ৪০০ আরব ও ব্রিটিশ নৌবাহিনী উত্তর দিক থেকে আক্রমণ করে।<ref name="p79"/> ওয়াজ ৩৬ ঘন্টারঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করে এবং উসমানীয়রা মদীনার সুরক্ষার জন্য মক্কা ত্যাগ করে।<ref name="p80">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.80</ref> আরব বাহিনীতে এসময় সত্তর হাজার লোকবল ছিল এবং রাইফেলের সংখ্যা ছিল আটাশ হাজার। পুরো বাহিনীকে তিনটি প্রধান দলে ভাগ করে দেয়া হয়।<ref name="p80"/> আলীর বাহিনী মদীনার উপর তৎপরতা চালান, আবদুল্লাহ ওয়াদি আইস থেকে নিজের কাজ পরিচালনা করেন এবং ফয়সাল তার বাহিনীকে নিয়ে ওয়াজে অবস্থান করেন।<ref name="p80"/> উষ্ট্রারোহী আরবরা ১০০০ মাইলের মধ্যে বাধাবিপত্তি ছাড়াই যাতায়াত করতে পারত।<ref name="p81">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.81</ref> ১৯১৬ সালে মিত্রশক্তি উসমানীয় আরব যুদ্ধবন্দীদের নিয়ে নিয়মিত আরব সেনাবিহিনী গঠন শুরু করে (একে শরিফাইন আর্মিও বলা হয়)।<ref name="Murphy, David page 17"/> নিয়মিত বাহিনীর সৈনিকরা ব্রিটিশ ধাচের ইউনিফর্ম ও মাথায় "কেফিয়াহ" পরত। তারা নিয়মিত পদ্ধতিতে যুদ্ধে অংশ নিত।<ref name="Murphy, David page 23"/> যুদ্ধে অংশ নেয়া উল্লেখযোগ্য উসমানীয় অফিসাররা হচ্ছেন [[নুরি আস-সাইদ]], [[জাফর আল-আসকারি]] ও [[আজিজ আলি আল-মিসরি]]।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 14-15.</ref>
 
=== ১৯১৭ ===