বোয়িং ৭৭৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২৩ নং লাইন:
'''বোয়িং ৭৭৭''' হল [[বোয়িং|বোয়িং কমার্শিয়াল এয়ারপ্লেন কোম্পানির]] দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট, দূরপাল্লার, সুপরিসর বিমান। এটি পৃথিবীর সববৃহৎ দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমান যা প্রকারভেদে ৫২৩৫ [[নটিক্যাল মাইল]] থেকে ৯৩৮০ [[নটিক্যাল মাইল]] পাল্লার মধ্যে ৩১৪ থেকে ৪১১ জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করতে সক্ষম। এই বিমানকে সচরাচর ট্রিপল সেভেন নামে ডাকা হয়।<ref name=workhorse>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://business.timesonline.co.uk/tol/business/industry_sectors/transport/article5898240.ece |শিরোনাম=Workhorse jet has been huge success with airlines that want to cut costs |কর্ম=The Times |অবস্থান=UK |শেষাংশ=Robertson |প্রথমাংশ=David |তারিখ=March 13, 2009 |সংগ্রহের-তারিখ=March 20, 2009}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Grantham |প্রথমাংশ=Russell |ইউআরএল=http://www.ajc.com/search/content/business/delta/stories/2008/02/28/delta_0229.html |শিরোনাম=Delta's new Boeing 777 can fly farther, carry more |কর্ম=[[The Atlanta Journal-Constitution]] |তারিখ=February 29, 2008 |সংগ্রহের-তারিখ=June 30, 2009}}</ref> বোয়িং ৭৭৭ এর ইঞ্জিন দুটি পৃথিবীর সমস্ত বিমানের ইঞ্জিনের চেয়ে বড়। এর প্রত্যেক ল্যান্ডিং গিয়ারে ছয়টি করে চাকা, গোলাকৃতি ফিউসেলাজ এবং কোনাকৃতির পেছনের লেজ রয়েছে। এই বিমানটির নকশা করার সময় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ আটটি বিমান পরিচালনা সংস্থার সাথে আলোচনা করা হয়েছিল এবং এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পুরাতন জামানার সুপরিসর বিমানগুলোকে প্রতিস্থাপিত করা। এই বিমানটিতেই সর্বপ্রথম [[ফ্লাই-বাই-ওয়্যার]] প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং এটিই সর্বপ্রথম বিমান যা সম্পূর্নরুপে কম্পিউটারের সাহায্যে নকশা করা হয়েছে।
 
বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি দুই ধরনের দৈর্ঘ্যের ফিউসেলাজের (মূল শরীর) নকশা করা হয়েছে। প্রাথমিক ৭৭৭-২০০ প্রকরনটির [[১৯৯৫]] সালে প্রথম বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হয় অপরদিকে সম্প্রসারিত ফিউসেলাজের বিমান '''৭৭৭-২০০ইআর''' এবং '''৭৭৭-২০০''' (পূর্বের প্রকরনের চেয়ে ১০.১ মিটার লম্বা) এর বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হয় [[১৯৯৮]] সালে। দূরপাল্লার প্রকরন ৭৭৭-৩০০ইআর এবং ৭৭৭-২০০এলআর দুটি যথাক্রমে [[২০০৪]] এবং [[২০০৬]] সালে বাজারে আসে। এর আরেকটি মালবাহী প্রকরন ৭৭৭এফ [[২০০৯]] সালে কার্যক্রম শুরু করে। '''বোয়িং ৭৭৭-২০০''' এবং '''৭৭৭-২০০ইআর''' বিমানদুটি পৃথিবীর সর্বোচ্চ দূরপাল্লার যা না থেমে অর্ধেক পৃথিবী ভ্রমণ করার রেকর্ড করেছে।
 
যুক্তরাষ্টের ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স সর্বপ্রথম বোয়িং ৭৭৭ কে বাণিজ্যিক পরিসেবায় নিয়ে আসে ১৯৯৫ সালে। এর পর প্রায় ৬০ টি বড় বিমান পরিচালনাকারী সংস্থা বোয়িংকে সব ধরনের প্রকরনের ১৪৫২ টি বিমানের অর্ডার দেয় এবং ১৪৫২ টি হস্তান্তর করা হয়। মে ২০১৩ পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকরন ছিল ৭৭৭-২০০ইআর যা আজ পর্যন্ত ৪২০ টি হস্তান্তর করা হয়। এই বিমানটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত বিমান হিসেবে আক্ষা দেওয়া হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.vancouversun.com/travel/world+five+safest+aircraft/5228507/story.html |শিরোনাম=The world's top-five safest aircraft |প্রকাশক=''[[The Vancouver Sun]]'' |তারিখ=9 August 2011 |সংগ্রহের-তারিখ=17 June 2013}}</ref>
৩১ নং লাইন:
== উন্নয়ন ==
=== পটভূমি ===
সত্তরের দশকে [[বোয়িং ৭৪৭]], [[ম্যাকডনেল ডগলাস ডিসি-১০]] এবং লকহিড এল-১০১১ এই তিনটি বিমানই সুপরিসর বিমান হিসেবে সমস্ত এয়ারলাইন্স কোম্পানিতে যাত্রীসেবায় ব্যবহৃত হত। ১৯৭৮ সালে বোয়িং নতুন দ্বৈত ইঞ্জিনের বিমান ৭৫৭কে বাজারে আনে পুরাতন আমলের ৭২৭কে প্রতিস্থাপিত করার জন্য। এবং আরো একটি দ্বৈত ইঞ্জিনের বিমান ৭৬৭ কেও পরিসেবায় আনা হয় মূলত এয়ারবাস এ৩০০ এর সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য। এছাড়াও একটি তিন ইঞ্জিনের বিমানের নকশা করা হয় লকহিড-১০১১ কে টেক্কা দেবার জন্য। মধ্য পরিসরের ৭৫৭ এবং ৭৬৭ বিমান দুটি ১৯৮০ সালের দিকে এর দ্বৈত ইঞ্জিন, জ্বালানী সাশ্রয়িতা এবং দূরপাল্লার পরিসবার জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং [[বোয়িং|বোয়িংকে]] ব্যবসায় সফলতা এনে দেয়। এছাড়াও ফেডারেল এভিয়েশন এডমিনেষ্ট্রেশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী তিন ঘন্টারঘণ্টার মধ্যেই দ্বৈত ইঞ্জিনের বিমানগুলিকে যেকোন সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার সক্ষম হতে হত। এই নতুন নিয়ম বোয়িং ৭৫৭ এবং ৭৬৭ কে বাজারে বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যায়।
 
আশির দশকে শেষের দিকে [[ম্যাকডনেল ডগলাস ডিসি-১০|ডিসি-১০]] এবং লকহিড-১০১ বিমানগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে আসতে থাকে এবং এগুলোর উৎপাদনকারীরা নতুন মডেলের নকশা প্রনয়ন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে থাকেন। ম্যাকডনেল ডগলাস কোম্পানি তাদের ডিসি-১০ বিমানকে প্রতিস্থাপন করার জন্য এমডি-১১ এর নকশা প্রনয়ন করার চিন্তাভাবনা করতে থাকে অপরদিকে এয়ারবাস তাদের এ-৩৩০ এবং এ-৩৪০ মডেলের উন্নয়নে ব্যাস্ত ছিল। বোয়িন তাদের ৭৬৭ মডেলটিকে আরো লম্বা এবং সম্প্রসারিত করে ক্রেতাদের কাছে পরিবেশন করে কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদা ছিল মূলত সুপরিসর বিমানের। তাই বোয়িং আবারো ৭৬৭ আর ৭৪৭ এর নকশার বিভিন্ন অংশ জুড়ে দিয়ে ৭৬৭-এক্স নামে একটি সমন্বিত নকশা প্রনয়ন করে কিন্তু তাও ক্রেতাদের মনঃপূত হয় না কারণ বড় বড় এয়ারলাইন কোম্পানির অন্যতম চাহিদা ছিল সুপরিসর ডেক এবং পরিবর্তন যোগ্য আসন বিন্যাস। [[১৯৮৮]] সালের দিকে বোয়িং বুঝতে পারে যে এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হল একটি আনকোরা নতুন নকশা। ১৯৮৯ সালের দিকে বোয়িং দ্বৈত ইঞ্জিনের নতুন নকশা প্রনয়ন করে যার ফিউসেলাজ যথেষ্ট প্রশস্ত এবং দুটি ইঞ্জিন থাকার দরূন এটি রক্ষনাবেক্ষনে এবং পরিচালনায় খরচ যথেষ্ট কম। ১৯৮৯ সালের শেষের দিকে বোয়িং তার ক্রেতাদের কাছে এই নতুন নকশাটি বোয়িং-৭৭৭ নামে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব করতে শুরু করে।
 
=== নকশা প্রণয়ন ===