আবদুল মতিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩০ নং লাইন:
| footnotes =
}}
'''আব্দুল মতিন''' (জন্ম: [[ডিসেম্বর ৩|৩ ডিসেম্বর]], [[১৯২৬]]- মৃত্যু: [[অক্টোবর ৮]], [[২০১৪]]<ref name="মতিন মৃত্যু"/>) ১৯৫২ সালের [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|বাংলা ভাষা আন্দোলনের]] অন্যতম ভাষা সৈনিক। ২০০১ সালে তিনি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার [[একুশে পদক]] পান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় |ইউআরএল=http://www.moca.gov.bd/en/images/pdf/Ekushe%20Padak%20Prapto%20List%201976-%202014%20.pdf |সংগ্রহের-তারিখ=৮ অক্টোবর ২০১৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140912045305/http://www.moca.gov.bd/en/images/pdf/Ekushe%20Padak%20Prapto%20List%201976-%202014%20.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
== শৈশব ও শিক্ষা জীবন ==
আব্দুল মতিন [[১৯২৬]] সালের [[৩ ডিসেম্বর]] [[সিরাজগঞ্জ জেলা|সিরাজগঞ্জের]] [[চৌহালি উপজেলা|চৌহালি উপজেলার]] ধুবালীয়া গ্রামে এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আব্দুল জলিল এবং মায়ের নাম আমেনা খাতুন। তিনি ছিলেন তাদের প্রথম সন্তান। জন্মের পর তার ডাক নাম ছিল '''গেদু'''। [[১৯৩০]] সালে গ্রামের বাড়ি যমুনা ভাঙনে ভেঙ্গে গেলে আবদুল জলিল জীবিকার সন্ধানে [[ভারত|ভারতের]] দার্জিলিং এ চলে যান। সেখানে জালাপাহারের ক্যান্টনমেন্টে সুপারভাইস স্টাফ হিসেবে একটি চাকরি পেয়ে যান। [[১৯৩২]] সালে আব্দুল মতিন শিশু শ্রেণীতে দার্জিলিং-এর বাংলা মিডিয়াম স্কুল মহারাণী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন এবং তখন সেখানেই তার শিক্ষা জীবনের শুরু। [[১৯৩৩]] সালে আব্দুল মতিনের মাত্র ৮ বছর বয়সে তার মা অ্যাকলেমশিয়া রোগে মারা যান। মহারানী গার্লস স্কুলে ৪র্থ শ্রেণী পাশ করলে এখানে প্রাইমারি স্তরের পড়াশোনার শেষ হয়। এরপর [[১৯৩৬]] সালে দার্জিলিং গভর্মেন্ট হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হন। তিনি [[১৯৪৩]] সালে এনট্রেন্স (মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা) পরীক্ষায় ৩য় বিভাগ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। আব্দুল মতিন [[১৯৪৩]] সালে রাজশাহী গভর্মেন্ট কলেজে ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষে ভর্তি হলেন। ২ বছর পর [[১৯৪৫]] সালে তিনি এইচ এস সি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] শেষের দিকে আব্দুল মতিন ব্রিটিশ আর্মির কমিশন র‌্যাঙ্কে ভর্তি পরীক্ষা দেন। দৈহিক আকৃতি, উচ্চতা, আত্মবিশ্বাস আর সাহসিকতার বলে তিনি [[ফোর্ট উইলিয়াম, কলকাতা|ফোর্ট উইলিয়াম]] থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কমিশন পান। এরপর তিনি কলকাতা থেকে ব্যাঙ্গালোর গিয়ে পৌঁছান। কিন্তু ততদিনে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। ফলে তিনি একটি সার্টিফিকেট নিয়ে আবার দেশে ফিরে আসেন। দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি [[১৯৪৫]] সালে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] ব্যাচেলর অব আর্টসে (পাস কোর্স) ভর্তি হলেন। ফজলুল হক হলে তার সিট হয়। [[১৯৪৭]] সালে গ্র্যাজুয়েশন কোর্স শেষ করেন এবং পরে মাস্টার্স করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে।<ref name="ভাষা মতিন"/>
 
== কর্মজীবন ও রাজনৈতিক জীবন ==
১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তোলায় আব্দুল মতিনের অবদান অন্যতম।<ref name="ভাষা মতিন">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ভাষা মতিন ১৯২৬-২০১৪ : Reports|ইউআরএল=http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/330410.html|সংগ্রহের-তারিখ=৮ অক্টোবর ২০১৪|কর্ম= বাংলানিউজ ২৪ ডট কম|তারিখ=৮ অক্টোবর ২০১৪}}</ref> সেবছর ২১ ফেব্রুয়ারি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] কলাভবনের ছাত্রসভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের সংগঠন ''ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি''র আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই কলাভবনের জনসভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ১৪৪ ধারা ভঙ্গের। <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=রাজনীতিবিদ মতিন - সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: Reports|ইউআরএল=http://www.bonikbarta.com/2014-10-10/news/details/16147.html|সংগ্রহের-তারিখ=১০ অক্টোবর ২০১৪|কর্ম=বনিকবার্তা ডটকম|তারিখ=১০ অক্টোবর ২০১৪|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160306142452/http://www.bonikbarta.com/2014-10-10/news/details/16147.html|আর্কাইভের-তারিখ=২০১৬-০৩-০৬|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> তারই নেতৃত্বে [[একুশে ফেব্রুয়ারি]] বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সারা বাংলার জন্য আন্দোলনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ভাষা আন্দোলনের পর তিনি ছাত্র ইউনিয়ন গঠনে ভূমিকা রাখেন এবং পরে সংগঠনটির সভাপতি হন। এরপর কমিউনিস্ট আন্দোলনে সক্রিয় হন। [[১৯৫৪]] সালে [[পাবনা জেলা]] কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক হন আব্দুল মতিন। [[আবদুল হামিদ খান ভাসানী|মওলানা ভাসানী]] [[ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি|ন্যাপ]] গঠন করলে তিনি [[১৯৫৭]] সালে তাতে যোগ দেন।<ref name="মতিন অবসান">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ভাষা মতিনের জীবনাবসান: Reports|ইউআরএল=http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article863754.bdnews|সংগ্রহের-তারিখ=৮ অক্টোবর ২০১৪|কর্ম= বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম|তারিখ=৮ অক্টোবর ২০১৪}}</ref> [[১৯৬৮]] সালে তিনি [[পাবনা জেলা]]কে ভিত্তি করে ''পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল)''-এর ভেতরে আলাউদ্দিন আহমদকে নিয়ে এক উপদল গড়ে তোলেন। পরে তিনি দেবেন শিকদার, আবুল বাশার, আলাউদ্দিন আহমদ ও নুরুল হক চৌধুরীর সহায়তায় ''পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি'' গঠন করেন। টিপু বিশ্বাস, আলাউদ্দিন আহমদ ও তার নেতৃত্বে পাবনা জেলার জনগণ মুক্তিযুদ্ধে সাহসী ভূমিকা পালন করেন।<ref>জয়নাল আবেদীন, উপমহাদেশের জাতীয়তাবাদী ও বামধারার রাজনীতি, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ, বাংলাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, পৃষ্ঠা- ২২১ ও ২৪৩।</ref> চীনকে অণুসরণকারী বামপন্থি দলগুলোর নানা বিভাজনের মধ্যেও আবদুল মতিন সক্রিয় ছিলেন রাজনীতিতে। ১৯৯২ সালে তিনি [[বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি]] গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ২০০৬ সালে ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। পরবর্তীকালে ২০০৯ সালে [[হায়দার আকবর খান রনো|হায়দার আকবর খান রনোর]] নেতৃত্বে ওয়ার্কার্স পার্টি (পুনর্গঠন) গঠিত হলে আবদুল মতিন তাদের সঙ্গে যোগ দেন।<ref name="মতিন অবসান"/> পরবর্তীতে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (পুনর্গঠিত) ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে [[বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ]] গঠিত হয় এবং আবদুল মতিন নবগঠিত বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাথে ঐক্যবদ্ধ হন। তিনি এই পার্টির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য মনোনীত হন এবং আমৃত্যু তিনি এই পদে আসীন ছিলেন।<ref name="বাংলার চে"/>
 
==গ্রন্থপঞ্জী==