আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0 |
|||
৯ নং লাইন:
| map_caption =
| location = [[বঙ্গোপসাগর]]
| coordinates = {{
| archipelago = [[আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ]]
| total_islands = ৫৭২
৪৯ নং লাইন:
| density_km2 = ৪৮
| density_footnotes =
| ethnic_groups = [[বামার]]<br/> [[শম্পেন]]<br/> [[ভারতীয় জনজাতি|
| timezone1 = [[ভারতীয় প্রমাণ সময়|আইএসটি]]
| utc_offset1 = +০৫:৩০
৬১ নং লাইন:
'''আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ''', পশ্চিমে [[ভারত]], এবং উত্তর ও পূর্বে [[মিয়ানমার]] কে রেখে [[বঙ্গোপসাগর|বঙ্গোপসাগরে]] মধ্যে [[দ্বীপপুঞ্জ]] গঠন করেছে। বেশিরভাগ দ্বীপগুলি ভারতের [[কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল]] [[আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ|আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের]] অংশ, এই দ্বীপপুঞ্জর উত্তরে [[কোকো দ্বীপপুঞ্জ]] সহ অল্প সংখ্যক দ্বীপ মিয়ানমারের অন্তর্ভুক্ত।
আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে বসবাস করে [[আন্দামানী]] জনজাতি, এদের মধ্যে জারোয়া এবং সেন্টিনেলী উপজাতি সহ বেশ কয়েকটি উপজাতি রয়েছে।<ref name="trained_news.au">{{
==History==
৭০ নং লাইন:
আন্দামান নামের উৎসটি বিতর্কিত এবং এই সম্বন্ধে ভালো জানা যায়না।
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে, আন্দামানের নাম, চীনা ভাষায় [[ঝাও রুগুয়া]] লিখিত ''[[ঝু ফান ঝি]]'' বইটিতে বলা হয়েছিল '' ইয়েন-টু মান (晏陀蠻)। <ref name="ZhuFanZhi">{{
|
▲ত্রয়োদশ শতাব্দীতে, আন্দামানের নাম, চীনা ভাষায় [[ঝাও রুগুয়া]] লিখিত ''[[ঝু ফান ঝি]]'' বইটিতে বলা হয়েছিল '' ইয়েন-টু মান (晏陀蠻)। <ref name="ZhuFanZhi">{{cite book |title=Chau Ju-kua: His Work on the Chinese And Arab Trade in the Twelfth And Thirteenth Centuries, Entitled Chu-fan-chï |translator= Friedrich Hirth |translator2= William Woodville Rockhill |url=https://archive.org/details/cu31924023289345/page/n161 |page=147 | year=1911 | publisher= St. Petersburg, Printing office of the Imperial academy of sciences | quote=When sailing from lan-wu-li to si-lan, if the wind is not fair, ships maybe driven to a place called Yen-to-man. This is a group of two islands in the middle of the sea, one of them being large, the other small; the latter is quite uninhabited. ... The natives on it are of a colour resmbling black lacquer; they eat men alive, so that sailors dare not anchor on this coast. }}</ref> ''কান্ট্রিস ইন দ্য সী'' বইয়ের ৩৮তম অধ্যায়ে, ঝাও রুগুয়া লিখেছেন যে, লামব্রি (সুমাত্রা) থেকে সিলোন (শ্রীলংকা) যাওয়ার সময়, প্রতিকূল বাতাসের ধাক্কায় জাহাজগুলি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দিকে প্রবাহিত হয়ে গিয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Andaman Islands |ইউআরএল=https://placeandsee.com/wiki/andaman-islands |সংগ্রহের-তারিখ=১০ জানুয়ারি ২০২০}}</ref><ref name="ZhuFanZhi" /><ref>{{cite book
| লেখক১=Cordier, Henri
▲ | title=Ser Marco Polo : notes and addenda to Sir Henry Yule's edition, containing the results of recent research and discovery
|
▲ | year=1920
▲ | publisher=London: John Murray
▲ | language=English
▲ | url=https://archive.org/details/sermarcopolonote00cord/page/108
▲ | page = 109
}}</ref>
১৫ তম শতাব্দীতে, [[উ বেই ঝি]]য়ের [[ঝেং হির ভ্রমণ|ঝেং হির ভ্রমণের]] সময়, [[মাও কুন মানচিত্র|মাও কুন মানচিত্রে]] আন্দামানকে নথিবদ্ধ করা হয়েছিল "আন-দে-ম্যান পর্বত" (安得蛮山) হিসাবে।<ref>{{
===আদি বাসিন্দারা===
প্রাচীনতম প্রমাণিত [[প্রত্নতত্ত্ব|
===চোল সাম্রাজ্য===
[[প্রথম রাজেন্দ্র চোল]] (১০১৪ থেকে ১০৪২ খ্রিস্টাব্দ) আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দখল নিয়েছিলেন।<ref>{{
=== ব্রিটিশ উপনিবেশ ===
১৭৮৯ সালে, [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি]] [[দক্ষিণ আন্দামান দ্বীপ
১৮২৪ সালে, কর্নওয়ালিস বন্দর, [[প্রথম বার্মিজ যুদ্ধ|প্রথম বার্মিজ যুদ্ধে]] সৈন্য বহনকারী যুদ্ধজাহাজের বহরের মিলনস্থান ছিল।{{sfn|Chisholm|1911|p=958}} ১৮৩০ এবং ১৮৪০ এর দশকে, আন্দামানে অবতরণকারী বিধ্বস্ত জাহাজের নাবিকদের প্রায়শই স্থানীয়রা আক্রমণ করে হত্যা করেছিল এবং দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীদের নরখাদক মনে করা হত। ১৮৪৪ সালে একই ঝড়ে পড়ে, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের সময়, '' রনিমেড '' এবং '' ব্রিটন '' এর ক্ষতি, এবং স্থানীয়দের দ্বারা অবিচ্ছিন্নভাবে আক্রমণ, ব্রিটিশ সরকারকে সাবধান করে তুলেছিল।<ref>Kingston, W.H.G. (1873) ''Shipwrecks and Disasters at Sea''. George Routledge and Sons, London.</ref> সরকার, ১৮৫৫ সালে, দ্বীপপুঞ্জের উপর [[সেলুলার জেল | কয়েদি উপনিবেশে]] সহ আরেকটি বসতি স্থাপনের প্রস্তাব করেছিল, তবে [[সিপাহী বিদ্রোহ ১৮৫৭|১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের]] ফলে এর নির্মাণে বিলম্ব হয়। কিন্তু, বিদ্রোহের পর ব্রিটিশরা এত সিপাহীকে বন্দী করে যে, আন্দামানে নতুন বসতি এবং জেলের প্রয়োজন জরুরিভাবে দেখা দিয়েছিল। বন্দীদের শ্রম ব্যবহার করে ১৮৫৭ সালের নভেম্বর মাসে পোর্ট ব্লেয়ারে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। এই সময় নিকটস্থ একটি নোনা জলাকে পরিহার করে কাজ শুরু হয়েছিল, মনে করা হয়েছিল এটি কর্নওয়ালিস বন্দরের পূর্ববর্তী অনেক সমস্যার উৎস।▼
১৮৫৯ সালের ১৭ই মে আন্দামানের আরেকটি বড় দিন ছিল। [[বৃহৎ আন্দামানী]] উপজাতি এবং ব্রিটিশদের মধ্যে [[অ্যাবারডিনের যুদ্ধ (আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ) |অ্যাবারডিনের যুদ্ধ]] হয়েছিল। ▼
যারা প্রাণ হারিয়েছিল তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে আন্দামান জল ক্রীড়া কমপ্লেক্সে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হয়েছে। বিদেশী আগ্রাসনের ভয়ে এবং সেলুলার জেল থেকে পালানো আসামির সহায়তায়, বৃহৎ আন্দামানীরা ব্রিটিশ ঘাঁটি আক্রমণ করেছিল। কিন্তু তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল এবং সদলে নিহত হয়। পরে, জানা গিয়েছিল যে দুধনাথ নামে একজন পালিয়ে আসা আসামি পক্ষ পরিবর্তন করে উপজাতিদের পরিকল্পনা সম্পর্কে ব্রিটিশদের জানিয়ে দেয়। আজ, উপজাতিটি জনসংখ্যা প্রায় ৫০ জন এবং তাদের মধ্যে ৫০% এরও কম প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের সরকার এই উপজাতির সংখ্যা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে।<ref name="One India">{{cite web|url=http://www.oneindia.com/2007/05/17/who-are-heroes-of-battle-of-aberdeen-1179405748.html|title=Who are heroes of Battle of Aberdeen?|work=oneindia.com|date=17 May 2007}}</ref><ref name="Andaman Sheekha">{{cite web|url=http://www.andamansheekha.com/2012/05/16/tribute-at-the-memorial-of-battle-of-aberdeen-today/|title=Tribute at the Memorial of "Battle of Aberdeen" Today|author =sanjib|work=andamansheekha.com|date=15 May 2012}}</ref>▼
▲১৮২৪ সালে, কর্নওয়ালিস বন্দর, [[প্রথম বার্মিজ যুদ্ধ|প্রথম বার্মিজ যুদ্ধে]] সৈন্য বহনকারী যুদ্ধজাহাজের বহরের মিলনস্থান ছিল।{{sfn|Chisholm|1911|p=958}} ১৮৩০ এবং ১৮৪০ এর দশকে, আন্দামানে অবতরণকারী বিধ্বস্ত জাহাজের নাবিকদের প্রায়শই স্থানীয়রা আক্রমণ করে হত্যা করেছিল এবং দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীদের নরখাদক মনে করা হত। ১৮৪৪ সালে একই ঝড়ে পড়ে, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের সময়, '' রনিমেড '' এবং '' ব্রিটন '' এর ক্ষতি, এবং স্থানীয়দের দ্বারা অবিচ্ছিন্নভাবে আক্রমণ, ব্রিটিশ সরকারকে সাবধান করে তুলেছিল।<ref>Kingston, W.H.G. (1873) ''Shipwrecks and Disasters at Sea''. George Routledge and Sons, London.</ref> সরকার, ১৮৫৫ সালে, দ্বীপপুঞ্জের উপর [[সেলুলার জেল
▲১৮৫৯ সালের ১৭ই মে আন্দামানের আরেকটি বড় দিন ছিল। [[বৃহৎ আন্দামানী]] উপজাতি এবং ব্রিটিশদের মধ্যে [[অ্যাবারডিনের যুদ্ধ (আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ)
▲যারা প্রাণ হারিয়েছিল তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে আন্দামান জল ক্রীড়া কমপ্লেক্সে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হয়েছে। বিদেশী আগ্রাসনের ভয়ে এবং সেলুলার জেল থেকে পালানো আসামির সহায়তায়, বৃহৎ আন্দামানীরা ব্রিটিশ ঘাঁটি আক্রমণ করেছিল। কিন্তু তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল এবং সদলে নিহত হয়। পরে, জানা গিয়েছিল যে দুধনাথ নামে একজন পালিয়ে আসা আসামি পক্ষ পরিবর্তন করে উপজাতিদের পরিকল্পনা সম্পর্কে ব্রিটিশদের জানিয়ে দেয়। আজ, উপজাতিটি জনসংখ্যা প্রায় ৫০ জন এবং তাদের মধ্যে ৫০% এরও কম প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের সরকার এই উপজাতির সংখ্যা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে।<ref name="One India">{{
==আরো দেখুন==
১১০ ⟶ ১০৫ নং লাইন:
==তথ্যসূত্র==
'''টীকা'''
{{সূত্র তালিকা}}
'''উৎস'''
*{{EB1911|wstitle=Andaman Islands|volume=1|pages=955–958}}
*[https://web.archive.org/web/20160304034922/http://www.andamantravelagent.com/about-andaman History & Culture. The Andaman Islands with destination quide]
*{{
==বহিঃসংযোগ==
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী}}
*[https://web.archive.org/web/20181213232827/http://www.and.nic.in/ Official Andaman and Nicobar Tourism Website]
*{{citation|last=Sorenson|first=E. Richard|title=Sensuality and Consciousness:Psychosexual Transformation in the Eastern Andaman|journal=Anthropology of Consciousness|volume=4|issue=4|year=1993|doi=10.1525/ac.1993.4.4.1|pages=1–9}}
|