আহসান মঞ্জিল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৭ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে জামালপুর<ref>[[প্রথম আলো]], [[২৬ অক্টোবর]], [[২০১৯]]; পড়াশোনা, পাতা-১৬, আহসান মঞ্জিল।</ref> পরগনার জমিদার [[শেখ ইনায়েতউল্লাহ]] আহসান মঞ্জিলের বর্তমান স্থান রংমহল নামে একটি প্রমোদভবন তৈরি করেন। পরবর্তীতে তার পুত্র [[শেখ মতিউল্লাহ]] রংমহলটি ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেন। বাণিজ্য কুঠি হিসাবে এটি দীর্ঘদিন পরিচিত ছিল। এরপরে ১৮৩০-এ বেগমবাজারে বসবাসকারী [[নওয়াব আবদুল গনি]]র পিতা [[খাজা আলীমুল্লাহ]] এটি ক্রয় করে বসবাস শুরু করেন। এই বাসভবনকে কেন্দ্র করে [[নওয়াব আবদুল গনি|খাজা আবদুল গনি]] মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানী নামক একটি ইউরোপীয় নির্মাণ ও প্রকৌশল-প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরী করান, যার প্রধান ইমারত ছিল আহসান মঞ্জিল। ১৮৫৯ সালে [[নওয়াব আবদুল গনি]] প্রাসাদটি নির্মাণ শুরু করেন যা ১৮৭২ সালে সমাপ্ত হয়। তিনি তার প্রিয় পুত্র [[খাজা আহসানুল্লাহ]]র নামানুসারে এর নামকরণ করেন ‘আহসান মঞ্জিল’। ওই যুগে নবনির্মিত প্রাসাদ ভবনটি রংমহল ও পুরাতন ভবনটি অন্দরমহল নামে পরিচিত ছিল।<ref name="ReferenceB">[[প্রথম আলো]], [[৯ মে]], [[২০১৮]]; পড়াশোনা, পাতা-১২, জানার আছে অনেক কিছু: আহসান মঞ্জিল।</ref>
 
[[১৮৮৮]] সালের [[৭ এপ্রিল]] প্রবল ভূমিকম্পে পুরো আহসান মঞ্জিলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। ক্ষতিগ্রস্থ আহসান মঞ্জিল পুনর্নির্মাণের সময় বর্তমান উঁচু গম্বুজটি সংযোজন করা হয়। পুনর্নির্মাণ ও মেরামতের জন্য রাণীগঞ্জ থেকে উন্নতমানের ইট আনা হয়। মেরামতকর্ম পরিচালনা করেন প্রকৌশলী গোবিন্দ চন্দ্র রায়। <ref name="ReferenceB"/> সে আমলে ঢাকা শহরে আহসান মঞ্জিলের মতো এতো জাঁকালো ভবন আর ছিল না। এর প্রাসাদোপরি গম্বুজটি শহরের অন্যতম উঁচু চূড়া হওয়ায় তা বহুদূর থেকেও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করত।
৩১ নং লাইন:
 
==আহসান মঞ্জিল জাদুঘরের ইতিহাস==
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর অযত্ন ও অপব্যবহারে আহসান মঞ্জিল ধ্বংসপ্রাপ্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে। এমতাবস্থায় [[১৯৭৪]] সালে ঢাকা নওয়াব পরিবারের উত্তরসূরিরা আহসান মঞ্জিল প্রাসাদ নিলামে বিক্রির পরিকল্পনা করেন। সরকারের ভূমি প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে নিলাম বিক্রির প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবের]] কাছে পেশ করা হয়। কিন্তু শেখ মুজিব আহসান মঞ্জিলের স্থাপত্য সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৭৪ সালের ২রা নভেম্বর এটি নিলামে বিক্রির প্রস্তাব নাকচ করে দেন।
 
‘আহসান মঞ্জিলের সংস্কার, সৌন্দর্যবর্ধন ও জাদুঘরে রুপান্তর’ শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন আরম্ভ হয় ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে।জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস ও স্থাপত্য নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য আহসান মঞ্জিল ভবনটি সংস্কার করে জাদুঘরে রুপান্তর ও প্রাসাদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভবনটির পারিপার্শ্বিক এলাকার উন্নয়ন করা প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য ছিল। [[সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়|সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের]] অধীন এ প্রকল্পের নির্বাহী সংস্থা ছিল [[বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর]]। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব [[বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর]] ও [[গণপূর্ত অধিদপ্তর|গণপূর্ত অধিদপ্তরের]] ওপর যৌথ ভাবে ন্যস্ত ছিল। সংস্কার ও সংরক্ষণ কাজ [[গণপুর্ত অধিদপ্তর]] কর্তৃক সম্পাদিত হয়। নিদর্শন সংগ্রহ ও প্রদর্শনী উপস্থাপনের মাধ্যমে জাদুঘরে রুপান্তরের কাজ সম্পাদন করে [[বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর]]। [[১৯৮৫]] সালের [[৩ নভেম্বর]] আহসান মঞ্জিল প্রাসাদ ও তৎসংলগ্ন চত্বর সরকার অধিগ্রহণ করার মাধ্যমে সেখানে জাদুঘর তৈরীর কাজ শুরু হয়। [[১৯৯২]] সালের [[২০ সেপ্টেম্বর]] আহসান মঞ্জিল জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
 
==জাদুঘরের গ্যালারীসমুহ==
১০৩ নং লাইন:
* [[৭ এপ্রিল]], [[১৮৮৮]]- প্রবল টর্নেডোর আঘাতে আহসান মঞ্জিলের বযাপক ক্ষতি হয়। [[খাজা আহসানুল্লাহ|নওয়াব আহসানুল্লাহ]] সংস্কার ও উন্নয়ন করেন। এ সময় রংমহলের উপরে সুদৃশ্য গম্বুজটি সযোজন করা হয়।
* [[১২ জুন]], [[১৮৯৭]]- ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহসান মঞ্জিলের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং [[খাজা আহসানুল্লাহ|নওয়াব আহসানুল্লাহ]] মেরামত করেন।
* [[১৮ ফেব্রুয়ারি|১৮]]-[[১৯ ফেব্রুয়ারি]], [[১৯০৪]]- ভাইসরয় [[লর্ড কার্জন]] [[বঙ্গভঙ্গ|বঙ্গ বিভাগের]] পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে [[পূর্ববঙ্গ]] সফরে এসে আহসান মঞ্জিলে [[নওয়াব সলিমুল্লাহ|নওয়াব সলিমুল্লাহর]] অতিথি হিসেবে অবস্থান করেন।
* [[৩ মার্চ]], [[১৯২০]]- [[কেন্দ্রীয় খেলাফত কমিটি|কেন্দ্রীয় খেলাফত কমিটির]] নেতা [[মওলানা শওকত আলী]] ও [[মওলানা আব্দুল কালাম আজাদ|মাওলানা আব্দুল কালাম আজাদের]] উপস্থিতিতে [[নওয়াব হাবিবুল্লাহ]] আহসান মঞ্জিল প্রাঙ্গণে এক বিরাট সভা করেন।
* [[১৪ মার্চ]], [[১৯৫২]]- জমিদারী উচ্ছেদ আইনের আওতায় সরকার ঢাকা নওয়াব এস্টেট অধিগ্রহণ করে। তবে আহসান মঞ্জিলসহ নওয়াব বাগানবাড়িগুলো অধিগ্রহণের বাইরে থাকে।
* [[১৯৬০]]- সংস্কারাভাবে আহসান মঞ্জিল জরাজীর্ণ হয় এবং এখানে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র নওয়াব পরিবারের সদস্যরা নিলামে কিনতে থাকে।
* [[১৯৭৪]]- নওয়াব পরিবারের উত্তরাধিকারীগণ সংরক্ষণে অপারগ হয়ে আহসান মঞ্জিল নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
* [[২ নভেম্বর]], [[১৯৭৪]]- [[শেখ মুজিবুর রহমান|জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান]] আহসান মঞ্জিল নিলামে বিক্রির প্রস্তাব বাতিল করে দেন এবং সংস্কার পূর্বক এখানে জাদুঘর ও পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশ প্রদান করেন।
* [[৩ নভেম্বর]], [[১৯৮৫]]- সরকার সামরিক বিধি জারির মাধ্যমে আহসান মঞ্জিল প্রাসাদ ও তৎসংলগ্ন ৫.৬৫ একর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে যার মধ্যে ৪.৯৬ একর জাদুঘরকে দেওয়া হয়।
* [[৩ মার্চ]], [[১৯৮৬]]- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আহসান মঞ্জিল বাস্তবায়নের সার্বিক দায়িত্ব [[বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর|বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরকে]] দেয়। তবে ভবনাদি সংস্কারের কাজ [[পি ডব্লিউ ডি]] করবে বলে জানানো হয়।
* [[২০ সেপ্টেম্বর]], [[১৯৯২]]- প্রথম পর্যায়ের উন্নয়ন ও সংস্কারকাজ শেষে আহসান মঞ্জিল জাদুঘর দর্শকদের জন্য খুলে দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী [[বেগম খালেদা জিয়া]]।
* [[১৯৯৪]]- প্রথম পর্যায়ের সংস্কারের পর বিদ্যমান অবকাঠামোগত ত্রুটি বিচ্যুতিমুক্ত করার লক্ষ্যে সরকার উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে।
* [[১৯৯৮]]- কমিটির সুপারিশমতো ত্রুটিমুক্ত করার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্কার উন্নয়ন কাজে [[পি ডব্লিউ ডি|পি ডব্লিউ ডিকে]] সম্পৃক্ত করা হয়।
* [[২০০৫]]-[[২০০৬]]- দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্কার কাজ শুরু হয় এবং আংশিক কাজ বাকি রেখে ২০০৬ সালে তা শেষ হয়।
* [[২০০৮]]- অসমাপ্ত কাজ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজস্ব খাত থেকে সমাপ্ত করার এবং সংস্কারকৃত কক্ষগুলোতে গ্যালারী চালুর সিদ্ধান্ত।
* [[১৩ নভেম্বর]], [[২০১০]]- সংস্কারকৃত গ্যালারী উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আবুল কালাম আজাদ।
 
== গ্যালারি ==