ভারতীয় সংবিধানের সংশোধনীসমূহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
'''ভারতের সংবিধান সংশোধনের তালিকা''' এই পৃষ্ঠায় প্রদত্ত হল। [[২৬ জানুয়ারি]] [[১৯৫০]] [[ভারতের সংবিধান]] চালু হবার পর থেকে [[২০০৫]] সাল অবধি এই সংবিধান মোট ৯৩ বার সংশোধিত হয়। প্রথম সংশোধন হয়েছিল সংবিধান চালু হবার পরের বছরেই, অর্থাৎ [[১৯৫১]] সালে।
 
ভারতের সংবিধান সংশোধনের জন্য বিল একমাত্র সংসদেই উত্থাপন করা যায়। সংসদের যে-কোনও কক্ষেই এই বিল উত্থাপন করা যায়। কিন্তু রাজ্য বিধানসভায় সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত কোনও বিল উত্থাপন করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার বা সংসদের যে-কোনও কক্ষের যে-কোনও সাংসদ বিলের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারেন। সরকার যে বিল উত্থাপন করেন তা সরকারি বিল এবং কোনও সাংসদ ব্যক্তিগতভাবে যে বিল উত্থাপন করেন তা বেসরকারি বিল হিসাবে অভিহিত হয়ে থাকে।
১২৫ নং লাইন:
| ২৩তম সংশোধন
| [[২৩ জানুয়ারি]] ১৯৭০
| [[লোকসভা]] ও রাজ্য বিধানসভায় তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের জন্য আসন সংরক্ষণের মেয়াদ [[১৯৭৯]] সালের জানুয়ারি মাস অবধি বাড়ানো হয়।
|-
| ১৯৭১
১৬৭ নং লাইন:
| লোকসভার সদস্যসংখ্যা ৫২৫ থেকে বাড়িয়ে ৫৪৫ করা হয়।
|-
| [[১৯৭৪]]
| ৩২তম সংশোধন
| [[১ জুলাই]] [[১৯৭৪]]
| [[অন্ধ্রপ্রদেশ]] রাজ্যের জন্য বিশেষ সাংবিধানিক ব্যবস্থা গৃহীত হয়।
|-
| [[১৯৭৪]]
| ৩৩তম সংশোধন
| [[১৯ মে]] [[১৯৭৪]]
| আইনসভার সদস্যদের যাতে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পদত্যাগে বাধ্য না করা যায়, সেজন্য সংবিধানের ১০১ ও ১৯০ নং ধারাদুটি সংশোধন করে পদত্যাগের কার্যকারিতা সংশ্লিষ্ট কক্ষের অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র গ্রহণের উপর নির্ভর করবে বলে স্থির করা হয়।
|-
| [[১৯৭৪]]
| ৩৪তম সংশোধন
| [[৭ সেপ্টেম্বর]] [[১৯৭৪]]
| ২০টি রাজ্য বিল সংবিধানের নবম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হয়। ফলে এই আইনগুলির সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জের বিষয়টি আদালতের এক্তিয়ারের বাইরে চলে যায়।
|-
| [[১৯৭৪]]
| ৩৫তম সংশোধন
| [[১ মার্চ]] [[১৯৭৫]]
| [[সিক্কিম]] ভারতের সহযোগী রাজ্যের মর্যাদা পায়।
|-
| [[১৯৭৫]]
| ৩৬তম সংশোধন
| [[২৬ এপ্রিল]] [[১৯৭৫]]
| [[সিক্কিম]] ভারতের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা পায়।
|-
| [[১৯৭৫]]
| ৩৭তম সংশোধন
| [[৩ মে]] [[১৯৭৫]]
| [[অরুণাচল প্রদেশ|অরুণাচল প্রদেশে]] একটি বিধানসভা ও মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়।
|-
| [[১৯৭৫]]
| ৩৮তম সংশোধন
| [[১ আগস্ট|১ অগস্ট]] [[১৯৭৫]]
| কয়েকটি বিষয়কে আদালতের পর্যালোচনা-বহির্ভূত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই সংশোধনীবলে অর্ডিন্যান্স জারির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকদের সন্তুষ্টি ও সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়।
|-
| [[১৯৭৫]]
| ৩৯তম সংশোধন
| [[১০ আগস্ট|১০ অগস্ট]] [[১৯৭৫]]
| ৩৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় আইনকে সংবিধানের নবম তফসিলভুক্ত করা হয়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং লোকসভার অধ্যক্ষদের নির্বাচন-সংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তির দায়িত্ব হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের হাত থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে একটি কাউন্সিলের হাতে অর্পণ করা হয়।
|-
| [[১৯৭৬]]
| ৪০তম সংশোধন
| [[২৭ মে]] [[১৯৭৬]]
| ভূমিসংস্কার, জমির উর্ধ্বসীমা, চোরাচালানকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ সম্পর্কিত কয়েকটি আইনকে সংবিধানের নবম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
|-
| [[১৯৭৬]]
| ৪১তম সংশোধন
| [[৭ সেপ্টেম্বর]] [[১৯৭৬]]
| রাজ্য রাষ্ট্রকৃত্যকের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অবসর গ্রহণের বয়স ৬০ থেকে ৬২ বছর করা হয়।
|-
| [[১৯৭৬]]
| ৪২তম সংশোধন বা ক্ষুদ্র সংবিধান
| [[৩ জানুয়ারি]] [[১৯৭৭]], [[১ এপ্রিল]] [[১৯৭৭]]
| এই সংশোধনের ভারতের সংবিধানের বৃহত্তম সংশোধন। প্রধানমন্ত্রী [[ইন্দিরা গান্ধী|ইন্দিরা গান্ধীর]] আমলে কৃত এই সংশোধনের বাহুল্যের কারণে এটিকে ক্ষুদ্র সংবিধান বা মিনি-কনস্টিটিউশন আখ্যা দেওয়া হয় : <br />এই সংশোধনে [[ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা|প্রস্তাবনায়]] ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দদুটি যোগ করে ভারতকে একটি ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ রূপে ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া প্রস্তাবনায় ‘ঐক্য’-এর পরে ‘সংহতি’ শব্দটিও যুক্ত হয়। <br /> নির্দেশমূলক নীতির আলোচ্য বিষয়ে সংখ্যা বাড়ানো হয়। বেশ কয়েকটি নতুন বিষয় যুক্ত করা হয় : শিশুদের সুস্থ ও স্বাধীনভাবে এবং মর্যাদার সঙ্গে বেড়ে উঠতে পারার জন্য সমান সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করা, সমান সুযোগের ভিত্তিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়ন, শিল্প পরিচালন ক্ষেত্রে শ্রমিকদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা, পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ এবং দেশের অরণ্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। এই সংশোধনীবলে উক্ত অংশগুলি সংযোজনের জন্য সংবিধানের ৩৯ নং ধারা সংশোধন করা হয় এবং মৌলিক অধিকারের উপর নির্দেশমূলক নীতির প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। <br /> মূল সংবিধানে নাগরিকদের কোনও কর্তব্যের উল্লেখ ছিল না। এই সংশোধনীবলে ভারতীয় নাগরিকদের ১০টি কর্তব্যের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়। <br /> এই সংশোধনী বলে ভারতের রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদা ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ের কয়েকটি গুণগত পরিবর্তন করা হয়। মূল সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতিকে সাহায্য ও পরামর্শদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরিচালনাধীন একটি মন্ত্রিপরিষদের অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়েছিল; কিন্তু রাষ্ট্রপতি যে উক্ত মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য, সেকথার উল্লেখ ছিল না। ৪২তম সংবিধান সংশোধনে স্পষ্টরূপে উল্লিখিত হয় যে রাষ্ট্রপতি তার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদের সাহায্য ও পরামর্শ গ্রহণে বাধ্য। <br />লোকসভা ও রাজ্যসভার মেয়াদ ছয় বছর করা হয়। স্থির হয় ২০০০ সালের জনগণনার হিসাব পাওয়ার পূর্বাবধি আসন বণ্টনের রাষ্ট্রপতির আদেশের দ্বারা নির্ধারিত হবে। <br /> রাষ্ট্রপতিকে দেশের কোনও অংশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এছাড়া, সংবিধানের ৩৫৬ ধারা সংশোধন করে বলা হয়, রাজ্যে শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা সংক্রান্ত কোনও ঘোষণাকে সংসদের অনুমোদনের জন্য পেশ করলে এবং সংসদ তা অনুমোদন করলে ওই ঘোষণা একবছর বলবৎ থাকবে। সংসদের অনুমোদনক্রমে মোট তিন বছর পর্যন্ত ওই ঘোষণা বলবৎ থাকতে পারে। <br /> আদালত সংবিধান সংশোধন আইনের বৈধতা বিচারের এক্তিয়ার হারায়। এই সংশোধনীবলে কেবলমাত্র সংবিধানে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে কিনা, আদালত শুধুমাত্র সেই বিষয়টিই বিবেচনার ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। <br /> এই সংশোধনীবলে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে [[ভারত সরকার|কেন্দ্রীয় সরকারকে]] প্রভূত ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই সংশোধনে একটি নতুন ধারা যোগ করে বলা হয় যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনে কোনো রাজ্যে সশস্ত্রবাহিনী পাঠাতে পারে এবং ওই সশস্ত্রবাহিনী কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে। <br /> এই সংশোধনী বলে সংবিধানের সপ্তম তফসিলভুক্ত যুগ্ম তালিকা সংশোধন করে শিক্ষা, কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশে দেশের যে কোনও অংশে সশস্ত্রবাহিনী পাঠানো, বিচার পরিচালনা, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বাদে অন্যান্য আদালত গঠন, বন্যপ্রাণী ও পক্ষী সংরক্ষণ, জনসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা এবং শ্রমিকদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ যুগ্ম তালিকাভুক্ত করা হয়।
|-
| [[১৯৭৭]]
| ৪৩তম সংশোধন
| [[১৩ এপ্রিল]] [[১৯৭৮]]
| এই সংশোধনীবলে ৪২তম সংশোধনে সংযোজিত জাতীয় স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ ও সংগঠন সম্পর্কে যে মন্তব্য যুক্ত করা হয়েছিল, তা বাতিল করা হয়। <br /> সুপ্রিম কোর্টকে ৪২তম সংশোধনের পূর্বাবস্থার ক্ষমতা অর্থাৎ রাজ্য আইনের বৈধতা বিচারের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে হাইকোর্টকে কেন্দ্রীয় আইনের বৈধতা বিচারের ক্ষমতাও ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
|-
| [[১৯৭৮]]
| ৪৪তম সংশোধন
| [[২০ জুন]] [[১৯৭৯]], <br /> [[১ আগস্ট|১অগস্ট]] [[১৯৭৯]], <br /> [[৬ সেপ্টেম্বর]] [[১৯৭৯]]
| ৪২তম সংবিধান সংশোধনের কতকগুলি অংশ বাতিল করা হয়।
|-
| [[১৯৮০]]
| ৪৫তম সংশোধন
| [[২৫ জানুয়ারি]] [[১৯৮০]]
| তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের জন্য লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় আসন সংরক্ষণের মেয়াদ আরও ১০ বছর বৃদ্ধি করা হয়।
|-
| [[১৯৮৩]]
| ৪৬তম সংশোধন
| [[২ ফেব্রুয়ারি]] [[১৯৮৩]]
| রাজ্য সরকারগুলির আওতাভুক্ত বিক্রয়করের ত্রুটি সংশোধনের জন্য এই সংবিধান সংশোধন করা হয়।
|-
| [[১৯৮৩]]
| ৪৭তম সংশোধন
| [[২৬ আগস্ট|২৬ অগস্ট]] [[১৯৮৪]]
২৪৯ নং লাইন:
| [[১৯৮৪]]
| ৪৮তম সংশোধন
| [[১ এপ্রিল]] [[১৯৮৫]]
| [[পঞ্জাব|পঞ্জাবে]] রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ দু-বছর করা হয়।
|-
২৬৪ নং লাইন:
| [[১৯৮৪]]
| ৫১তম সংশোধন
| [[১৬ জুন]] [[১৯৮৬]]
| এই সংশোধনী আইনে সংবিধানের ৩৩০ নং ধারাটি সংশোধন করে বলা হয় যে একমাত্র অসমের স্বশাসিত জেলা ছাড়া অন্যান্য রাজ্যে তফসিলি জাতি ও উপজাতির জন্য লোকসভার আসন সংরক্ষিত থাকবে।
|-
| [[১৯৮৫]]
| ৫২তম সংশোধন
| [[১ মার্চ]] [[১৯৮৫]]
| এই সংশোধনে দলত্যাগের সংজ্ঞা নিরুপিত হয়।
|-
| অগস্ট, [[১৯৮৬]]
| ৫৩তম সংশোধন
| [[২০ ফেব্রুয়ারি]] [[১৯৮৭]]
| এই সংশোধনীবলে উল্লেখ করা হয় যে, মিজোদের নিজস্ব সামাজিক নিয়মকানুন, দেওয়ানি ও প্রথাগত আইন, ভূমি হস্তান্তরের আইন কার্যকর থাকবে। একমাত্র [[মিজোরাম]] বিধানসভা প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী হবেন। মিজোরাম চুক্তির পূর্বে মিজোরামে যে আইন কার্যকর ছিল, তার পরিবর্তে সংসদ প্রণীত আইন কার্যকর হবে না। মিজোরামের বিধানসভা হবে ৪০ সদস্যের।
|-
| [[১৯৮৬]]
| ৫৪তম সংশোধন
| [[১ এপ্রিল]] [[১৯৮৬]]
| এই সংশোধনীবলে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি করা হয়।
|-
| ডিসেম্বর, [[১৯৮৬]]
| ৫৫তম সংশোধন
| [[২০ ফেব্রুয়ারি]] [[১৯৮৭]]
| কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল [[অরুণাচল প্রদেশ|অরুণাচল প্রদেশকে]] পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়। এই রাজ্যের বিধানসভার সদস্যসংখ্যা স্থির করা হয় ৪০ জন।
|-
| [[১৯৮৬]]
| ৫৬তম সংশোধন
| [[৩০ মে]] [[১৯৮৭]]
| [[গোয়া]] পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ও [[দমন ও দিউ]] কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা লাভ করে। গোয়া বিধানসভার সদস্যসংখ্যা নির্ধারিত হয় ৪০ জন।
|-
| [[১৯৮৭]]
| ৫৭তম সংশোধন
| [[২১ সেপ্টেম্বর]] [[১৯৮৭]]
| ভারতের সংবিধানের [[হিন্দি]] অনুবাদ প্রকাশের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত করা হয়।
|-
| [[১৯৮৭]]
| ৫৮তম সংশোধন
| [[৯ ডিসেম্বর]] [[১৯৮৭]]
| সংবিধানের ৩৩২ নং ধারাটি সংশোধন করে [[মিজোরাম]], [[অরুণাচল প্রদেশ]] [[নাগাল্যান্ড]] ও [[মেঘালয়]] বিধানসভায় তফসিলি জাতি ও উপজাতির প্রতিনিধিসংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়।
|-
| [[১৯৮৮]]
| ৫৯তম সংশোধন
| [[৩০ মার্চ]] [[১৯৮৮]]
| এই সংশোধনী আইনবলে সংবিধানের ৩৫২(১), ৩৫৯ ও ৩৫৬(৫) ধারাগুলি সংশোধন করা হয়। ৩৫২(১) নং ধারার প্রথম অংশটি সংশোধন করে বলা হয়, “রাষ্ট্রপতি যদি নিশ্চিত হন যে, এমন গুরুতর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ অথবা সশস্ত্র বিদ্রোহের দরুন ভারত বা তার কোনও অংশের নিরাপত্তা বিপন্ন, তখন সমগ্র পঞ্জাব অথবা দেশের যে কোনও অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।”
|-
| [[১৯৮৮]]
| ৬০তম সংশোধন
| [[২০ ডিসেম্বর]] [[১৯৮৮]]
| বৃত্তিকরের পরিমাণ ২৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,৫০০ টাকা করা হয়।
|-
| [[১৯৮৮]]
| ৬১তম সংশোধন
| [[২৮ মার্চ]] [[১৯৮৯]]
| সংবিধানের ৩২৬ নং ধারাটি সংশোধন করে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভার ভোটদাতাদের বয়সসীমা সর্বনিম্ন ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করা হয়।
|-
| [[১৯৮৯]]
| ৬২তম সংশোধন
| [[২০ ডিসেম্বর]] [[১৯৮৯]]
| এই সংশোধনী বলে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের জন্য আসন সংরক্ষণের মেয়াদ ১০ বছর অর্থাৎ [[২৫ জানুয়ারি]] [[১৯৯৯]] অবধি বৃদ্ধি করা হয়।
|-
| [[১৯৮৯]]
| ৬৩তম সংশোধন
| [[৬ জানুয়ারি]] [[১৯৯০]]
| [[১৯৮৮]] সালে প্রণীত ৫৯তম সংবিধান সংশোধনীটি বাতিল করা হয়।
|-
| [[১৯৯০]]
| ৬৪তম সংশোধন
| [[১৬ এপ্রিল]] [[১৯৯০]]
| [[পঞ্জাব]] পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৩ বছর ৬ মাস পর্যন্ত করা হয়।
|-
| [[১৯৯০]]
| ৬৫তম সংশোধন
| [[১২ মার্চ]] [[১৯৯২]]
| সংবিধান স্বীকৃত তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের বিশেষ সংরক্ষণ ব্যবস্থা তদারকি ও কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করা হয়।
|-
| [[১৯৯০]]
| ৬৬তম সংশোধন
| [[৭ জুন]] [[১৯৯০]]
| বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় প্রণীত ৫৪টি ভূমিসংস্কার আইন আদালতের এক্তিয়ারের বাইরে সংবিধানের নবম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
|-
| [[১৯৯০]]
| ৬৭তম সংশোধন
| [[৪ অক্টোবর]] [[১৯৯০]]
| পঞ্জাব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সে-রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ ৪ বছর করা হয়।
|-
| [[১৯৯১]]
| ৬৮তম সংশোধন
| [[১২ মার্চ]] [[১৯৯১]]
| পঞ্জাব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সে-রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ ৫ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
|-
| [[১৯৯১]]
| ৬৯তম সংশোধন
| [[১ ফেব্রুয়ারি]] [[১৯৯২]]
| পূর্বতন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির প্রশাসনিক কাঠামো পরিবর্তন করে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল গঠন করা হয়। দিল্লি বিধানসভা ও মন্ত্রিপরিষদ গঠনের ব্যবস্থা করা হয়।
|-
| [[১৯৯২]]
| ৭০তম সংশোধন
| [[২১ ডিসেম্বর]] [[১৯৯১]] (এই আইনের একাংশের প্রয়োগ এখনও হয়নি)
| সংবিধানের ৫৪ ও ৫৫ নং ধারাদুটি সংশোধন করে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচ্চেরি বিধানসভার সদস্যদের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানের অধিকার দেওয়া হয়।
|-
| [[১৯৯২]]
| ৭১তম সংশোধন
| [[৩১ আগস্ট|৩১ অগস্ট]] [[১৯৯২]]
| [[মেইতেই ভাষা|মণিপুরি]], [[কোঙ্কনি]] ও [[নেপালি ভাষা|নেপালি]] ভাষা সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পায়।
|-
| [[১৯৯২]]
| ৭২তম সংশোধন
| [[৫ ডিসেম্বর]] [[১৯৯২]]
| [[ত্রিপুরা]] রাজ্যের উপদ্রুত অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে [[১২ আগস্ট|১২ অগস্ট]] [[১৯৯২]] তারিখে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ত্রিপুরার জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর একটি বোঝাপড়া চুক্তি বা মেমোরান্ডাম অব আর্টিকল সাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি কার্যকর করার জন্য ৭২তম সংবিধান সংশোধন আইনে সংবিধানের ৩৩২ নং ধারাটি সংশোধন করে ত্রিপুরা বিধানসভায় তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা স্থির করতে একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
|-
| [[১৯৯২]]
| ৭৩তম সংশোধন
| [[২৪ এপ্রিল]] [[১৯৯৪]]
| পঞ্চায়েতের গঠন, কার্যকাল, সদস্য সংখ্যা, নির্বাচন, অর্থ কমিশন গঠন, পঞ্চায়েতের আর্থিক ও অন্যান্য বিষয়গুলি সংবিধানভুক্ত করা হয়। তবে [[জম্মু ও কাশ্মীর]], [[মেঘালয়]], [[মিজোরাম]], [[নাগাল্যান্ড]] ও কয়েকটি রাজ্যের তফসিলভুক্ত অঞ্চলের ক্ষেত্রে এই আইনটি কার্যকর নয়।
|-
| [[১৯৯২]]
| ৭৪তম সংশোধন
| [[১ জুন]] [[১৯৯৩]]
| এই সংবিধান সংশোধনী আইনবলে পুরসভার গঠন, কার্যাবলি, মেয়াদ, ওয়ার্ড কমিটি, তফসিলি জাতি, উপজাতি ও মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা, জেলা পরিকল্পনা কমিটি ও মেট্রোপলিটান পরিকল্পনা কমিটি-সহ বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও দ্বাদশ তফসিল ও সংবিধানের ২৪৩-ডবলিউ ধারায় পুরসভার ১৮টি কার্যাবলি অন্তর্ভুক্ত হয়।
|-
| [[১৯৯৪]]
| ৭৫তম সংশোধন
| [[১৫ মে]] [[১৯৯৪]]
| এই সংবিধান সংশোধন আইনবলে রাজ্যস্তরে বাড়িভাড়া ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এ-সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তির প্রয়াস নেওয়া হয়। এই সংক্রান্ত মামলার আপিল সুপ্রিম কোর্ট ছাড়া অন্যত্র নিষিদ্ধ হয়।
|-
| [[১৯৯৪]]
| ৭৬তম সংশোধন
| [[৩১ আগস্ট|৩১ অগস্ট]] [[১৯৯৪]]
| তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষায়তনে ৬৯% আসন সংরক্ষণের বিল পাস হয়।
|-
| [[১৯৯৪]]
| ৭৭তম সংশোধন
| [[১৭ জুন]] [[১৯৯৫]]
| এই সংবিধান সংশোধনী আইনবলে তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষজনের চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ বজায় রাখা হয়।
|-
| [[১৯৯৫]]
| ৭৮তম সংশোধন
| [[৩০ আগস্ট|৩০ অগস্ট]] [[১৯৯৫]]
| ভূমিসংস্কার ও উপজাতি এবং অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের জন্য লোকসভা ও বিধানসভায় আরও ১০ বছরের আসন সংরক্ষণের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
|-
৪৩০ নং লাইন:
| ৮৪তম সংশোধন
| [[২১ ফেব্রুয়ারি]] ২০০২
| সংবিধানের ৮২ ও ১৭০(৩) ধারাদুটি সংশোধিত করে রাজ্যগুলির বিধানসভা ও বিধানপরিষদের মোট আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রেখে, [[১৯৯১]] সালের জনগণনার হিসাব অনুযায়ী বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্রের সীমানা পুনর্বিন্যাসের ব্যবস্থা করা হয়। তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলির ক্ষেত্রেও আঞ্চলিক সীমা ও সংখ্যা রদবদলের ব্যবস্থা করা হয়।
|-
| ২০০১
৪৪২ নং লাইন:
| সংবিধানে নতুন ২১-ক ধারাটি সংযুক্ত করে ছয় থেকে ১৪ বছর বয়সী সকল শিশুর অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রকে বাধ্য করা হয়। এছাড়াও শিক্ষার অধিকার সংক্রান্ত ৫১-ক ধারাটি সংশোধিত হয়।
|-
| [[২০০৩]]
| ৮৭তম সংশোধন
| [[২২ জুন]] [[২০০৩]]
| এই সংবিধান সংশোধনী আইনবলে সংবিধানের ৮১ নং ধারার ৩ নং উপধারার অধীনে (ii) চিহ্নিত অংশে ‘১৯৯১’ স্থলে ‘২০০১’ করা হয়।
|-
| [[২০০৩]]
| ৮৮তম সংশোধন
| [[১৫ জানুয়ারি]] [[২০০৪]]
| এই সংবিধান সংশোধনী আইনবলে সংবিধানে নতুন ২৬৮-এ ধারাটি সংযোজিত হয়, যার ফলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পরিষেবা ক্ষেত্রে কর বসানোর অধিকার পায়।
|-
| [[২০০৩]]
| ৮৯তম সংশোধন
| [[২৮ সেপ্টেম্বর]] [[২০০৩]]
| এই সংশোধনীবলে সংবিধানের ৩৩৮ নং ধারাটি সংশোধন করা হয় এবং ৩৩৮-এ ধারাটি সংযোজিত হয়। এতে তফসিলি উপজাতিদের জন্য জাতীয় কমিশন গঠনের কথা বলা হয়।
|-
| [[২০০৩]]
| ৯০তম সংশোধন
| [[২৮ সেপ্টেম্বর]] [[২০০৩]]
| এই সংবিধান সংশোধনী আইনবলে অসম বিধানসভায় উপজাতি ও অনুপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলি বোড়োল্যান্ড আঞ্চলিক জেলা গঠনের আগে যে ভাবে বণ্টিত হয়েছিল সেইভাবে বজায় রাখা হয়।
|-
| [[২০০৩]]
| ৯১তম সংশোধন
| [[১ জানুয়ারি]] [[২০০৪]]
| ৯১তম সংবিধান সংশোধনীর দ্বারা সংবিধানে কয়েকটি নতুন উপধারা সংযোজিত হয় : <br />
ধারা ৭৫ (১)-এ সংযোজিত হয় – ১ক:- প্রধানমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা লোকসভার মোট সদস্যসংখ্যার ১৫ শতাংশের অধিক হবে না। <br />
৪৮০ নং লাইন:
অনুচ্ছেদ ৩ বাদ দেওয়া হয়।
|-
| [[২০০৩]]
| ৯২তম সংশোধন
| [[৭ জানুয়ারি]] [[২০০৪]]
| ৯২তম সংবিধান সংশোধনীর দ্বারা চারটি ভাষা সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ভারতের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে। এই চারটি ভাষা হল – [[বোড়ো ভাষা|বোড়ো]], [[ডোগরি ভাষা|ডোগরি]], [[মৈথিলি ভাষা|মৈথিলি]] ও [[সাঁওতালি ভাষা|সাঁওতালি]]।
|-
| [[২০০৫]]
| ৯৩তম সংশোধন
| [[২০ জানুয়ারি]] [[২০০৬]]
|
|}