বুধ গ্রহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১২০ নং লাইন:
}}
'''বুধ''' ({{lang-en|Mercury}}; {{IPA2|ˈmɜ(ɹ).kjə.ɹi}}) ''মার্কিউরী'') [[সৌরজগৎ|সৌরজগতের]] প্রথম এবং ক্ষুদ্রতম [[গ্রহ]]। এটি [[সূর্য|সূর্যের]] সর্বাপেক্ষা নিকটতম গ্রহ। এর কোনও উপগ্রহ নাই। এটি সূর্যকে প্রতি ৮৮ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে। এর উজ্জ্বলতার [[আপাত মান]] -২.৬ থেকে +৫.৭<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140328023718/http://nssdc.gsfc.nasa.gov/planetary/factsheet/mercuryfact.html|শিরোনাম=Mercury Fact Sheet|তারিখ=2014-03-28|সংগ্রহের-তারিখ=2017-12-28}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://eclipse.gsfc.nasa.gov/TYPE/mercury2.html|শিরোনাম=NASA RP 1349 - Mercury Ephemeris|সংগ্রহের-তারিখ=2017-12-28}}</ref> পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু একে পৃথিবী থেকে সহজে দেখা যায় না, কারণ সূর্যের সাথে এর বৃহত্তম কৌণিক পার্থক্য হচ্ছে মাত্র ২৮.৩ ডিগ্রী। কেবল সকাল ও সন্ধ্যার ক্ষীণ আলোয় এটি দৃশ্যমান হয়। বুধ গ্রহ সম্বন্ধে সংগৃহীত তথ্যের পরিমাণ তুলনামূলক কম। বুধ অভিমুখী নভোযান [[মেরিনার ১০]]
ভৌত বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে বুধ অনেকটা [[চাঁদ|চাঁদের]] মতো কারণ চাঁদের মতো এই গ্রহেও রয়েছে প্রচুর খাদ। গ্রহটির কোনও স্থিতিশীল বায়ুমণ্ডল নেই, নেই কোনও [[প্রাকৃতিক উপগ্রহ]]। এর একটি সুবৃহৎ [[লৌহ]] কেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্র কর্তৃক উৎপাদিত [[চৌম্বক ক্ষেত্র]] পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের তুলনায় ০.১% অধিক শক্তিশালী। বুধের পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা ৯০ থেকে ৭০০ কেলভিনের মধ্যে থাকে। সবচেয়ে উত্তপ্ত স্থান হচ্ছে [[অর্ধসৌর বিন্দু]] এবং শীতলতম স্থান হল এর মেরুর নিকটে অবস্থিত খাদসমূহের নিম্ন বিন্দু।
২৩৩ নং লাইন:
{{মূল|মেসেঞ্জার (নভোযান)}}
বুধের উদ্দেশ্যে [[নাসা]] কর্তৃক প্রেরিত দ্বিতীয় অভিযান ছিল [[মেসেঞ্জার (নভোযান)|মেসেঞ্জার]] ('''ME S S EN GE R''' - '''ME'''rcury '''S'''urface, '''S'''pace '''EN'''vironment, '''GE'''ochemistry, and '''R'''anging) যা
মেসেঞ্জারকে পাঠানো হয়েছে মূলত বুধের ছয়টি মৌলিক বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য। এগুলো হচ্ছে: বুধের উচ্চ ঘনত্ব, এর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস, এর [[চৌম্বক ক্ষেত্র|চৌম্বক ক্ষেত্রের]] প্রকৃতি, এর কেন্দ্রের গঠন, এর মেরু অঞ্চলসমূহে আসলেই বরফ রয়েছে কিনা, এবং এর পাতলা বায়ুমণ্ডল কোথা থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে সন্ধানী যানটিতে মেরিনার ১০-এর চেয়ে আরও শক্তিশালী ইমেজিং যন্ত্রপাতি সন্নিবেশিত করা হয়েছে যাতে বুধের আরও কাছ থেকে অপেক্ষাকৃত অধিক রিজল্যুশনবিশিষ্ট ছবি তোলা যায়। এছাড়া এতে রয়েছে যুতসই [[বর্ণালীবীক্ষণ যন্ত্র]] যার সাহায্যে বুধের ভূত্বকে মৌলসমূহের প্রাচুর্য নির্ণয় করা সম্ভব, রয়েছে [[ম্যাগনেটোমিটার]] এবং আয়নিত কণিকাসমূহের গতিবেগ নির্ণয়ের যন্ত্রাবলী। সন্ধানী যানটি যখন বুধকে কেন্দ্র করে তার কক্ষপথ বরাবর আবর্তন করবে তখন এর গতিবেগের সূক্ষ্মতম পরিবর্তন পরিমাপের জন্য এই গতিমাপক পন্ত্রগুলো দেয়া হয়েছে। এই পরিবর্তন পরিমাপের মাধ্যমে বুধের অভ্যন্তরীন গঠন সম্বন্ধে বিস্তারিত জানা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Johns Hopkins University’s MESSENGER mission web pages|সংগ্রহের-তারিখ=27 April|accessyear=2006|ইউআরএল=http://messenger.jhuapl.edu/}}</ref>
২৪৩ নং লাইন:
[[জাপান]] [[ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি|ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির]] সাথে যৌথভাবে একটি অভিযানের পরিকল্পনা করছে যা [[বেপিকলম্বো]] নামে পরিচিত। এই অভিযানে দুই সন্ধানী যান ব্যবহৃত হবে যারা বুধের কক্ষপথ পরিভ্রমণ করবে। দুটি সন্ধানী যানের একটি বুধের মানচিত্র প্রণয়নের কাজ করবে এবং অপরটি এর [[ম্যাগনেটোস্ফিয়ার]] নিয়ে গবেষণায় ব্যবহৃত হবে। একটি ল্যান্ডার সহ মূল পরিকল্পনাটি করা হয়ে গেছে। ২০১৩ সালে [[রাশিয়া|রাশিয়ার]] [[সয়ুজ লাউঞ্চ ভেহিক্ল|সয়ুজ]] রকেটসমূহ এই সন্ধানী যানটি বহনের কাজ করবে। মেসেঞ্জারের সাথেই বেপিকলম্বো বেশ কয়েকবার বুধের অতি সন্নিকটে যাবে। একইভাবে এটি চাঁদ এবং শুক্র গ্রহের নিকট দিয়ে উড়ে গিয়ে বুধের কক্ষপথে প্রবেশ করার পূর্ব বেশ কয়েকবার এর নিকটবর্তী হবে। আনুমানিক ২০১৯ সালের দিকে এটি বুধের কক্ষপথে প্রবেশ করবে এবং প্রায় এক বছর ধরে একে অধ্যয়ন করবে।
সন্ধানী যান দুটি মেসেঞ্জারের মতই একটি বর্ণালীবীক্ষণ অ্যারে বহন করবে এবং গ্রহটিকে অনেকগুলো তরঙ্গদৈর্ঘ্য্যে পর্যবেক্ষণ করবে। ধর্তব্য তরঙ্গদৈর্ঘ্য্যের মধ্যে রয়েছে [[অবলোহিত]], [[অতিবেগুনী রশ্মি|অতিবেগুণী]], [[রঞ্জন রশ্মি]] এবং [[গামা রশ্মি]]। কার্যকরভাবে বুধ গ্রহ অধ্যয়নের পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা বেপিকলম্বোর মাধ্যমে আরেকটি কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদী। এটি হচ্ছে সূর্যের সাথে সন্ধানী যানটির নৈকট্যকে ব্যবহার করে [[সাধারণ আপেক্ষিকতা]] তত্ত্বের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো পরীক্ষা করা। বেশ নিখুঁতভাবে এটি করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। এই অভিযানটির নামকরণ করা হয়েছে বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী [[গিউসেপ কলম্বো|গিউসেপ (বেপি) কলম্বোর]] (Giuseppe Colombo) নামানুসারে। তিনিই প্রথম সূর্যের সাথে বুধের কক্ষীয় [[রেজোন্যান্স]] নির্ণয় করেছিলেন। এছাড়াও তিনি
== তথ্যসূত্র ==
|