শবে কদর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
{{ইসলামিক সংস্কৃতি}}
'''লাইলাতুল কদর''' ({{lang-ar|لیلة القدر}}) এর অর্থ অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত বা পবিত্র রজনী। আরবি ভাষায় ‘লাইলাতুল’ অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হলো—ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা।<ref name="teknafnews">''[http://www.teknafnews.com/%E0%A6%AA%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A6%B0/ পবিত্র শবে কদর]'', টেকনাফ নিউজ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৫/০৮/২০১২ খ্রিস্টাব্দ।</ref> ইসলাম ধর্ম অনুসারে, এ রাতে ইসলামের মহানবী, [[মুহাম্মদ|মুহাম্মদের]] অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই মুসলমানদের কাছে এই রাত অত্যন্ত পুণ্যময় ও মহাসম্মানিত হিসেবে পরিগণিত। কুরানের বর্ননাবর্ণনা অনুসারে, [[আল্লাহ]] এই রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর উপাসনা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর মাহে রমজানে এই মহিমান্বিত রজনী ''লাইলাতুল কদর'' মুসলিমদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে বলে তারা বিশ্বাস করে।<ref name="kalerkant">''[http://www.kalerkantho.com/print_edition/index.php?view=details&archiev=yes&arch_date=15-08-2012&type=gold&data=news&pub_no=975&cat_id=0&menu_id=0&news_type_id=3&index=6#.Ufvnjm2b8k0 পবিত্র শবে কদর আজ]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}'',দৈনিক কালের কণ্ঠ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৫ আগস্ট ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।</ref><ref name="businesstimes24">''[http://www.businesstimes24.com/?p=72444 আজ পবিত্র শবে কদর]'',বিজনেসটাইমস২৪.কম। প্রকাশের তারিখ: ১৫-০৮-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।</ref>
<ref name="Sahih Bukhari">''[http://www.sahih-bukhari.net/47/ সহীহ বুখারী]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}'',সহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ ০২, পর্বঃ ঈমান, হাদিস নাম্বারঃ ৪৭</ref>
 
৮ নং লাইন:
মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এই রাত সর্ম্পকে [[হাদিস]] শরীফে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। এমনকি মুসলমানদের প্রধান ধর্মী গ্রন্থ [[কুরআন|আল কোরআনে]] [[ক্বদর|সূরা ক্বদর]] নামে স্বতন্ত্র একটি পূর্ণ সুরা নাজিল হয়েছে। এই সুরায় শবে কদরের রাত্রিকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।<ref name="dhakanewsagency">''[http://dhakanewsagency.com/?p=15205 আজ পবিত্র শবে কদর]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}'', ঢাকা নিউজ এজেন্সি। প্রকাশের তারিখ: ১৫-০৮-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।</ref>
 
ইসলাম ধর্ম মতে, মুহাম্মদ এর পূর্ববর্তী নবী এবং তাদের উম্মতগণ দীর্ঘায়ু লাভ করার কারনে বহু বছর আল্লাহর ইবাদাত করার সুযোগ পেতেন। কোরান ও হাদীসের বর্ননায়বর্ণনায় জানা যায়, ইসলামের চার জন নবী যথা আইয়ুব, জাকরিয়া , হিযকীল ও ইউশা ইবনে নূন প্রত্যেকেই আশি বছর স্রষ্টার উপাসনা করেন এবং তারা তাদের জীবনে কোন প্রকার পাপ কাজ করেননি।<ref name="dailynewsylhet">''[http://www.dailynewsylhet.com/?p=8909 মহিমান্বিত রজনী শবে-কদর]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}'',শাহ মো. ইমাদ উদ্দিন নাসিরী, দৈনিক নিউ সিলেট। প্রকাশের তারিখ: ১৩-০৮-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।</ref><ref name="coxsbazarnews">''[http://www.coxsbazarnews.net/archives/6422 লাইলাতুল কদরের তাৎপর্য ও শিক্ষা]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}'', কক্সসবাজার নিউজ। প্রকাশের তারিখ: ১৫-০৮-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।</ref> কিন্তু মুহাম্মদ থেকে শুরু করে তার পরবর্তী অনুসারীগণের আয়ু অনেক কম হওয়ায় তাদের পক্ষে স্রষ্টার আরাধনা করে পূর্ববর্তীতের সমকক্ষ হওয়া কিছুতেই সম্ভপর নয় বলে তাদের মাঝে আক্ষেপের সৃষ্টি হয়। তাদের এই আক্ষেপের প্রেক্ষিতে তাদের চিন্তা দুর করার জন্য সুরা ক্বদর নাজিল করা হয় বলে হাদিসের বর্ননায়বর্ণনায় জানা যায়।<ref name="dailykhowai">''[http://www.dailykhowai.com/news/2012/08/15/26198/ আজ রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর]'',দৈনিক খোয়াই। প্রকাশের তারিখ: ১৫-০৮-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।</ref>
 
== ধর্মীয় গুরুত্ব ==
২২ নং লাইন:
''যে ব্যক্তি এ রাত ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করবে, আল্লাহ তাঁর পূর্বেকৃত সব গুনাহখাতা মাফ করে দেবেন।'' (বুখারি)
 
হাদীসের বর্ননাবর্ণনা অনুযায়ী, লাইলাতুল কদরের রজনীতে যে বা যারা আল্লাহর আরাধনায় মুহ্যমান থাকবে, স্রষ্টা তার ওপর থেকে দোজখের আগুন হারাম করে দেবেন। এ সম্পর্কিত হাদীসটি হল, ''সমস্ত রজনী আল্লাহ তাআলা লাইলাতুল কদর দ্বারাই সৌন্দর্য ও মোহনীয় করে দিয়েছেন, অতএব তোমরা এ বরকতময় রজনীতে বেশি বেশি তাসবিহ-তাহলিল ও ইবাদত-বন্দেগিতে রত থাকো।''
অন্য হাদিসে তিনি বলেছেন,
''তোমরা তোমাদের কবরকে আলোকিত পেতে চাইলে মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর রাতে জেগে রাতব্যাপী ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দাও।''<ref name="Prothom alo">''[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-08-15/news/281902 ‘লাইলাতুল কদর’ মহিমান্বিত ও শ্রেষ্ঠ রজনী]'',মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৫-০৮-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।</ref>