আইজাক আসিমভ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২৯ নং লাইন:
ডক্টরেট সম্পন্ন করার পর আসিমভ [[বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়|বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের]] স্কুল অফ মেডিসিনে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। অনেকদিন এখানেই কর্মরতছিলেন। [[১৯৫৮]] সাল থেকে তার শিক্ষকতার ঝোঁক কমে আসে এবং পূর্ণোদ্যমে লেখালেখি শুরু করেন। লেখালেখির মাধ্যমে শিক্ষকতার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ পেতেন। শিক্ষকতার সময়েই তিনি [[সহযোগী অধ্যাপক]] পদ পান এবং [[১৯৭৯]] সালে বিশ্ববিদ্যালয় তার লেখার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাকে জৈব রসায়নের পূর্ণ [[অধ্যাপক]] পদ প্রদান করে। [[১৯৬৫]] থেকে পরবর্তী সময়ে আসিমভের ব্যক্তিগত রচনা ও পত্রাদি [[মুগার মেমোরিয়াল লাইব্রেরি|মুগার মেমোরিয়াল লাইব্রেরির]] সংগ্রহশালায় রক্ষিত আছে। কিউরেটর হাওয়ার্ড গটলিয়েবের অণুরোধে তিনি এই গ্রন্থাগারে কিছু অনুদান দিয়েছিলেন। সেখানে তার রচনাগুলো মোট ৪৬৪টি বাক্স দখল করে আছে এবং তাকটির মোট দৈর্ঘ্য ৭১ মিটার।
 
আসিমভ [[১৯৪২]] সালের [[জুলাই ২৬]] তারিখে গেরট্রুড বালগারম্যানকে ([[১৯১৭]], [[কানাডা]] - [[১৯৯০]], [[বোস্টন]]) বিয়ে করেন। তাদের ঘরে ডেভিড (জ. [[১৯৫১]]) ও [[রবিন আসিমভ|রবিন জোয়ান]] (জ. [[১৯৫৫]]) নামক দুই সন্তানের জন্ম হয়। ১৯৭০ সালে গেরট্রুড ও আসিমভ পৃথক হয়ে যান এবং [[১৯৭৩]] সালে তাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরবর্তী বছর আসিমভ [[জেনেট আসিমভ|জেনেট ও জেপসনকে]] বিয়ে করেন।
 
আসিমভের [[ক্লসট্রোফিলিয়া]] ছিল, অর্থাৎ ছোট আবদ্ধ স্থানে থাকতে ভালবাসতেন। তার আত্মজীবনী গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে উল্লেখ করেছেন, তিনি ছোটবেলায় এমন একটি ম্যাগাজিন স্ট্যান্ডের মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন যা ''নিউ ইয়র্ক সিটি সাবওয়ে'' স্টেশনে অবস্থিত এবং যেখানে তিনি নিজেকে আবদ্ধ রেখে চলমান ট্রেনের শব্দ শুনতে পাবেন। আসিমভের উড্ডয়ন ভীতি ছিল। জীবনে মাত্র দুবার তিনি বিমানে চড়েছেন। একবার স্যাভাল এয়ার এক্সপেরিমেন্টাল স্টেশনে কাজ করার সময় এবং আরেকবার [[১৯৪৬]] সালে ওয়াহু সামরিক ঘাঁটি থেকে বাড়ি ফেরার সময়। জীবনে খুব কমই অনেক দূরত্ব অতিক্রম করেছেন। কারণ বিমান ছাড়া বিশাল দূরত্ব ভ্রমণ সুবিধাজনক ছিলনা, আর তিনি বিমানে চড়তে চাইতেন না। এই ভীতিটি তার বেশ কিছু কল্পকাহিনী রচনায় ছাপ ফেলেছে। যেমন, ''ওয়েন্ডেল উর্‌থ'' নামক রহস্য গল্পসমূহ এবং [[এলিজাহ বেলি]] সম্বন্ধীয় রোবট গল্পসমূহ। জীবনের শেষ বছরগুলোতে তিনি প্রমোদ জাহাজে করে ভ্রমণে বেশ মজা পেয়ে যান। পরবর্তীকালে এ ধরনের ভ্রমণে অনেক সময় ব্যয় করেছেন এবং জাহাজে চড়ে থাকা অবস্থায়ে বেশ কিছু বিজ্ঞান বক্তৃতা দিয়েছেন, যেমন [[আরএমএস কুইন এলিজাবেথ ২]] জাহাজে চড়ে। তিনি অসাধারণ জনপ্রিয় বিনোদন ব্যক্তিত্ব এবং বক্তা ছিলেন। তার সময় জ্ঞান ছিল প্রখর, কখনও ঘড়ি দেখতেন না, কিন্তু সময় বলে দিতে পারতেন প্রায় নিখুঁত।