ভারতীয় সংবিধানের সংশোধনীসমূহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১৩৪ নং লাইন:
| ১৯৭১
| ২৫তম সংশোধন
| [[২০ এপ্রিল]]
| সরকারি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়টি সংশোধন করা হয়।
|-
১৪৪ নং লাইন:
| ১৯৭১
| ২৭তম সংশোধন
| [[১৫ ফেব্রুয়ারি]]
| উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পুনর্বিন্যাসের বন্দোবস্ত করা হয়।
|-
| ১৯৭১
| ২৮তম সংশোধন
| [[২৯ আগস্ট|২৯ অগস্ট]]
| ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে নিযুক্ত কর্মচারীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা অবলুপ্ত করা হয়।
|-
|
| ২৯তম সংশোধন
| [[৯ জুন]]
| [[কেরল]] রাজ্যের দুটি ভূমিসংস্কার আইন সংবিধানের নবম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
|-
|
| ৩০তম সংশোধন
| [[২৭ ফেব্রুয়ারি]] [[১৯৭৩]]
২২০ নং লাইন:
| ৪২তম সংশোধন বা ক্ষুদ্র সংবিধান
| [[৩ জানুয়ারি]] [[১৯৭৭]], [[১ এপ্রিল]] [[১৯৭৭]]
| এই সংশোধনের ভারতের সংবিধানের বৃহত্তম সংশোধন। প্রধানমন্ত্রী [[ইন্দিরা গান্ধী|ইন্দিরা গান্ধীর]] আমলে কৃত এই সংশোধনের বাহুল্যের কারণে এটিকে ক্ষুদ্র সংবিধান বা মিনি-কনস্টিটিউশন আখ্যা দেওয়া হয় : <br />এই সংশোধনে [[ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা|প্রস্তাবনায়]] ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দদুটি যোগ করে ভারতকে একটি ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ রূপে ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া প্রস্তাবনায় ‘ঐক্য’-এর পরে ‘সংহতি’ শব্দটিও যুক্ত হয়। <br /> নির্দেশমূলক নীতির আলোচ্য বিষয়ে সংখ্যা বাড়ানো হয়। বেশ কয়েকটি নতুন বিষয় যুক্ত করা হয় : শিশুদের সুস্থ ও স্বাধীনভাবে এবং মর্যাদার সঙ্গে বেড়ে উঠতে পারার জন্য সমান সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করা, সমান সুযোগের ভিত্তিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়ন, শিল্প পরিচালন ক্ষেত্রে শ্রমিকদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা, পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ এবং দেশের অরণ্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। এই সংশোধনীবলে উক্ত অংশগুলি সংযোজনের জন্য সংবিধানের ৩৯ নং ধারা সংশোধন করা হয় এবং মৌলিক অধিকারের উপর নির্দেশমূলক নীতির প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। <br /> মূল সংবিধানে নাগরিকদের কোনও কর্তব্যের উল্লেখ ছিল না। এই সংশোধনীবলে ভারতীয় নাগরিকদের ১০টি কর্তব্যের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়। <br /> এই সংশোধনী বলে ভারতের রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদা ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ের কয়েকটি গুণগত পরিবর্তন করা হয়। মূল সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতিকে সাহায্য ও পরামর্শদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরিচালনাধীন একটি মন্ত্রিপরিষদের অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়েছিল; কিন্তু রাষ্ট্রপতি যে উক্ত মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য, সেকথার উল্লেখ ছিল না। ৪২তম সংবিধান সংশোধনে স্পষ্টরূপে উল্লিখিত হয় যে রাষ্ট্রপতি তার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদের সাহায্য ও পরামর্শ গ্রহণে বাধ্য। <br />লোকসভা ও রাজ্যসভার মেয়াদ ছয় বছর করা হয়। স্থির হয়
|-
| [[১৯৭৭]]
৪০২ নং লাইন:
| ভূমিসংস্কার ও উপজাতি এবং অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের জন্য লোকসভা ও বিধানসভায় আরও ১০ বছরের আসন সংরক্ষণের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
|-
|
| ৭৯তম সংশোধন
| [[২৫ জানুয়ারি]]
| তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের জন্য লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় প্রতিনিধি মনোনয়নের মেয়াদ ১০ বছর বৃদ্ধি করা হয়।
|-
|
| ৮০তম সংশোধন
| [[৯ জুন]]
| এই সংবিধান সংশোধনী আইনবলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে আদায়ীকৃত করের বণ্টনে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
|-
|
| ৮১তম সংশোধন
| [[৯ জুন]]
| এই সংবিধান সংশোধনী আইনবলে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসন কোনও বছর পূরণ না হলে যাতে তা পরবর্তী বছরগুলিতে পূরণ করা যায়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে সর্বোচ্চ ৫০% সংরক্ষিত পদ পূরণের যে নিয়ম আছে তার মধ্যে ওই তালিকায় পূরণ হওয়া পদগুলিকে না ধরার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।
|-
|
| ৮২তম সংশোধন
| [[৮ সেপ্টেম্বর]]
| এই সংবিধান সংশোধনী আইনবলে তফসিলি জাতি ও উপজাতির জন্য পরীক্ষা বা চাকরির ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতায় ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলি যাতে সংবিধানের ৩৫৫ নং ধারায় বাধাপ্রাপ্ত না হয়, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
|-
|
| ৮৩ তম সংশোধন
| [[৮ সেপ্টেম্বর]]
| সংবিধানের ২৪৩-এম ধারা সংশোধিত করে অরুণাচল প্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তফসিলি জাতি ও উপজাতির জন্য আসন সংরক্ষণ ব্যবস্থা না রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই রাজ্যের সমগ্র জনসংখ্যাই উপজাতি শ্রেণিভুক্ত।
|-
|