ষড়যন্ত্র তত্ত্ব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪ নং লাইন:
 
== পদটির ব্যবহার ==
মানুষ ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উদ্ভব ঘটায় সামাজিক কিছু সংগঠন এবং তাদের সাথে চিরপরিচিত অশুভ শক্তির ক্ষমতার সম্পর্ক বোঝাতে। এ তত্ত্বগুলোর পেছনে মূলত মনস্তাত্ত্বিক এবং সামজিক-রাজনৈতিক উৎস থাকে। প্রস্তাবিত মানসিক উৎসের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অভিক্ষেপ, অর্থাৎ "একটি নির্দিষ্ট ঘটনাকে নির্দিষ্ট কারন দ্বারা ব্যাখা করার মানসিক আকাঙ্ক্ষা।" এবং অনূরুপ কিছু মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার বহিঃপ্রকাশ, যেমন- ভ্রম বাতুলতা, মৃদু থেকে তীব্র মানসিক জটিলতা। কোন কোন বিশ্লেষক আবার সামাজিক-রাজনৈতিক কারনকে গুরুত্ব দিয়েছেন, এই ভিত্তিতে যে এলোমেলো, অনির্দেশ্য, ব্যাখাতীত ঘটনা থেকে উদ্ভূত ব্যাক্তিগতব্যক্তিগত অনিরপত্তাবোধ থেকেও এর উতপত্তি হতে পারে। কোন কোন দার্শনিক আবার মত প্রকাশ করেছেন যে ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস করার পেছনে যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে।
 
== ইতিহাস ==
২৪ নং লাইন:
 
== ষড়যন্ত্র বনাম ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ==
কেথরিন কে ইয়াং লিখেছেন, " প্রত্যেকটি প্রকৃত ষড়যন্ত্রের চারটি বৈশিষ্ট্য থাকে- এটি কোন দলবদ্ধ ব্যাক্তিদেরব্যক্তিদের দ্বারা সংগঠিত হবে, বিচ্ছিন্ন কোন ব্যাক্তিরব্যক্তির দ্বারা নয়। সমাজের সার্বিক উপকারে আসে এমন কোন উদ্দেশ্যবিহীন বরং অশুভ এবং বেআইনি উদ্দেশ্য বিদ্যমান। কৃত ঘটনাগুলো হয় খুব গোছালো ধরণের, বিচ্ছিন্ন এবং স্বতঃস্ফুর্ত নয়। গোপনে চক্রান্ত চলে, প্রকাশ্য আলোচনা নয়।"
 
যে ষড়যন্ত্রগুলোর সত্যতা পাওয়া গেছে যেমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং তার সহযোগিদের ওয়াটারগেট স্ক্যান্ডাল ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা ; একে ষড়যত্র তত্ত্ব না বলে বরং "অনুসন্ধানমূল্ক সাংবাদিকতা" বা "ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ" বলা হয়। অপরদিকে, "ওয়াটারগেট ষড়যন্ত্র তত্ত্ব" প্রকৃতপক্ষে ওয়াটারগেট ষড়যন্ত্রে যুক্ত ব্যক্তিরা যে আসলে নিজেরাই আরেক গভীর ষড়যন্ত্রের স্বীকার তা বোঝানো হয়।
৩২ নং লাইন:
 
=== '''প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা থেকে পৃথকীকরণ''' ===
নোয়াম চমস্কি প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা থেকে ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে আলদা করেন। প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্লেষণ সাধারণত জনসাধারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে, জনবিদিত এবং প্রকাশ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘমেয়াদী আচরণ বিশ্লেষণ করে বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক তত্ত্ব উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিচ্ছিন্ন কিছু ব্যাক্তিবর্গেরব্যক্তিবর্গের গোপন চক্রান্ত নিয়ে গবেষণা করে।
 
=== '''মনস্তত্ত্ব''' ===
৮২ নং লাইন:
কন্সপিরেসিসম আমেরিকা এবং অন্যান্য অঞ্চলের বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের চাহিদার যোগান দেয়। এটি অভিজাতদের আর্থ-সামাজিক ধবসের পেছনে দায়ী করে,এবং সাথে সাথে এও ধারণা করে যে, গণপদক্ষেপ এর মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা গেলে তবেই সুসময় আসবে। এমন করে কন্সপিরেসিসম কোন বিশেষ আদর্শের ওপর দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করে না।
 
মানব ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সামাজিক এবং রাজনৈতিক উচ্চ ক্ষমতাধর ব্যাক্তিরাব্যক্তিরা নানা গণহত্যা এবং দুর্বিপাকের পেছনে দায়ী। এমনকি তারা নিজেরা কিছু ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িয়ে একই সাথে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের প্রচার করে গিয়েছেন নিজেদের লক্ষ বাস্তবায়নের জন্য। হিটলার এবন স্ট্যালিন দাবি করত যে তারা যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে তারা রাষ্ট্রের অমঙ্গল সাধনে চক্রান্ত করে চলছে। এমনকি অনেক প্রকৃত ষড়যন্ত্রকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল, যা পরবর্তিতে সত্য প্রমানিত হয়। তবে ইতিহাস যে কোন এক দির্ঘমেয়াদী চক্রান্ত দ্বারা চালিত তা ইতিহাসবিদ ব্রুস কামিংস এর দ্বারা প্রত্যাখ্যাত।
 
তবুও যদি সত্যিকার অর্থে যদি ষড়যন্ত্রের অস্তিত্ব থাকে, তা ইতিহাসকে সামান্যই নাড়া দেয়। এগুলো প্রান্তীয় কিছু পরিবর্তন আনলেও তা মূলত চক্রান্তকারীদের চক্রান্তের উপজাত হিসেবে আসে যা এর রচয়িতারাও অনুমান করতে পারে না। ইতিহাস মূলত বৃহৎ শক্তি এবং সংগঠিত মানব অবকাঠামোর দ্বারা চালিত হয়।
১১১ নং লাইন:
কোন কোন ইতিহাসবিদ এর মতে, ষড়যন্ত্র ভাবাপন্ন মনোভাব এর সাথে মানসিক অভিক্ষেপ কিছুটা সংশ্লিষ্ট। তাদের প্রদত্ত যুক্তি অনুযায়ী,এই অভিক্ষেপ উদ্ভাসিত হয় নিজের ভেতর সুপ্ত অসৎ গুনাবলিগুলোকে ষড়যন্ত্রকারীদের চরিত্রে আরোপণ করে। রিচার্ড হফস্টাটার বলেন,
 
"এটি স্পষ্টতই বোঝা যায় যে, এ গুপ্ত শত্রুটি আসলে ব্যাক্তিচরিত্রেরইব্যক্তিচরিত্রেরই একাংশের প্রতিরূপ। ব্যাক্তিচরিত্রেরব্যক্তিচরিত্রের সকল মন্দ ও অগ্রহনযোগ্য দিকগুলো দিয়ে তাকে চরিত্রায়িত করা হয়। প্রতিপক্ষ সর্বজনীন বুদ্ধিজীবী হতে পারে বটে , তবে ভ্রমগ্রস্তরা তাকে বিদ্যাবেত্তায় ছাড়িয়ে যাবার ভ্রমে নিমজ্জ থাকে। কু ক্লুক্স ক্ল্যান যেমন ক্যথলিসিসম এর অনুকরণে তাদের পুরোহিতদের মত বেশভূষা গ্রহন করেছিল, এছাড়া ক্যাথলিকদের ন্যায় অঙ্গশাখার সম্প্রসারন এবং আচার-প্রথার বিকাশ ঘটিয়েছিল। জন বার্ক সোসাইটি কমিউনিস্ট সেল এর অনুকরণে এবং সম্মুখভাগের অংশ দ্বারা আপাতদৃষ্টিতে গোপন ক্রিয়াকলাপ চালিয়ে নিজেদের সাথে আদর্শগত দ্বন্দ্বে লিপ্ত সাম্যবাদী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর উদ্যোগের আহবান জানায়। বিভিন্ন গোঁড়া সমাজতন্ত্রবিরোধী সংগঠনের মুখপাত্ররা জনসমক্ষে সাম্যবাদবিরোধী আন্দোলন এর বিরুদ্ধে নিষ্ঠার সাথে কাজ করাকে প্রশংসিত করেছেন। "
 
হফস্টাটার আরো উল্লেখ করেন যে, কলঙ্ক হিসেবে " যৌন স্বাধীনতা " দ্বারা প্রতিপক্ষকে প্রায়ই কলঙ্কায়িত করা হয়। তিনি এও বলেন যে," অধিকাংশ ক্ষেত্রে এরুপ বিশ্বাসীরা স্পষ্টভাবে মর্ষকামি গোছের হয়। যেমন মেসন-বিরোধীরা মেসনিক শাস্তির কথা ভেবে পুলক বোধ করে।
১১৮ নং লাইন:
 
=== এপিস্টেমিক বাইয়াস ===
ব্রিটিশ মনোবৈজ্ঞানিক সংস্থা অনুসারে এমনটি সম্ভব যে, কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে মানুষ জ্ঞানের ব্যাপারে পক্ষপাতদুষ্ট ভাব প্রকাশ করছে। তাদেরই চালিত এক জরিপে দেখা গেছে যে, মানুষেরা থাম্ব রুল ব্যবহার করে যা তাদের মনে এই ধারণা তৈরী করে যে, কোন নির্দিষ্ট ঘটনার পেছনে কোন নির্দিষ্ট কারণ থাকতে হবে। তারা জরিপে অংশগ্রহনকারীদের একই প্রেক্ষাপটে চার রকম ঘটনার বিবরণ করেন। একজন বিদেশী রাষ্ট্রপতি আততায়ীর হাতে ১)নিহত হয়েছেন, ২)আহত হয়েছেন, ৩) আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সেরেও উঠেছেন তবে পরবর্তিতে কোন এক সময় হৃদরোগে মৃত্যুবরন করেন, ৪) আঘাতপ্রাপ্ত হন নি। অংশগ্রহনকারীরা গুরু ঘটনাগুলোতে সন্দেহ জমাতে শুরু করে, অর্থাৎ যেগুলোতে রাষ্ট্রপতি মারা যায়। যদিও চারটি ঘটনার পেছনেই সমপরিমান প্রমান বিদ্যমান। এপোফেনিয়া, মানুষের একটি স্বাভাবিক জেনেটিক বৈশিষ্ট্য যা তাকে বিভিন্ন দৈবাৎ ঘটনার পেছনে প্যাটার্ন সন্ধানের প্রবণতা তৈরী করে, তাই মূলত বিভিন্ন ঘটনার আড়ালে ব্যাক্তিকেব্যক্তিকে ষড়যন্ত্রের আভাস দেয়।
 
আরেক এপিস্টেমিক " রুল অফ থাম্ব " এই অর্থে প্রয়োগ করা যেতে পারে যে, কোন নির্দিষ্ট ঘটনা কাদের লাভবান করছে?-এই প্রশ্নের উত্তর করে। গুপ্ত অভিসন্ধি এর পেছনে এই সংবেদনশীলতাকে মানুষের দীর্ঘদিনের বিবর্তন এর ফসল হিসেবে ধরা হয়।
১৪২ নং লাইন:
 
=== গণমাধ্যমের অলংকরন ===
গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে এক প্রবণতা কাজ করে, তারা কোন ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা বুঝতে গিয়ে তারা ব্যাক্তিবিশেষেরব্যক্তিবিশেষের দৃষ্টিকোণ বিবেচনা করে উপসংহারে আসে, কোন সাংগঠনিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্লেষণ এর মধ্য দিয়ে না গিয়ে। এতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, উক্ত গণমাধ্যম এর ভোক্তাদের নাটকীয়, আকর্ষণীয় খবর গুলো বেশি গ্রহণীয় হয়ে থাকে এবং অধিকাংশ সংবাদকর্মীরাও সংবাদ তৈরীর সময় এ ব্যপারগুলো মাথায় রেখে সংবাদ এ নামে।
 
আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে যে,