বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৬ নং লাইন:
জামায়াতে ইসলামী, জেনারেল [[আইয়ুব খান]] সামরিক আইন ঘোষণার সময় পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে এবং ১৯৬৫ সালে সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক জোট গঠিত হয়।
 
পরবর্তীতে [[আওয়ামী লীগ]] প্রদত্ত ছয় দফা এবং মাওলানা [[আবদুল হামিদ খান ভাসানী]] ঘোষিত ১১ দফার তারা তীব্র বিরোধিতা করে। [[১৯৭০]] সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী পশ্চিম পাকিস্তানে ৪ টি আসন লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধকালীন [[১৯৭১]] সালের ৩ সেপ্টেম্বর ডাঃ আব্দুল মালিক কে গভর্নর করে ১৭ই সেপ্টেম্বার একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://profile-bengal.com/mnnews/sep01.html#dr_a_m_malik |শিরোনাম=profile-bengal.com |প্রকাশক=profile-bengal.com |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2014-06-24 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20090106021525/http://profile-bengal.com/mnnews/sep01.html#dr_a_m_malik |আর্কাইভের-তারিখ=২০০৯-০১-০৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> সে সরকারের মন্ত্রী সভায় পরবর্তীকালে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর [[আব্বাস আলী খান]] ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://profile-bengal.com/mnnews/sep18.html#ten_member_council |শিরোনাম=profile-bengal.com |প্রকাশক=profile-bengal.com |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2014-06-24 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20090105234404/http://profile-bengal.com/mnnews/sep18.html#ten_member_council |আর্কাইভের-তারিখ=২০০৯-০১-০৫ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
=== বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ (১৯৭১) ===
[[১৯৭১]] সালে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা করে। জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে [[রাজাকার]], [[আলবদর]], [[আলশামস্]] প্রভৃতি বাহিনী গড়ে তোলে। এরা পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে কাজ করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে এই দলের সদস্যরা হত্যা, ধর্ষন, লুটপাট, সংখ্যালঘু নির্যাতন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে জোড়পূর্বক ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা, ১৪ই ডিসেম্বর [[১৯৭১ বাঙালি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড|বুদ্ধিজীবী হত্যকান্ডে]] জড়িত থাকা সহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ [[আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল|আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে]] প্রমাণিত হয়েছে এবং এসব অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতাকর্মীকে মৃত্যুদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে ।<ref>[http://www.thedailystar.net/beta2/news/quader-mollah-buried-in-faridpur/ ''quader-mollah-buried-in-faridpur''] ''The Daily Star''</ref><ref>[http://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/asia/bangladesh/10423362/British-Muslim-leader-sentenced-to-death-in-Bangladesh.html "''British Muslim leader sentenced to death in Bangladesh"'']</ref>
 
[[মার্চ ২৫|২৫ মার্চ]] রাতে সংঘটিত [[অপারেশন সার্চলাইট]] এর ছয় দিন পর [[গোলাম আযম]] ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে একটি ভাষণ দেন। এ ভাষণে তিনি [[ভারত|ভারতের]] কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, " ভারত সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ করে কার্যত পূর্ব পাকিস্তানীদের দেশপ্রেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে।...আমি বিশ্বাস করি যে, এই অনুপ্রবেশকারীরা পূর্ব পাকিস্তানী মুসলমানদের নিকট হতে কোন প্রকার সাহায্য পাবে না।<ref>দৈনিক সংগ্রাম, ৭ এপ্রিল ১৯৭১</ref>
 
[[জুন ৩০|৩০ জুন]] [[লাহোর|লাহোরে]] সাংবাদিকদের কাছে [[গোলাম আযম]] বলেন, "তাঁর দল পূর্ব পাকিস্তানে দুস্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) তৎপরতা দমন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এবং এ কারণেই দুস্কৃতকারীদের হাতে বহু জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছে। [[১৯৭১]] সালের [[এপ্রিল ১০|১০ এপ্রিল]] [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] অখন্ডতা রক্ষার উদ্দেশ্য ঢাকায় শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। এর সদস্য ছিলেন পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা।ব্যক্তিত্বরা। গোলাম আযম ও এই কমিটির সদস্য ছিলেন।{{cn}}
 
[[১৯৭১]] সালের [[সেপ্টেম্বর ৫|৫]] ও [[সেপ্টেম্বর ৬|৬ সেপ্টেম্বর]] দৈনিক সংগ্রাম এ গোলাম আযমের পশ্চিম পাকিস্তান সফরকালের একটি সাক্ষাৎকারের পূর্ণ বিবরণ দুই কিস্তিতে ছাপা হয়। এই সাক্ষাতকারে তিনি মুক্তিবাহিনীর সাথে তার দলের সদ্স্যদের সংঘর্ষের বিভিন্ন বিবরণ ও পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থতির ওপর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন "বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জামায়াতকে মনে করতো পহেলা নম্বরের দুশমন। তারা তালিকা তৈরি করেছে এবং জামায়াতের লোকদের বেছে বেছে হত্যা করছে, তাদের বাড়িঘর লুট করছে জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। এতদসত্বেও জামায়াত কর্মীরা রেজাকারে ভর্তি হয়ে দেশের প্রতিরক্ষায় বাধ্য। কেননা তারা জানে 'বাংলা দেশে' ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কোন স্থান হতে পারে না। জামায়াত কর্মীরা শহীদ হতে পারে কিন্তু পরিবর্তিত হতে পারে না।"<ref>দৈনিক সংগ্রাম ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১</ref>
 
[[আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল]] কর্তৃক ইতোমধ্যেই এই সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকে ১৯৭১ সালে [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে]] মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ফাঁসি ও অন্যান্য দন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।