আবদুল কাদের সিদ্দিকী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২৫ নং লাইন:
 
== জন্ম ও শিক্ষা ==
আবদুল কাদের সিদ্দিকীর পৈতৃক বাড়ি [[টাঙ্গাইল জেলা|টাঙ্গাইল জেলার]] [[কালিহাতি উপজেলা|কালিহাতি উপজেলার]] ছাতিহাটি গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল আলী সিদ্দিকী, মায়ের নাম লতিফা সিদ্দিকী এবং স্ত্রীর নাম নাসরীন সিদ্দিকী। তাদের এক ছেলে, এক মেয়ে। [[১৯৭১]] সালে শিক্ষার্থী ছিলেন। সামরিক প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। স্কুলে পড়াকালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে সেনাবাহিনীতে কিছুদিন চাকরি করে [[১৯৬৭]] সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আবার শিক্ষাজীবনে ফিরে যান। [[মুক্তিযুদ্ধ]] শুরু হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। <ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-27/news/316474 দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ২৫-১২-২০১২]</ref>
 
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
{{মূল|কাদেরিয়া বাহিনী}}
[[File:কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র জমাদান.jpg|thumb|right|220px|যুদ্ধের পর কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র জমাদান]]
আবদুল কাদের সিদ্দিকী [[১৯৭১]] সালে [[মুক্তিযুদ্ধ]] শুরু হলে টাঙ্গাইলে গঠিত বিশেষ সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হন। এ বাহিনীর নেতৃত্বে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ছাড়াও ছিলেন আনোয়ার-উল-আলম শহীদ, এনায়েত করিমসহ অনেকে। প্রাথমিক পর্যায়ে টাঙ্গাইলে তারা [[পাকিস্তান]] সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধ করেন। টাঙ্গাইলের প্রতিরোধযোদ্ধারা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পুরো বাহিনী টাঙ্গাইলের প্রত্যন্ত এলাকা সখীপুরে চলে যান। সেখানে শুরু হয় এ বাহিনীর পুনর্গঠন-প্রক্রিয়া এবং রিক্রুট ও প্রশিক্ষণ। পরবর্তীকালে এ বাহিনীরই নাম হয় ‘কাদেরিয়া বাহিনী’। মুক্তিযুদ্ধকালে আবদুল কাদের সিদ্দিকী দক্ষতা এবং সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা টাঙ্গাইলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি অসংখ্য যুদ্ধ ও অ্যাম্বুশ করেন। এর মধ্যে ধলাপাড়ার অ্যাম্বুশ অন্যতম। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার অন্তর্গত ধলাপাড়ায় [[১৬ আগস্ট]] আবদুল কাদের সিদ্দিকী ধলাপাড়ার কাছাকাছি একটি স্থানে ছিলেন। তিনি খবর পান, তাদের তিনটি উপদল পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঘেরাও করেছে। তাদের সাহায্য করার জন্য তিনি সেখানে রওনা হন। আবদুল কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ১০ জন। এই ১০জন সহযোদ্ধা নিয়ে পাকিস্তানিরা যে পথ দিয়ে পিছু হটছিল, সে পথে অবস্থান নেন তিনি। পাকিস্তানি সেনারা সংখ্যায় ছিল অনেক বেশি। তবে বিচলিত না হয়ে নিজের দুর্ধর্ষ প্রকৃতির সহযোদ্ধাদের নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। ১টা বেজে ২০ মিনিটে পাকিস্তানি সেনারা তাদের অ্যাম্বুশে প্রবেশ করে এবং চল্লিশ গজের মধ্যে আসামাত্র কাদের সিদ্দিকী এলএমজি দিয়ে প্রথম গুলি শুরু করেন। একই সময় তার সহযোদ্ধাদের অস্ত্রও গর্জে ওঠে। নিমেষে সামনের কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বাকি সেনারা প্রতিরোধে না গিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে। এ দৃশ্য দেখে কাদের সিদ্দিকী উত্তেজিত হয়ে উঠে দাঁড়িয়ে এলএমজি দিয়ে পলায়নরত পাকিস্তানি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন। তার সহযোদ্ধারাও উঠে দাঁড়িয়ে গুলি শুরু করেন। এ সময় হঠাৎ পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া গুলি ছুটে আসে আবদুল কাদের সিদ্দিকীর দিকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি। তারপরও তিনি দমে যাননি। আহত অবস্থায় যুদ্ধ চালিয়ে যান। যুদ্ধ শেষে সহযোদ্ধারা তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেদিন তাদের হাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রায় ৪০ জন হতাহত হয়।
 
== ১৯৭৭ থেকে ১৯৯০ ভারতে স্বেচ্ছানির্বাসন ==
৩৮ নং লাইন:
তিনি বর্তমানে [[কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ]]-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশ নিতে [[৮ নভেম্বর]] [[২০১৮]] সালে ড. [[কামাল হোসেন|কামাল হোসেনের]] নেতৃত্বে জাতীয় [[ঐক্যফ্রন্ট|ঐক্যফ্রন্টে]] যোগদান করেন। ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরীক ছিলো [[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল]]। এ জোটের মাধ্যমে তার দল ও তিনি ধানের শীষ প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। <ref name="prothom alo">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ঐক্যফ্রন্টে কাদের সিদ্দিকী |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1563944/%E0%A6%90%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%80 |সংগ্রহের-তারিখ=৮ জুন ২০১৯ |এজেন্সি=[[প্রথম আলো]] |তারিখ=৮ নভেম্বর ২০১৮}}</ref>
 
==ব্যাক্তিগতব্যক্তিগত জীবন==
কাদের সিদ্দিকী নাসরিন সিদ্দিকীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bdnews24.com/bangladesh/2014/11/13/wanted-kader-siddiqui-waiting-for-police-at-home|শিরোনাম=Wanted Kader Siddiqui waiting for police at home|সংগ্রহের-তারিখ=2018-08-21|তারিখ=2014-11-13|কর্ম=bdnews24.com}}</ref> তার বড় ভাই [[আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী|আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীও]] [[আওয়ামী লীগ|আওয়ামী লীগের]] [[রাজনীতিবিদ]] ও সাবেক [[সংসদ সদস্য]]। তিনি [[দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৪|দশম সংসদে]] ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । <ref name=latif>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/latif-expelled-from-al-47261|শিরোনাম=Latif expelled from AL|তারিখ=2014-10-25|কর্ম=The Daily Star|সংগ্রহের-তারিখ=2018-08-21|ভাষা=en}}</ref> ২০১৫ সালে তিনি দলের পক্ষ থেকে বহিষ্কৃত হন। তার দুই ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকী এবং আজাদ সিদ্দিকী।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/news-detail-66068|শিরোনাম=Four Siddiqui brothers to run in Tangail-3,4,5,8|তারিখ=2008-12-04|কর্ম=The Daily Star|সংগ্রহের-তারিখ=2018-08-21|ভাষা=en}}</ref>