ওয়াহিদা রেহমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২১ নং লাইন:
 
== বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান ==
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ্চ রাত্রিতে বাংলাদেশে গণহত্যা শুরু হলে মুম্বইয়ের অধিকাংশ সংবাদপত্র এর সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। মুম্বাইয়ের পেশাজীবী সচেতন মানুষ বাংলাদেশে গণহত্যার প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হন। বাংলাদেশকে সহায়তা করার লক্ষ্যে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে তারা মুম্বাইয়ের সাংবাদিক সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসায় সমবেত হন। সভায় আলোচনাক্রমে মহারাষ্ট্রে ‘বাংলাদেশ এইড কমিটি’ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি ও অনারেরি সেক্রেটারি মনোনীত হন যথাক্রমে মুম্বাইয়ের ব্যবসায়ী হরিশ মহেন্দ্র, সাংবাদিক সলিল ঘোষ এবং ওয়াহিদা রেহমান। কমিটি মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দানের লক্ষ্যে নানাবিধ ভূমিকা গ্রহণ করে এবং সেখানে ওয়াহিদা রেহমানের ছিল অতুলনীয় অবদান। ওয়াহিদা রেহমানকে [[বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার]] একটি চিঠি পাঠায়। চিঠির বার্তাবাহক [[নূরুল কাদির|নূরুল কাদিরের]] মুখে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অত্যাচার ও গণহত্যার বিবরণ শুনে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বার্তাবাহককে মহারাষ্ট্রের তৎকালীন গভর্নর এবং বাংলাদেশ এইড কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক নবাব আলী ইয়ার জংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেন। তিনি স্বল্পতম সময়ে মুম্বাই চেম্বার অব কমার্স অ্যাণ্ড ইণ্ডাাস্ট্রিজের সভাপতি, মুম্বাই হাইকোর্টের ব্যারিস্টার, প্রখ্যাত ইংরেজি সাপ্তাহিক [[ব্লিৎজ]] সহ মুম্বইয়ের বিভিন্ন সংবাদপত্রের সম্পাদকের কাছে ফোন করে, কখনও সরাসরি গিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনে তৎপরতা চালান। বুদ্ধিজীবী, শিল্পপতি, সম্পাদক এবং মহারাষ্ট্র প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিকর্তাব্যক্তি, যাদের ওপর ওয়াহিদা রহমানের ছিল প্রচ্ছন্ন প্রভাব, তাদের কাছেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন আদায়ের জন্য যান। তিনি অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতায় বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে জনমত গঠন ছাড়াও মুম্বাইয়ের চলচ্চিত্রাঙ্গনের সবাইকে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তায় এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করেন।
 
== পুরস্কার ==