তাজউদ্দীন আহমদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৫ নং লাইন:
| order = বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
| president = [[শেখ মুজিবুর রহমান]],<br />[[সৈয়দ নজরুল ইসলাম]] ''(ভারপ্রাপ্ত)''
| term_start = [[১১ই এপ্রিল]],
| term_end = [[১২ই জানুয়ারি]], [[১৯৭২]]
| successor = [[শেখ মুজিবুর রহমান]]
২০ নং লাইন:
}}
'''তাজউদ্দীন আহমদ''' (২৩ জুলাই ১৯২৫ - ৩ নভেম্বর ১৯৭৫) [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] প্রথম [[বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকা|প্রধানমন্ত্রী]] ও [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|স্বাধীনতা সংগ্রামের]] অন্যতম নেতা। তিনি
তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন যা [[মুজিবনগর সরকার]] নামে অধিক পরিচিত। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসাবে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হবার পর আরও তিনজন জাতীয় নেতাসহ তাকে বন্দী করে [[ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার|ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে]] রাখা হয়। সেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর বন্দী অবস্থায় ঘাতকের বুলেটে তিনি নিহত হন।
৩৭ নং লাইন:
=== পাকিস্তান আমল ===
[[১৯৪৮]] সালের [[জানুয়ারি ৪|৪ জানুয়ারি]] গঠিত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের (বর্তমানে [[বাংলাদেশ ছাত্রলীগ]]) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৪৮-এর ১১ এবং ১৩ মার্চ সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ধর্মঘট-কর্মসূচী ও বৈঠক করেন৷ ২৪ মার্চ [[মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ]]র সাথে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতারাসহ তিনি বৈঠক করেন৷ তিনি [[১৯৪৯]] সালের [[জুন ২৩|২৩ জুন]] প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। ছিলেন সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য। [[১৯৫৩]] থেকে [[১৯৫৭]] পর্যন্ত ঢাকা জেলা আওয়ামী মুসলিম লীগের ([[১৯৫৫]] সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় আওয়ামী লীগ) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। [[১৯৫৪]]-এর নির্বাচনে তিনি [[যুক্তফ্রন্ট]] প্রার্থী হিসেবে মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদককে পরাজিত করে পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। [[১৯৬৪]] সালে প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং [[১৯৬৬]] সালে [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ|আওয়ামী লীগের]] সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। [[১৯৬৬]] সালের [[ফেব্রুয়ারি ৬|৬ ফেব্রুয়ারি]] [[লাহোর|লাহোরে]] যে সর্বদলীয় নেতৃসম্মেলনে [[শেখ মুজিবুর রহমান]] [[ছয় দফা আন্দোলন|ছয়দফা]] দাবি উত্থাপন করেন, সেই সম্মেলনে শেখ মুজিবের সাথে তিনিও যোগদান করেন। সম্মেলনের বিষয় নির্বাচনী কমিটিতে তাজউদ্দীন ছিলেন অন্যতম সদস্য। এই বছরের [[মে ৮|৮ মে]] তিনি দেশরক্ষা আইনে গ্রেফতার হন। [[১৯৬৮]] সালে জেলে থাকা অবস্থাতেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পুণঃনির্বাচিত হন। [[ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান|৬৯’এর গণঅভ্যুত্থানের]] ফলশ্রুতিতে জেল থেকে মুক্তি পান।
=== মুক্তিযুদ্ধ ===
নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভের পরও [[ইয়াহিয়া খান]] আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করায় [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবের]] ডাকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়।
প্রথমে আত্মরক্ষা তারপর প্রস্তুতি এবং সর্বশেষে পাল্টা আক্রমণ এই নীতিকে সাংগঠনিক পথে পরিচালনার জন্য তিনি সরকার গঠনের চিন্তা করতে থাকেন। তাই তাজউদ্দীন আহমদ আত্মগোপন করেন এবং যুদ্ধকে সংগঠিত করার জন্য সীমান্তের দিকে যাত্রা করেন।
৭০ নং লাইন:
{{বাক্স-ছক শুরু}}
{{ধারাবাহিকতা ছক|পদবী=[[বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী]]| পূর্বসূরী=[[নেই]]|উত্তরসূরী=[[শেখ মুজিবুর রহমান]] |বছর=[[এপ্রিল ১১]],
{{বাক্স-ছক শেষ}}
|