আলীর গুপ্তহত্যা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২৩ নং লাইন:
== পটভূমি ==
{{আরো দেখুন|প্রথম ফিতনা|খলিফা হিসেবে আলী}}
[[মুহাম্মাদ|মুহাম্মদ]], [[ইসলাম]] ধর্মের শেষ [[নবী]] ও [[রাসূল]], এর ওফাতের পর মুসলিম সাম্রাজ্য মুহাম্মদের উত্তারাধিকারী নির্বাচনে নিজেদের মধ্যে পৃথক হয়ে পড়ে। হযরত আলীর হত্যাকান্ডের পিছনে এটি অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছিল। বানি সাইদার মজলিশ আবু বকরকে খলিফা হিসেবে নির্বাচিত করেন।<ref name="Madelung"/>{{rp|৩০–৩২}} খেলাফত নিয়ে বিভিন্নমত রয়েছে। কেউ মনে করেন হযরত মুহাম্মদমুহাম্মাদ খেলাফতের জন্য কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করে যাননি।আরেকটি মতানুসারে গদীরখুমের ভাষণে হযরত মুহাম্মদমুহাম্মাদ হযরত আলীকে তার উত্তারাধিকারী (আধ্যাত্বিক প্রতিনিধি) হিসেবে মনোনীত করেন।<ref name="Dakake">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Dakake|প্রথমাংশ১=Maria Massi|শিরোনাম=The charismatic community : Shiʻite identity in early Islam|তারিখ=2008|প্রকাশক=State University of New York Press|অবস্থান=Albany|আইএসবিএন=978-0-7914-7034-3|ইউআরএল=http://www.sunypress.edu/p-4408-the-charismatic-community.aspx|সংগ্রহের-তারিখ=4 June 2016}}</ref>{{rp|৪৩-৪৮}}<ref name="Robinson">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Robinson|প্রথমাংশ = Chase F.|ইউআরএল=http://www.cambridge.org/us/academic/subjects/history/regional-and-world-history-general-interest/new-cambridge-history-islam|শিরোনাম=The New Cambridge History of Islam|প্রকাশক = Cambridge University Press | বছর = 2011}}</ref>{{rp|১৯৩-১৯৪}} পরেরটি [[শিয়া|শীয়াদের]] কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। কারণ হযরত মুহাম্মদমুহাম্মাদ এরশাদ করেন,
<blockquote>আমি যার মওলা আলীও তার মওলা।</blockquote>
তিনি আরো এরশাদ করেন
৩১ নং লাইন:
আলমুসনাদুল জামে, হাদীস নং-১০৩৩৯।
সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩৭২৩</ref></blockquote>
আবু বকরের মৃত্যুর পর উমর খলিফা হিসেবে নির্বাচিত হন। ৬৪ বছর বয়সে উমর এক আততায়ির হাতে মুত্যুবরণ করেন। উমরের মুত্যুর পর আলী, হযরত মুহাম্মদমুহাম্মাদ এর চাচাত ভাই এবং জামাতা, এবং উসমান খেলাফতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। উসমান একটি নির্বাচক পরিষদের ভোটে খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন। ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে উসমানের হত্যাকান্ডের পর হযরত আলী খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন।<ref name="Robinson"/>{{rp|২০৩-২০৪}}
 
আলীর খেলাফত আর [[প্রথম ফিতনা]] সমসাময়িক ছিল।<ref name="Brill-Muawiya"/> উসমানের মৃত্যুর পাঁচ দিন পর হযরত আলী যদিও চতুর্থ ''[[রশিদুন]]'' (সঠিক পথপ্রদর্শক) হিসেবে নির্বাচিত হন, তিনি তার শাসনামলে প্রচুর বিরোধীতার সম্মুখীন হন।
একদিকে [[মক্কা]]তে হযরত আয়শা, তালহা এবং [[আল-যুবায়ের]] তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে এবং অন্যদিকে [[প্রথম মুয়াবিয়া|মুয়াবিয়া]], পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের উমাইয়া শাসক, আলীকে নতুন খলিফা হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলস্বরূপ খেলাফত লাভের জন্য একটি সামরিক যুদ্ধ সংগঠিত হয়। হযরত আলীর বিরোধিরা উসমানের হত্যাকারীদের শাস্তির জোর দাবি করেছিল। ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে সংগঠিত [[উষ্ট্রের যুদ্ধ| উষ্ট্রের যুদ্ধে]] হযরত মুহাম্মদমুহাম্মাদ (দঃ) এর সহধর্মিনী হযরত বিবি আয়শা এবং অন্যান্য সাহাবাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে বাধ্য হন এবং যুদ্ধে জয়লাভ করেন। এরপর, ৬৫৭ খ্রিষ্টাব্দে হযরত আলী [[প্রথম মুয়াবিয়া|মুয়াবিয়ার]] বিরুদ্ধে [[সিফফিনের যুদ্ধ| সিফফিনের যুদ্ধে]] অবর্তীণ হন। মুয়াবিয়ার সাথে হযরত আলীর একটি চুক্তির মাধ্যমে [[সিফফিনের যুদ্ধ|যুদ্ধটির]] অবসান ঘটে।<ref name="Robinson"/>{{rp|২০৩-২০৪}} আর [[প্রথম ফিতনা]] সমসাময়িক ছিল।<ref name="Brill-Muawiya"/> উসমানের মৃত্যুর পাঁচ দিন পর হযরত আলী যদিও চতুর্থ ''[[রশিদুন]]'' (সঠিক পথপ্রদর্শক) হিসেবে নির্বাচিত হন, তিনি তার শাসনামলে প্রচুর বিরোধীতার সম্মুখীন হন।
 
হযরত আলীর দলের একদল সৈন্য, পরবর্তীতে যারা [[খারেজী]] বা খাওয়ারিজ (যারা আলীকে ত্যাগ করেছিল) হিসেবে পরিচিতি লাভ করে, [[সিফফিনের যুদ্ধ| সিফফিনের যুদ্ধে]] মুয়াবিয়ার সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির বিরোধিতা করতে থাকে। তারা ধর্মের ব্যাপারে মানুষের বিচারের বিরোধিতা করে এবং "বিচার শুধুমাত্রই আল্লাহর একার" এই স্লোগানটি প্রচার করতে থাকে।<ref name="higgins"/>{{rp|৩৯০}} ৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দে তারা তাদের চুক্তির শপথ ভঙ্গ করে, বিদ্রোহ শুরু করে এবং জনসম্মুখে হুমকি দিতে থাকে যে যারা তাদের সাথে যোগদান করবে না তারা তাদেরকে হত্যা করবে। হযরত আলী তাদেরকে [[নাহরাওয়ান যুদ্ধ|নাহরাওয়ান যুদ্ধে]] পরাজিত করেন। খারেজীদের হত্যাকান্ড ছিল হযরত আলীর খেলাফতের সবচেয়ে সমস্যাপূর্ণ ঘটনা, কারণ