মির্জা গালিব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৯৭ নং লাইন:
অবশ্য এ পরিস্থিতিতে বাদশাহ বাহাদুর শাহ জাফর গালিবের সহায়তায় এগিয়ে আসেন৷ ১৮৫০ সালে তিনি গালিবকে 'নাজমুদ দৌলাহ দাবির উল-মুলক নিজাম জং' খেতাবে ভূষিত করে তাকে তৈমুরের বংশের ইতিহাস লিখার দায়িত্ব ন্যস্ত করেন বার্ষিক ছয়শ' রুপি ভাতায়৷ এতে গালিব মানসিকভাবে কিছুটা স্থিতিশীল হন৷ কিন্তু ইতিহাস রচনার কাজে যে পড়াশুনা ও ধৈর্য্যের প্রয়োজন গালিবের তা ছিল না এবং দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ছয় মাসে তিনি মোগল বংশের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবরের চাইতে বেশি আর অগ্রসর হতে পারেননি৷ তার আর্থিক অবস্থা ছিল নাজুক এবং তাকে মাসিক ভিত্তিতে ভাতা দেয়ার জন্যে বাহাদুর শাহকে লিখেন৷ বাহাদুর শাহ এতে অনুমোদন দেন, কিন্তু [[১৮৫১]] সালের মধ্যে সম্রাট হুমায়ুনের জীবনকাহিনীর চাইতে বেশি আর লিখতে পারেননি৷ অতএব, প্রকল্পটি ভেস্তে যায়৷ তিনি যতটুকু লিখেছিলেন তা 'মিহির-ই-নিমরোজ' নামে [[১৮৫৪]] সালে প্রকাশিত হয়৷
 
[[১৮৫৪]] সালে গালিব বাহাদুর শাহ জাফরের উস্তাদ হিসেবে মর্যাদা লাভ করেন৷ তার বার্ষিক ভাতা চারশ' রুপিতে দাঁড়ায়৷ গালিবের কবি খ্যাতি আরো বৃদ্ধি পায়৷ গালিব একই সাথে অযোধ্যার নওয়াব ওয়াজিদ আলী শাহের ওপর তার প্রভাব সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন৷ এক পর্যায়ে তিনি তাকে বার্ষিক পাঁচশ' রুপি ভাতা মঞ্জুর করেন৷ আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে এলেও গালিবের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ছিল৷ চোখে কম দেখছিলেন এবং কানেও কম শুনছিলেন৷ মোটামুটি এ সময়েই তার কবি বন্ধু মোমিন ও জওক এর মৃত্যু ঘটে এবং দু'জনের মৃত্যুতে তিনি ব্যথিত হন৷ [[১৮৫৬]] সালে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ অযোধ্যাকে ব্রিটিশ আওতায় নিয়ে আসে এবং একই বছরে পরবর্তী মোগল সম্রাট বলে নির্ধারিত মির্জা ফখরুদ্দিন ইন্তেকালমৃত্যুবরণ করেন৷ অতএব দুটি উত্স থেকেই গালিবের ভাতা প্রাপ্তি বন্ধ হয়ে যায়৷
 
কিন্তু এর চাইতে ভয়াবহ বিপর্যয় অপেক্ষা করছিল৷ তা ছিল [[১৮৫৭]] সালের [[সিপাহী বিদ্রোহ]], যার ফলে জীবনের পরিচিত সবকিছু তছনছ হয়ে যায় এবং বিদ্রোহের পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা চালু করে তা ব্যক্তিজীবন, সামাজিক জীবনকে পুরোপুরি পাল্টে দেয়৷ মোগল বাদশাহ'র সময়ে তিনি যে ভাতা লাভ করতেন, তা ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ বাতিল করেন৷ ফলে মির্জা গালিবকে নতুন করে আর্থিক সংকটে পড়তে হয়৷ ভাতা পুনর্বহালের জন্যে তিনি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ে তদবির করেন, কিন্তু তাতে কোন ফল হয়নি৷
১০৪ নং লাইন:
 
== মৃত্যু ==
[[১৮৬৯]] সালের [[ফেব্রুয়ারি ১৫|১৫ই ফেব্রুয়ারি]] মহান কবি গালিব ইন্তেকালমৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে [[নয়া দিল্লী|দিল্লীর]] [[নিজামউদ্দিন আউলিয়া|নিজামউদ্দিন আউলিয়ার]] মাজারের কাছে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়৷ বর্তমানে গালিবের সমাধিক্ষেত্র টি চরম অবহেলায় পর্যবসিত।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://m.timesofindia.com/city/delhi/The-city-Ghalib-loved-forgets-his-tomb/articleshow/3180446.cms|শিরোনাম=The city Ghalib loved forgets his tomb|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=timesofindia.com|প্রকাশক=টাইমস অফ ইন্ডিয়া|সংগ্রহের-তারিখ=২৪ এপ্রিল ২০১৭}}</ref>
==সম্মাননা==
তার ২২০ তম জন্মদিনে (২০১৭) [[গুগল]] [[ডুডল]] তৈরি করে তাকে সম্মান প্রদর্শন করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://somoynews.tv/pages/details/96989/কবি-মির্জা-গালিবকে-গুগল-ডুডলের-শ্রদ্ধা|শিরোনাম=কবি মির্জা গালিবকে গুগল ডুডলের শ্রদ্ধা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=২৭ ডিসেম্বর ২০১৭|কর্ম=|প্রকাশক=[[সময় নিউজ]]|সংগ্রহের-তারিখ=২৭ ডিসেম্বর ২০১৭|মাধ্যম=}}</ref>