দ্বিতীয় ফিতনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
আইএসবিএন টেমপ্লেট যোগ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২৩ নং লাইন:
দ্বিতীয় ফিতনার সময় মুসলিম বিশ্বে জটিল অবস্থা বিরাজ করছিল। এসময় বেশ কিছু ঘটনা ঘটে। এসবের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক ছিল বলে প্রতীয়মান হয় না। গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপে দেয়া যেতে পারে।
 
৬৮০ সালে প্রথম উমাইয়া খলিফা [[প্রথম মুয়াবিয়া|প্রথম মুয়াবিয়ার]] মৃত্যুর পর তার পুত্র [[প্রথম ইয়াজিদ]] খলিফা হন। [[মুহাম্মদ]] (সা) এর দৌহিত্র ও সাবেক খলিফা [[আলি ইবনে আবি তালিব|আলি ইবনে আবি তালিবের]] পুত্র [[হুসাইন ইবনে আলি|হুসাইন ইবনে আলির]] সমর্থকদের কাছ থেকে প্রথম ইয়াজিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আসে। [[কারবালার যুদ্ধ|কারবালার যুদ্ধে]] হুসাইনসহ অনেকেই [[উমাইয়া খিলাফত|উমাইয়া]] সেনাদের হাতে নিহত হন। এই যুদ্ধকে প্রায়ই [[সুন্নি]] ও [[শিয়া|শিয়াদের]] মধ্যকার চূড়ান্ত ভাঙন হিসেবে ধরা হয়। কারবালার দিনকে শিয়ারা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
 
এসকল ঘটনার পর ইয়াজিদ [[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের|আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের]] বিদ্রোহের মুখোমুখি হন। [[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের]] ছিলেন সাহাবি [[জুবায়ের ইবনে আওয়াম]] ও [[আসমা বিনতে আবি বকর|আসমা বিনতে আবি বকরের]] পুত্র। বিভিন্ন কারণে উমাইয়া শাসনের প্রতি অসন্তুষ্ট ব্যক্তিরা তার বিদ্রোহকে সমর্থন করে। ৬৮৩ সালে [[প্রথম ইয়াজিদ]] ও তার পুত্র [[দ্বিতীয় মুয়াবিয়া|দ্বিতীয় মুয়াবিয়ার]] আকস্মিক মৃত্যুর পর [[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের]] খলিফা হিসেবে ব্যাপক সমর্থন লাভ করেন। তিনি তার শাসনের বিরোধীদের প্রতিহত করতে সচেষ্ট হন। সিরিয়ায় [[প্রথম মুয়াবিয়া|প্রথম মুয়াবিয়ার]] এক ভাই সম্পর্কিত ব্যক্তি মারওয়ান ইবনে হাকিম নিজেকে খলিফা ঘোষণা করেন। সংক্ষিপ্তকাল শাসনের পর মারওয়ান ৬৮৫ সালে মৃত্যুবরণ করলে তার পুত্র [[আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান]] তার উত্তরসুরি হন। ৬৮৪ সালে মধ্য আরবে [[খারিজি]] বিদ্রোহীরা স্বাধীন রাষ্ট্র স্থাপন করলে আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের [[তিহামাহ]] ও [[হেজাজ]] অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।<ref>Abū Ḥanīfa Dīnawarī, al-akhbâr al-tiwâl, vol. 1, p. 264</ref>