জৈবসন্ত্রাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বানান ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
→সংজ্ঞা: বানান সংশোধন ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৩ নং লাইন:
== সংজ্ঞা ==
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ প্রতিরক্ষা ও নির্মূল দপ্তর থেকে বলা হয়, জৈবসন্ত্রাস হলো ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস, টক্সিন বা অন্য যেকোন ক্ষতিকর বস্তু দ্বারা মানুষের মাঝে রোগের উপদ্রব ঘটানো। যা মানুষ ছাড়াও অন্য প্রাণী ও গাছপালার জন্য ক্ষতিকর এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.cdc.gov/anthrax/bioterrorism/index.html|শিরোনাম=Bioterrorism {{!}} Anthrax {{!}} CDC|ওয়েবসাইট=www.cdc.gov|ভাষা=en-us|সংগ্রহের-তারিখ=25 October 2017}}</ref> এই সকল জৈব পদার্থগুলো সাধারণত প্রকৃতিতেই উপলব্ধ্য হলেও, জৈবসন্ত্রাসের জন্য ব্যবহার করতে এদের মাঝে পরিবর্তন এনে এদের রোগ তৈরির ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া এসকল জৈব বস্তু যেন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং সহজে নির্মূল করা না যায় সেই ব্যবস্থাও করা হয়। জৈব বস্তু সমূহ বায়ু, পানি অথবা খাদ্যের মাধ্যমে ছড়ানো হয়।জৈব সন্ত্রাসবাদের ধারণা সন্ত্রাসবাদের মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে কেননা এগুলো সহজে সনাক্ত করা যায় না এবং প্রতিক্রিয়া দেখাতে বেশ সময় ক্ষেপন করে। গুটিবসন্তের ভাইরাসের মতো কিছু জৈবসন্ত্রাসবাদের অস্ত্র
অস্ত্র হিসেবে জৈব অস্ত্র বেশ আকর্ষণীয় হলেও এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিশেষ করে সামরিক বাহিনীতে জৈব অস্ত্র ব্যবহারের প্রধান অন্তরায় হলো, জৈব অস্ত্র শুধুমাত্র শত্রু পক্ষের জন্য নকশা করে ব্যবহার করা যায় না। ফলাফলস্বরূপ, সামরিক বাহিনীতে জৈব অস্ত্রের ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে এই সীমাবদ্ধতাই জৈব অস্ত্রকে শক্তিশালী করে তুলেছে। বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি, একটি দেশ বা জনপদে বিশৃঙ্খলা তৈরিতে জৈব অস্ত্র মোক্ষম। উইলিয়াম নেলসন জয়ের মতো প্রযুক্তিবিদেরা তাই আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ার জৈব সন্ত্রাসবাদ সংঘটনের মতো ক্ষমতা
=== বিংশ শতাব্দী ===
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে আগে প্রাণীর মাঝে এনথ্রাক্স ছড়িয়ে দিয়ে জৈব অস্ত্রের ব্যবহারের
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর অল্প সময়ের মধ্যেই জার্মানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, রোমানিয়া ও ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে জৈব অস্ত্র প্রয়োগ করে।<ref name="GregoryBWaggDMilitaryMedicine">{{উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Military Medicine: Medical aspects of biological warfare|বছর=1997}}</ref> সেই
১৯৭২ সালে শিকাগোতে পুলিশ দুইজন কলেজ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে। এলেন শোয়ান্ডার ও স্টেফান পেরা শহরটির সুপেয় পানি টাইফয়েড ও অন্যান্য ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত করার পরিকল্পনা করেছিল। শোয়ান্ডার একটি সন্ত্রাসবাদী দল "R.I.S.E." (রাইজ) গঠন করে। পেরা একটি হাসপাতালে কাজ করতো এবং সেখান থেকেই ব্যাক্টেরিয়া সংগ্রহ করে। জামিনে মুক্তি পেলে এরা দুইজন কিউবা পালিয়ে যায়। ১৯৭৪ সালে শোয়ান্ডার সেখানেই প্রাকৃতিক কারণে মৃত্যুবরন করলে ১৯৭৫ সালে পেরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসে। নিজ দেশে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়। <ref>W. Seth Carus, "R.I.S.E.", in ''Toxic Terror: Assessing Terrorist Use of Chemical and Biological Weapons'' (MIT Press, 2000), p.55, p.69</ref>
১৯৮০ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডাব্লুএইচও) [[গুটিবসন্ত]] সামগ্রিকভাবে নির্মূল হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়। গুটিবসন্ত একটি অত্যন্ত সংক্রামক এবং ভয়াবহ রোগ। যদিও এই রোগটি নির্মূল করা হয়েছে, তবে গুটিবসন্তের ভাইরাসগুলির হিমায়িত স্টক এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সরকার দ্বারা পরিচালিত
১৯৮৪ সালে [[অরেগন|অরেগনে]], ভগবান শ্রী রজনীশের অনুসারীরা এলাকার জনসংখ্যাকে নিষ্ক্রিয় করে স্থানীয় [[নির্বাচন]] নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিলেন। তারা ১১টি রেস্তোরাঁর [[সালাদ]] বার, মুদি দোকানে, দরজার হাতল এবং অরেগনের অন্যান্য সরকারী ডোমেনগুলি ''সালমেনেলা টাইফিমুরিয়াম'' ব্যাকটেরিয়া দিয়ে সংক্রামিত করে। এই হামলায় ৭৫১ জন গুরুতর [[খাদ্যে বিষক্রিয়া|খাদ্য বিষক্রিয়া]] সংক্রামিত হয়। যদিও কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এটি ছিল ২০ শতকের প্রথম
১৯৯৩ সালের জুনে, টোকিওতে একটি ধর্মীয় সংগঠন অম শিনরিকিও [[অ্যানথ্রাক্স (রোগ)|অ্যানথ্রাক্স]] ছড়িয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা একটি নোংরা গন্ধ রিপোর্ট করেছিল। অবশ্য আক্রমণটি সম্পুর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। একজন ব্যক্তিও সংক্রামিত হয়নি। এর কারণ হল সন্ত্রাসবাদী দলটি
== এজেন্টের প্রকারভেদ ==
|