ইন্দ্রাবতী নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সংশোধিত রূপ!
৫৯ নং লাইন:
'''ইন্দ্রাবতী নদী''' {{lang-or|ଇନ୍ଦ୍ରାବତୀ ନଦୀ}}, ({{lang-mr|इंद्रावती नदी}}, {{lang-hi|इन्द्रावती नदी}}, {{lang-te|ఇంద్రావతి నది}}) হল মধ্য [[ভারত|ভারতের]] [[গোদাবরী নদী]]র একটি [[উপনদী]]।
 
ইন্দ্রবতী নদী গোদাবরী নদীর একটি ধারা। [[ওড়িশা]] রাজ্যের [[কালাহান্ডি জেলা]]র থুয়ামুলা রামপুর ব্লকের পাহাড়ের এক গ্রাম, মারডিগুদা গ্রামের দন্ডকারণ্যের ঘাটে এর উৎস। তিনটি স্রোতের মিলনের কারণে, নদীটি পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে ছত্তিশগড় রাজ্যের জগদলপুরে প্রবেশ করেছে। এখান থেকে নদীটি দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে, এবং শেষে তিনটি রাজ্যের সীমান্তে গোদাবরীর সাথে গিয়ে মিলেছে। এগুলি হল ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্র এবং তেলঙ্গানা রাজ্য। নদীটি তার চলনপথের বিভিন্ন পর্যায়ে ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্রের মধ্যে সীমানা তৈরি করেছে।
ইন্দ্রাবতী নদী ছত্রিশগড় রাজ্যের বস্তার জেলার অক্সিজেন হিসাবেও পরিচিত। এই জেলাটি সমগ্র ভারতবর্ষের অন্যতম সবুজ এবং পরিবেশ-বান্ধব জেলা। ইন্দ্রবতী নদীর উপর মোট পাঁচটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এগুলি হল কুত্রু প্রথম, কুতরো দ্বিতীয়, নুগ্রু প্রথম, নুগ্রু দ্বিতীয় এবং ভোপালপট্টনম। যাইহোক, পরিকল্পনাটি ভুলভাবে চালিত হয়েছিল এবং পরিবেশগত কারণে বাস্তবায়িত হয়নি।
এখান থেকে নদীটি দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে, এবং শেষে তিনটি রাজ্যের সীমান্তে গোদাবরীর সাথে গিয়ে মিলেছে। এগুলি হল ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্র এবং তেলঙ্গানা রাজ্য। নদীটি তার চলনপথের বিভিন্ন পর্যায়ে ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্রের মধ্যে সীমানা তৈরি করেছে।
ইন্দ্রাবতী নদী ছত্রিশগড় রাজ্যের বস্তার জেলার অক্সিজেন হিসাবেও পরিচিত। এই জেলাটি সমগ্র ভারতবর্ষের অন্যতম সবুজ এবং পরিবেশ-বান্ধব জেলা।
ইন্দ্রবতী নদীর উপর মোট পাঁচটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এগুলি হল কুত্রু প্রথম, কুতরো দ্বিতীয়, নুগ্রু প্রথম, নুগ্রু দ্বিতীয় এবং ভোপালপট্টনম। যাইহোক, পরিকল্পনাটি ভুলভাবে চালিত হয়েছিল এবং পরিবেশগত কারণে বাস্তবায়িত হয়নি।
ইন্দ্রবতী নদী ভারতের [[ওড়িশা]] রাজ্যের [[কালাহান্ডি]] ও [[নবরঙ্গপুর]] এবং ছত্তিসগড় রাজ্যে ভারতের অন্যতম সবুজ জেলা [[বস্তার জেলা|বস্তার]] জেলার "জীবনী শক্তি" হিসাবে পরিচিত।
 
৭৪ ⟶ ৭২ নং লাইন:
ইন্দ্রাবতী নদী [[ওড়িশা]]র [[কালহান্ডি]] জেলার [[পূর্ব ঘাট]] পর্বতের পশ্চিম ঢালে, {{রূপান্তর|914|m|ft}} উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এটি কালাহান্ডি, [[নবরঙ্গপুর]] এবং [[কোরাপুট]] জেলার মধ্য দিয়ে পশ্চিম মুখে {{রূপান্তর|164|km|mi}} প্রবাহিত হয়েছে এবং ওড়িশা এবং ছত্তিশগড় রাজ্যের মধ্যে {{রূপান্তর|9.5|km|mi}} সীমানা গঠনের পরে, ছত্তিসগড়ের বস্তার জেলায় প্রবেশ করেছে। ছত্তিসগড়ে {{রূপান্তর|233|km|mi}} প্রবাহিত হওয়ার পর, এটি দক্ষিণমুখী হয়ে এবং প্রায় ছত্তিশগড় এবং [[মহারাষ্ট্র|মহারাষ্ট্রের]] সীমানা ধরে {{রূপান্তর|129|km|mi}} বয়ে গেছে। এরপর এটি মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় এবং [[তেলেঙ্গানা]] রাজ্যের সীমানার সংযোগে [[গোদাবরী নদী]]তে মিলিত হয়েছে।<ref name="powermin1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.powermin.nic.in/whats_new/PFR/Chattishgarh/Nugur-I.pdf |বিন্যাস=PDF |শিরোনাম=Chapter 1 : Executive summary |ওয়েবসাইট=Powermin.nic.in |সংগ্রহের-তারিখ=2016-02-11 |url-status=dead |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130614133127/http://www.powermin.nic.in/whats_new/PFR/Chattishgarh/Nugur-I.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=2013-06-14 |df= }}</ref>
 
ইন্দ্রাবতীর উপ-অববাহিকা অঞ্চল প্রায় মোট {{রূপান্তর|40625|km2|mi2}} জুড়ে আছে। ওড়িশায় ইন্দ্রাবতীর অববাহিকা অঞ্চল {{রূপান্তর|7435|km2|mi2}} জায়গা জুড়ে রয়েছে। নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় {{রূপান্তর|535.80|km|mi}}, কালাহান্ডি পাহাড় থেকে শুরু হয়ে এটি ছত্তিশগড়ের [[বিজাপুর জেলা, ছত্তিশগড়|বিজাপুর]] জেলার ভদ্রকালী গ্রামের কাছে গোদাবরী নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।<ref>http://www.indiamapped.com/rivers-in-india/indravati-river/</ref> এর উৎস থেকে শুরু করে গোদাবরী নদীর সঙ্গম পর্যন্ত এটির একটি সুস্পষ্ট যাত্রাপথ রয়েছে। ওড়িশায় দক্ষিণ-পূর্ব মুখী হয়ে একটি ক্ষুদ্র নদী হিসাবে শুরু করে, এটি ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার মধ্যে দিয়ে পশ্চিম দিকে চলেছে। এরপর এটি দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে এবং তারপরে আবার দক্ষিণ-পশ্চিম মুখে ফিরে এসেছে। এর সম্পূর্ণ যাত্রাপথের {{রূপান্তর|535.80|km|mi}} রাস্তায় নদীটি {{রূপান্তর|832.10|m|ft}} নিম্নমুখী হয়েছে। গোদাবরী নদীর সাথে সংযোগস্থলে এর নদীতলের উচ্চতা আর.এল. ৮২.৩ মি, যেখানে কালাহান্ডির উৎসমুখে এর উচ্চতা ছিল ৯১৪.৪ মিটার।
ইন্দ্রাবতীর উপ-অববাহিকা অঞ্চল প্রায় মোট {{রূপান্তর|40625|km2|mi2}} জুড়ে আছে। ওড়িশায় ইন্দ্রাবতীর অববাহিকা অঞ্চল {{রূপান্তর|7435|km2|mi2}} জায়গা জুড়ে রয়েছে।
নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় {{রূপান্তর|535.80|km|mi}}, কালাহান্ডি পাহাড় থেকে শুরু হয়ে এটি ছত্তিশগড়ের [[বিজাপুর জেলা, ছত্তিশগড়|বিজাপুর]] জেলার ভদ্রকালী গ্রামের কাছে গোদাবরী নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।<ref>http://www.indiamapped.com/rivers-in-india/indravati-river/</ref> এর উৎস থেকে শুরু করে গোদাবরী নদীর সঙ্গম পর্যন্ত এটির একটি সুস্পষ্ট যাত্রাপথ রয়েছে। ওড়িশায় দক্ষিণ-পূর্ব মুখী হয়ে একটি ক্ষুদ্র নদী হিসাবে শুরু করে, এটি ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার মধ্যে দিয়ে পশ্চিম দিকে চলেছে। এরপর এটি দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে এবং তারপরে আবার দক্ষিণ-পশ্চিম মুখে ফিরে এসেছে। এর সম্পূর্ণ যাত্রাপথের {{রূপান্তর|535.80|km|mi}} রাস্তায় নদীটি {{রূপান্তর|832.10|m|ft}} নিম্নমুখী হয়েছে। গোদাবরী নদীর সাথে সংযোগস্থলে এর নদীতলের উচ্চতা আর.এল. ৮২.৩ মি, যেখানে কালাহান্ডির উৎসমুখে এর উচ্চতা ছিল ৯১৪.৪ মিটার।
 
== আরো দেখুন ==
{{প্রবেশদ্বার|Environment|Ecology}}
*[[List of rivers of India]]
*[[List of major rivers of India|Rivers of India]]
*[[Icchampally Project]]
*[[Eastern States Union]]
 
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|2}}
 
== বহিঃসংযোগ ==