গোয়ালপাড়ীয়া উপভাষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পাতা
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১২ নং লাইন:
| familycolor = ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা
| fam2 = ইন্দো-ইরানীয়
| fam3 = [[ভারতইন্দো-আর্য ভাষা পরিয়ালপরিবার|ভারতীয় আর্য]]
| fam4 = পূর্ব ভারতীয় আর্য
| fam5 = বাংলা-অসমীয়া
২২ নং লাইন:
}}
 
'''গোয়ালপাড়ীয়া উপভাষা''' বা '''গোয়ালপাড়ীয়া''' আসামের [[গোয়ালপাড়া]] অঞ্চলে বহুলভাবে প্রচলিত অসমীয়া ভাষার উপভাষা। পশ্চিম আসামে প্রচলিত অসমীয়ার দুই উপভাষার মধ্যে গোয়ালপাড়ীয়া অন্যতম। অন্য উপভাষাটি হল [[কামরূপী উপভাষা]] বা কামরূপীয়া। গোয়ালপাড়ীয়া ভাষা অঞ্চলের পশ্চিমে উত্তর বঙ্গীয় উপভাষা অঞ্চল এবং এর আশে-পাশে তিব্বত-বর্মী ভাষার সম্প্রদায় আছে। বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার শব্দ সংমিশ্রণ গোয়ালপাড়ীয়া উপভাষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।<ref>[http://www.telegraphindia.com/1050122/asp/northeast/story_4282630.asp Legacy, to cherish & preserve, by Nikhilesh Barua (2005), The Telegraph, India]</ref><ref>''Asom Abhidhan'', Banalata, S. K. Baruah (2002), Guwahati, Assam</ref> এই ভাষা বলা মানুষের আনুমানিক সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ।<ref>{{Cite web|url=https://scroll.in/article/864299/we-dont-want-to-be-identified-in-the-name-of-our-religion-say-assams-indigenous-desi-muslims|title=‘We don’t want to be identified on the basis of our religion,’ say Assam’s indigenous Desi Muslims|last=Saikia|first=Arunabh|website=Scroll.in|language=en-US|access-date=2019-09-03}}</ref>[[গোয়ালপাড়ীয়া লোকসঙ্গীত]]-এর বিখ্যাত শিল্পী [[প্রতিমা পাণ্ডে বরুয়া]] গোয়ালপাড়ীয়া ভাষাকেেভাষাকে জাতীয় দরবারে পরিচিতি দিয়েছিলেন।
==ইতিহাস==
[[গঙ্গা নদী]]র উত্তর দিকের অঞ্চলসমূহে পূর্ব মাগধী প্রাকৃত ভাষার থেকে অবধী, বরেন্দ্রী, কামরূপী এবং বঙ্গ ভাষার উৎপত্তি হয়েছিল। কামরূপ অঞ্চলে প্রচলিত ভারতীয়-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর কামরূপী ভাষার থেকে [[ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা]]র গোয়ালপাড়ীয়া আদি ভাষা এবং উত্তরবঙ্গের [[কোচ রাজবংশী ভাষা]]র উৎপত্তি হয়েছিল।
==শ্রেণীবিভাজন==
গোয়ালপাড়ীয়া উপভাষাকেেউপভাষাকে তিনটি ভাগে শ্রেণী বিভাজন করা হয়। এই তিনটি হল;
# পূর্বীয়,
# মধ্যমীয়া, এবং
# পশ্চিমীয়া।<ref>{{harv|Dutta|2003|pp=103–104}}</ref>
# পশ্চিমীয়া।<ref>{{harv|Dutta|2003|pp=103–104}}</ref> [[আসাম]]-এর ভাষাবিদগণ এই তিনটি উপভাষাকেে [[অসমীয়া ভাষা]]র উপভাষা হিসাবে উল্লেখ করেন। কিন্তু বাংলা ভাষাবিদ চ্যাটার্জী (১৯২৬) পশ্চিম গোয়ালপাড়ীয়া উপভাষাকেে উত্তরবঙ্গের উপভাষাসমূহর সঙ্গে এবং বাকী দুটি ভাগকে কামতাপুরী ভাষার উপভাষা হিসাবে উল্লেখ করেন।[[বীরেন্দ্রনাথ দত্ত|বীরেন্দ্রনাথ দত্ত]] গোয়ালপাড়ীয়া উপভাষাকে তিনটি মুখ্য ভাগে বিভক্ত করেছে। পূর্ব গোয়ালপাড়ীয়াকে অভয়াপুরী এবং গোয়ালপাড়া শহরে প্রচলিত এবং কৃষ্ণাই, দুধনৈ , ধূপধরা অঞ্চলের ভাষা হিসাবে দুটি শাখাতে ভাগ করেছে। স্থানীয় ভাবে এই অঞ্চলের ভাষা সমূহ ''হাব্রাঘাটীয়া'', ''বাউসীয়া'', ''নামদানীয়া'' এবং ''বারাহাজারী'' হিসাবে পরিচিত।<ref>{{harv|Dutta|1995|p=285}}</ref>
 
# পশ্চিমীয়া।<ref>{{harv|Dutta|2003|pp=103–104}}</ref> [[আসাম]]-এর ভাষাবিদগণ এই তিনটি উপভাষাকেে [[অসমীয়া ভাষা]]র উপভাষা হিসাবে উল্লেখ করেন। কিন্তু বাংলা ভাষাবিদ চ্যাটার্জী (১৯২৬) পশ্চিম গোয়ালপাড়ীয়া উপভাষাকেে উত্তরবঙ্গের উপভাষাসমূহর সঙ্গে এবং বাকী দুটি ভাগকে কামতাপুরী ভাষার উপভাষা হিসাবে উল্লেখ করেন।[[বীরেন্দ্রনাথ দত্ত|বীরেন্দ্রনাথ দত্ত]] গোয়ালপাড়ীয়া উপভাষাকে তিনটি মুখ্য ভাগে বিভক্ত করেছে। পূর্ব গোয়ালপাড়ীয়াকে অভয়াপুরী এবং গোয়ালপাড়া শহরে প্রচলিত এবং কৃষ্ণাই, দুধনৈ , ধূপধরা অঞ্চলের ভাষা হিসাবে দুটি শাখাতে ভাগ করেছে। স্থানীয় ভাবে এই অঞ্চলের ভাষা সমূহ ''হাব্রাঘাটীয়া'', ''বাউসীয়া'', ''নামদানীয়া'' এবং ''বারাহাজারী'' হিসাবে পরিচিত।<ref>{{harv|Dutta|1995|p=285}}</ref>
পশ্চিম গোয়ালপাড়ীয়াকে গৌরীপুর অঞ্চল (স্থানীয় ভাবে ''ঘূলীয়া'') এবং চালকোচা অঞ্চলের আশে পাশে প্রচলিত ভাষা এই দুই শাখাতে ভাগ করেছে। চালকোচার ভাষাকে তিনি মধ্যমীয়া গোয়ালপাড়ীয়া হিসাবে উল্লেখ করেছেন।<ref>{{harv|Dutta|1995|p=289}}</ref>==গোয়ালপাড়া অঞ্চল==[[ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা]]র পশ্চিম অংশে গোয়ালপাড়া অঞ্চলে গোয়ালপাড়ীয়া উপভাষা প্রচলিত। প্রাচীন কালে এই অঞ্চল [[কামরূপ রাজ্য]]-এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। কামরূপ রাজ্যের রত্নপীঠে গোয়ালপাড়া অঞ্চল ছিল।<ref>Birendranatha Datta (1995), ''Folk Culture of the Goalpara Region'', p.p. 5-7</ref>
 
পশ্চিম গোয়ালপাড়ীয়াকে গৌরীপুর অঞ্চল (স্থানীয় ভাবে ''ঘূলীয়া'') এবং চালকোচা অঞ্চলের আশে পাশে প্রচলিত ভাষা এই দুই শাখাতে ভাগ করেছে। চালকোচার ভাষাকে তিনি মধ্যমীয়া গোয়ালপাড়ীয়া হিসাবে উল্লেখ করেছেন।<ref>{{harv|Dutta|1995|p=289}}</ref>
==গোয়ালপাড়া অঞ্চল==
পশ্চিম গোয়ালপাড়ীয়াকে গৌরীপুর অঞ্চল (স্থানীয় ভাবে ''ঘূলীয়া'') এবং চালকোচা অঞ্চলের আশে পাশে প্রচলিত ভাষা এই দুই শাখাতে ভাগ করেছে। চালকোচার ভাষাকে তিনি মধ্যমীয়া গোয়ালপাড়ীয়া হিসাবে উল্লেখ করেছেন।<ref>{{harv|Dutta|1995|p=289}}</ref>==গোয়ালপাড়া অঞ্চল==[[ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা]]র পশ্চিম অংশে গোয়ালপাড়া অঞ্চলে গোয়ালপাড়ীয়া উপভাষা প্রচলিত। প্রাচীন কালে এই অঞ্চল [[কামরূপ রাজ্য]]-এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। কামরূপ রাজ্যের রত্নপীঠে গোয়ালপাড়া অঞ্চল ছিল।<ref>Birendranatha Datta (1995), ''Folk Culture of the Goalpara Region'', p.p. 5-7</ref>
 
পরে এই অঞ্চল কামতা রাজ্য এবং তারপর কোচ হাজোর অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাজা রঘুদেব এবং পরীক্ষিত নারায়ণের রাজত্বকালে গোয়ালপাড়া অঞ্চল ১৫৮১ সাল থেকে ১৬১৫ সাল মোগলদের অধীন ছিল। ১৮শ শতকে ব্রিটিশগণ এই অঞ্চল বঙ্গ থেকে দেওয়ানি হিসাবে লাভ করেছিলেন এবং ১৮২৬ সালের [[ইয়াণ্ডাবু সন্ধি]]র পর এই অঞ্চল ঔপনিবেশিক আসামের অন্তর্ভুক্ত হয়। বর্তমানে এই অঞ্চল আসামের [[গোয়ালপাড়া জেলা]]য় অবস্থিত।