মৌলভীবাজার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
সম্প্রসারণ
৬ নং লাইন:
}}
'''মৌলভীবাজার''' সিলেট শহর থেকে দক্ষিণে উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশের একটি শহর। এটি মৌলভীবাজার জেলার প্রধান শহর। মৌলভীবাজার মনু নদীর তীরে অবস্থিত। শহরটির জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক উচ্চ। মৌলভবাজার অঞ্চলটি চা বাগান ও গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনগুলির জন্য সুপরিচিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চা বাগান মৌলভীবাজারে অবস্থিত।
 
==ইতিহাস==
১৭৭১ সালে, [[মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ]] তার [[জমিদার|জমিদাড়ি]] ভূমি ব্যবহার করে [[মনু নদী, ত্রিপুরা | মনু নদী]]র তীরে একটি বাজার স্থাপন করেছিলেন। তিনি ভোজ্য পণ্য যেমন ফলমূল ও শাকসব্জি আমদানি শুরু করেছিলেন যাতে লোকেরা ক্রয়ের পাশাপাশি বিক্রি করাও সুযোগ পায়। এর অবস্থানগত কারণে এখানে ভূ ও স্থল পরিবহণের মাধ্যমে সহজে আসা যাওয়া করা যেত। ১৮৮২ সালে, বাজারটি দক্ষিণ সিলেট মহকুমার সদর দফতর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১২ সালে ব্রিটিশবিরোধী [[খেলাফত আন্দোলন]] মৌলভীবাজারেও ছড়িয়ে পড়ে, যাদের মধ্যে ছিলেন [[চিত্তরঞ্জন দাশ]], [[হুসেন আহমেদ মাদানী]] এবং [[সরোজিনী নাইডু]]। ১৯৩২ সালে, একাহ্নে [[আলী আমজাদ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]] একটি সরকারি বিদ্যালয় হিসাবে চালু হয়।
 
[[১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ]] এবং [[বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ]]-এর সময়, [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী]] তার ৩১৩ তম ব্রিগেডকে [[সিলেট]] থেকে মৌলভীবাজারে স্থানান্তরিত করে এবং ২০২ তম অ্যাডহক ব্রিগেডের নিউক্লিয়াস গঠনের জন্য ৩১৩ তম থেকে একটি ব্যাটালিয়ন সিলেটে রাখা হয়েছিল।<ref> সলিক, সিদ্দিক, আত্মসমর্পণের প্রত্যক্ষদর্শী, পৃ ১২৬ </ref> ২০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে, মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে স্থলমাইন বিস্ফোরণে বেশ কয়েকটি মানুষ নিহত এবং আহত হয়েছিল।
 
১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, [[মৌলভীবাজার সদর উপজেলা]] এবং [[মৌলভীবাজার জেলা]] (যার নাম দক্ষিণ সিলেট থেকে বদলে রাখা হয়) প্রতিষ্ঠিত হলে মৌলভীবাজারকে জেলা ও উপজেলা সদর করা হয়। ২০০৫ সালে, এখানে [[সাইফুর রহমান স্টেডিয়াম]] প্রতিষ্ঠিত হয়।
 
== প্রশাসন ==
১৮ ⟶ ২৫ নং লাইন:
* ৮ নং ওয়ার্ড: দর্জির মহল, ধড়কাপন, গোবিন্দশ্রী, সবুজবাগ
* ৯ নং ওয়ার্ড: বড়কাপন, দারোক, শেইখের গা, খিন্দুর, উত্তর মোস্তফাপুর
 
==যোগাযোগ ব্যবস্থা==
সড়ক পথে ঢাকা হতে মৌলভীবাজারের দূরত্ব ২০৩ কিলোমিটার এবং রেলপথে ঢাকা হতে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের দূরত্ব ২৩১ কিলোমিটার; এখানে রেল যোগাযোগ নেই বিধায়, প্রথমে শ্রীমঙ্গল এসে তারপর মৌলভীবাজার শহরে আসতে হয়।