কালীপ্রসন্ন সিংহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৭ নং লাইন:
 
== জন্ম ও পরিবার ==
যদিও কালিপ্রসন্ন সিংহের জন্মের সঠিক তারিখ তর্কসাপেক্ষ, কারণ ২৪শে ফেব্রুয়ারীফেব্রুয়ারি [[১৮৪০]] তারিখে, কলকাতা কুরিয়ারে "২৩শে ফেব্রুয়ারি [[১৮৪০]] [[জোড়াসাঁকো]]র নন্দলাল সিংহের পুত্রের জন্ম অনুষ্ঠান পালন" শিরোনামে একটি সংবাদের প্রকাশ। তার জন্মের বছর সম্পর্কে বিভ্রান্তির উত্‍স এই যে, প্রথমে গবেষকরা তার মৃত্যুর ঘোষণার যে প্রমাণ পাওয়া যায় তাতে তিনি ১৮৭০ সালে ২৯ বছর বয়সে মারা যান বলে মনে করেন। যদিও, কলকাতা কুরিয়ারে প্রকাশিত খবর বিবেচনা করলে পরে, তার জন্ম তারিখ, ২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৮৪০ এর কাছাকাছি কোথাও হবে বলে মনে হয়। কালিপ্রসন্ন উত্তর [[কলকাতা]]র [[জোড়াসাঁকো]]র বিখ্যাত "সিংহ" পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন নন্দলাল সিংহ। তার পিতামহ জয়কৃষ্ণ সিংহ ছিলেন [[হিন্দু কলেজ|হিন্দু কলেজে]]র একজন পরিচালক। কালিপ্রসন্নের মাত্র ছয় বছর বয়সে তার পিতা মারা যান। বাবু হরচন্দ্র ঘোষ, যিনি নিম্ন আদালতের বিচারক ছিলেন, পিতার মৃত্যুর পর তার অভিভাবক হিসাবে নিযুক্ত হন।
 
==শিক্ষাজীবন==
৩৫ নং লাইন:
 
=== মহাভারতের অনুবাদ ===
কালীপ্রসন্ন সিংহের সবথেকে বড় কীর্তি হল, তাঁর সম্পাদনায়, আঠারোআঠারোো পর্ব [[মহাভারত]] গদ্য আকারে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে, যা এখনও ব্যাপকভাবে পঠিত এবং প্রকাশিত হয়। পুরো প্রকল্পটি [[ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]] দ্বারা পরিদর্শিত হয়। এই অনুবাদটি [[১৮৫৮]] থেকে [[১৮৬৬]] এর ভিতরে প্রকাশিত হয়েছিল। সমগ্র অনুবাদকরণ প্রক্রিয়াটি উত্তর কলকাতার [[বরানগর|বরানগরে]] অবস্থিত সারস্বতাশ্রম নামে একটি বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছিল। কালিপ্রসন্ন বিনামূল্যে [[মহাভারত]] বিতরণ করেছিলেন। কালিপ্রসন্ন এই বিপুল খরচ বহন করতে তাঁর বিভিন্ন মহল অর্থাত্‍ নিজস্ব মালিকানাধীন জমি বিক্রয় করে দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর রচিত [[মহাভারত]] অনুবাদটি [[রাণী ভিক্টোরিয়া|মহারানী ভিক্টোরিয়া]]-কে উত্‍সর্গ করেছিলেন। তিনি পবিত্র হিন্দু ধর্মগ্রন্থ [[শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা]]-এর অনুবাদও করেছিলেন, যা তাঁর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়।
 
তাঁর অনুবাদ নাটক রচনার প্রেরণা বা তাগিদ এসেছিল রঙ্গমঞ্চ থেকে। সমাজের বৈষয়িক অবস্থার সংগে রঙ্গমঞ্চের বিলুপ্তি বা পুনরাবির্ভাবের ইতিহাসটি মিলিয়ে দেখলেই তা বোঝা যায়।<ref>শ্রী সুহাস চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত, ''মার্কসবাদ ও নন্দনতত্ত্ব'', পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ, নভেম্বর, ১৯৯০, পৃষ্ঠা-১২৯</ref>