বদরুল আলম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ahamed Rafid (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৩৮ নং লাইন:
 
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
[[১৯৭১]] সালের [[৩ ডিসেম্বর]] গভীর রাতে ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের পাহাড়ি এলাকা ডিমাপুর থেকে উড্ডয়ন করল একটি হেলিকপ্টার। সেটি চালাচ্ছেন বদরুল আলম, [[সুলতান মাহমুদ]] ([[বীর উত্তম]]) ও [[শাহাব উদ্দিন]] ([[বীরসাহাবউদ্দিন উত্তমআহমেদ]])। তাঁদের সঙ্গে আছেন আরও দুজন। তারা অপারেটর। হেলিকপ্টারটি ছোট আকৃতির। নাম অ্যালুয়েট। এতে আছে ১৪টি রকেট ও একটি মেশিনগান। তারা যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল অভিমুখে। হেলিকপ্টারটির রাতে ওড়ার ক্ষমতা ছিল না। তার পরও ঝুঁকি নিয়ে তারা অপারেশনে রওনা হয়েছেন। তাঁদের লক্ষ্য, গোদনাইলের তেলের ডিপো। এই ডিপো থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর স্থল, নৌ ও আকাশ যানগুলোর জন্য জ্বালানি সরবরাহ করা হয়। ভারতের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে পাকিস্তানিরা এখানে মজুদ রেখেছিল বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল। মুক্তিবাহিনীর গেরিলারা অনেক চেষ্টা করেও এই ডিপোর ক্ষতিসাধন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ এর নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল অনেক শক্তিশালী। অবশেষে সেদিন পাকিস্তানিদের শক্তিশালী নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে সফল হামলা চালান বদরুল আলমেরা। তারা সীমান্ত অতিক্রম করে ইলিয়টগঞ্জ থেকে প্রথমে কুমিল্লা ঢাকা-মহাসড়ক লক্ষ্য করে দাউদকান্দির দিকে অগ্রসর হন। পরে ঢাকার ডেমরার কাছে এসে গোদনাইল তেলের ডিপো লক্ষ্য করে দক্ষিণ দিকে মোড় নেন। পাকিস্তানিরা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা গোদনাইলের তেলের ট্যাংকারের ওপর বোমা নিক্ষেপ করেন। মুহূর্তের মধ্যে ট্যাংকারগুলো একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকল। আগুনের লেলিহান শিখা যেন আকাশ গ্রাস করে ফেলল। চারদিক আলোকিত হয়ে পড়ল। আশপাশের মানুষ বিস্ফোরণের শব্দে জেগে উঠে অবাক বিস্ময়ে দেখতে থাকল সেই আগুন। গোদনাইল তেলের ডিপোর আগুন জ্বলে পরের দিনও। কয়েক মাইল দূর থেকেও এই আগুন দেখা যায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)|শেষাংশ= |প্রথমাংশ= |লেখক-সংযোগ= |coauthors= |বছর=এপ্রিল ২০১২ |প্রকাশক= প্রথমা প্রকাশন |অবস্থান= |আইএসবিএন= 978-984-90253-7-5|পাতা= ২৮|পাতাসমূহ= |সংগ্রহের-তারিখ= |ইউআরএল=}}</ref>
 
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==