হরিনাথ দে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১ নং লাইন:
{{অন্য ব্যবহার|হরিনাথ দে (গবেষক)}}
'''হরিনাথ দে''' (জন্ম ১২ ই আগস্ট ১৮৭৭ - মৃত্যু ৩০ আগস্ট ১৯১১) ছিলেন একজন বহুভাষাবিদ বাঙ্গালী পণ্ডিত। তিনি এশিয়া ও ইয়োরোপের বহুসংখ্যক ভাষায় পারদর্শিতা অর্জ্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বয়স ৩০ পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি পৃথিবীর ৩৪টি ভাষা আয়ত্তে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। জীবিকা সূত্রে তিনি [[কোলকাতা]] ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির (বর্তমানে ভারতের জাতীয় গ্রন্থাগার) গ্রন্থাগারিক এবং [[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজে]]
অকালে তার মৃত্যু হয় মাত্র ৩৪ বৎসর বয়সে। এর মধ্যে কর্মকাল কম-বেশি ১০ বৎসর। এই অল্প সময়েই তিনি ভাষা নিয়ে প্রচুর কাজ করেছিলেন। হরিনাথ দে সম্পাদনায় ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল “Macaulay's Essay On Milton” গ্রন্থের এক অভিনব সংস্করণ। তার সম্পাদিত “Palgrave's Golden Treasury” গ্রন্থের চমৎকার সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে । পরবর্তীতে [[ইবনে বতুতা|ইবনে বতুতার]] ভ্রমণ বৃত্তান্ত ''রেহেলা'' এবং [[জালালুদ্দিন আবু জাফর মুহাম্মদ]]- এর ''আল-ফখরি'' গ্রন্থদ্বয় আরবী থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। তিনি আরবী ব্যাকরণ প্রণয়ন নিয়ে কাজ করেছেন। এছাড়া তার গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদনা, অনুবাদ এবং গবেষণাকর্মের মধ্যে রয়েছে ইংলিশ-পার্শিয়ান লেক্সিকন সংকলন, মূলসহ ঋগ বেদের অনেকগুলো শ্লোকের ইংরেজি ভাষান্তর, ফরাসী লেখক ঝাঁলর স্মৃতিকথা সম্পাদনা, সুবন্ধুর ‘বাসবদত্তা’র ইংরেজি অনুবাদ, ‘লংকাবতার সূত্র’ এবং ‘নির্বাণব্যাখ্যানশাস্ত্রম’-এর সম্পাদনা, কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলাম’-এর ছন্দোবদ্ধ ইংরেজি ভাষান্তর, ফার্সী ভাষায় রচিত ঢাকার ইতিহাস ‘তারিখ-ই-নুসরাত জঙ্গি’ সম্পাদনা করেছেন, বাংলায় রচিত বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ ও ‘মুচিরাম গুড়ের জীবন চরিত’ এবং অমৃতলাল বসুর ‘বাবু’র ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ ইত্যাদি। এছাড়া তিনি ফার্সী ভাষায় রচিত বাদশাহ শাহ আলমের জীবনী ‘শাহ আলম নামা’ সম্পাদনা করেছেন। তিনি গ্রীক, আরবী, ফারসী, পালি, বাংলা, ইতালীয়, রুশ প্রভৃতি ভাষার কবিতার ছন্দোবদ্ধ ইংরেজি অনুবাদও সম্পাদন করেছেন।<ref>[http://new.ittefaq.com.bd/news/view/64380/2011-12-26/19 বিশ্ব ভাষাপথিক হরিনাথ দে]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>
৮ নং লাইন:
* রেহেলা (ইবনে বতুতার ভ্রমণ বৃত্তান্ত)
* আল-ফখরি (লেখক: জালালুদ্দিন আবু জাফর মুহাম্মদ)
* লংকাবতার সূত্র (সুবন্ধুর ‘বাসবদত্তা’র ইংরেজি অনুবাদ) কৃষ্ণকান্তের উইল (বঙ্কিমচন্দ্র,
* বাবু (অমৃতলাল বসু,
===সম্পাদনা===
|